যখন ছোট ছিলাম কেবল ক খ গ ঘ পড়তে শিখেছিলাম জানতাম না বাংলাদেশ নামের দেশটি কি করে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলো তখন প্রথম দেশের ইতিহাস আমাকে শুনিয়েছিলেন আমার আব্বু আম্মু... সেখানে সূর্য, চন্দ্র ছিলেন অন্য কেউ কিন্তু যখন স্কুলের বই হাতে ধরলাম তখন সূর্য চন্দ্র হয়ে গেলেন অন্য কেউ!! এই দেশে কি হয়নি? এই দেশে জলজ্যান্ত ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, এই দেশে রাজাকার শুয়োরের দল মন্ত্রীর আসনে বসেছে।
এখন সরাসরি আসি আন্তজার্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিয়ে,কেউ কেউ বলছেন যে আওয়ামীলীগ প্রহসন করছেন, আমিও যে মাঝে মাঝে সন্দেহ করিনাই এ কথা আমি মোটেই বলবো না।
আমি নিজেকে কোন দলের বলে পরিচিত করে তুলতে চাইনা, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার জন্ম এ গরীব দেশটাতে, কিন্তু গরীব হলেও এটাই আমার মা! হুমায়ূন আজাদের ভাষায় বলতে হয় নিজের মাকে কখনো মেরিলিন মনরো হতে হয়না, মা মা ই!
আমাকে আমার একজন শিক্ষক বলেছিলেন যে, দেশপ্রেম আসলে সেরকম কিছুনা, এরকম অনূভুতি মানুষের মনে বেশীদিন থাকেওনা, বরং মানুষ আসলে অবচেতন মনে কি চায়? মানুষ চায় আমি যে জায়গাটায় আছি সে জায়গাটা ভালো হক, আমার বসবাসযোগ্য হোক, মানুষ কিন্তু আসলে নিজেকে নিয়েই ভাবে।
এই বক্তব্য সত্যি হলে আমিও বলতে চাই আমার বসবাসের জায়গা বাংলাদেশ সুন্দর হোক, আমার বসবাসের যোগ্য হোক আমি চাই।
এই দেশটা দিন দিন শয়তানের অভয়ারন্য হয়ে উঠুক আমি চাইনা, একদিকে হচ্ছে বিপিএল খেলা, আর একদিকে জামায়তে ইসলামী যে ত্রাস সৃষ্টি করেছে তাতে আন্তজার্তিক মহলে কি চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে বাংলাদেশে?
না আর ভদ্র ভাষা ভালো লাগছেনা! ওদের সাথে কোন ভদ্র ভাষা নয়! আরে চোর ডাকাতের দল তোরা কি ভুলে গেছিস যে বিএনপি আমলে দেশে বছরের পর বছর বোমা মেরে তোরা মানুষ মেরেছিস?
তোরা কি ভূলে গেছিস উদীচীর ময়দানে মানুষ মেরেছিস?
সারাদেশে একযোগে তোরা সিরিজ বোমা হামলা করেছিস?
পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে তোরা ছাড়া তো এদেশে আর কারো চুলকানি নেই!
হুমায়ূন আজাদ কে কারা কুপিয়েছিলো???
পাক সাদ জমিন সাদ বাদ এ যা লিখেছিলো হুমায়ূন আজাদ তা যে সত্যি কতটা সত্যি তা তোদের বাপের সাম্প্রতিক টেপ শুনলেই বোঝা যায় !!
সবচেয়ে বড় কথা তোরা এই স্বাধীন দেশে এভাবে কারো গায়ে হাত রাখার অধিকার রাখিস না!
তোদের প্রতিটি নীতি পাকিস্হানবান্ধব তাই আমরা চাই তোরা সমুদ্র সাঁতরে পাকিস্হান চলে যা।
তোরা এই দেশের ভালোর জন্য কোনদিন কিছু করিসনাই অথচ কিছু কুকুরের পশ্চাৎদেশ বাঁচাইতে ত্রাস শুরু করেছিস!
পরিশেষে আমার একটাই কথা এ দেশ হাসিনা বা খালেদার নয়, এদেশ আওয়ামী বা বিএনপির নয়, এ দেশ কারো বাপের কেনা সম্পত্তি নয়, শুধু লক্ষ লক্ষ প্রাণ নয়, বছরের পর বছর হাজার হাজার ত্যাগ আর আন্দোলনের ফলে পাওয়া গেছে ছোট্ট এক টুকরা এ দেশ!
কাজেই যেকোন রায়, যেকোন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র হাসিনা বা খালেদাতে সীমাবদ্ধ থাকার কোন সুযোগ নেই, যুদ্ধাপরাধের প্রতিটি রায়, প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলার বেশিরভাগ মানুষের প্রাণের দাবী, বাংলার মানুষ তাকিয়ে আছে প্রতিটি রায়ের দিকে। ব্যাপারটি একজন দুজন মানুষের বিষয় নয়।
অনেক হয়েছে, অনেক পড়েছি মিথ্যা ইতিহাস, একই নাটকের পুনরাবৃত্তি নিজের ছেলেমেয়েদের জন্যও চাইনা।
সাবধান , তোরা হুঁশিয়ার হয়ে যা, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মত আবারো ফুঁসে উঠেছে প্রাণচঞ্চল তরুনের দল, যে যুদ্ধ ৫২ তে শুরু হয়েছিলো সে যুদ্ধ ৭১ এ শেষ হয়নাই...সে যুদ্ধ শেষ হবে আমাদের নতুন কুঁড়ি, নতুন প্রাণরা শেষ করবে সে যুদ্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৯