somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বাবা ATM Booth না|| ছবি বিতর্ক

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিক্ষাখাতে আরোপিত কর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে বাজেট প্রস্তাবের পর থেকেই, কর বাতিলের দাবী ইতিমধ্যে ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। খোলা হয়েছে নানা ইভেন্ট, অনলাইনের বড় একটি অংশ এখন #NoVatOnEducation এর দখলে। গতকাল অনলাইনে আসা উপরের ছবিটি বিশেষভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, নানা রকম মন্তব্য এসেছে। আমার কলেজের এক শিক্ষক মন্তব্য করেছেন,
"If your father isn't an ATM booth (if he doesn't have abundance), you should aim at taking admission to a university college under the National University in case of your failure to get yourself admitted into a public university. It's needless to say, to be a part of the aforementioned university is more dignified than to be the students of those private universities which sell education instead of imparting quality education.
This post has been written in perspective of our country. Most of the owners of the private universities here are businessmen and they are not as honest as the owners of the world famous private universities outside our country."
আমিও স্যারের সাথে কিছুটা একমত, কিন্তু পুরোটা নয়। তিনি রাজশাহী থেকে ইংরেজীতে লেখ-পড়া শেষ করেছেন, আমার দেখা সাধারণ ও অনেক ভালো শিক্ষক এবং ভালো দর্শনবীদ।
স্যার হয়তো জানেন না, দেশে এখনো মেডিকেল ও ইন্জিনিয়ারিং কেই শিক্ষা বলে মানেন অনেকে। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি, সেখানেই সম্বলই মর্যাদা। আগে মানুষ নিজে এলাকা থেকেই বের হতে চাইত না, গ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যলয়ের গন্ডি যারা মাড়িয়েছেন তারা সাহসী ছিলেন। আর এখন মানুষ স্কুল জীবন শেষ করে বাড়ি ছাড়ে, তার আর বাড়ি ফেরা হয় না। স্যারদের কাছেই শুনেছি, এককালে "স্টার" মার্ক পেলে লোকে দেখতে আসত, এখন বাড়ি বাড়িতে বাচ্চারা স্টার পায়, কিন্তু জানেন লেখাপড়ার মান ৮০ থেকে ৩৩ এ নেমে এসেছে।
যে মানুষগুলো নিজের অজান্তেই ৪।০০ নিয়ে পাশ করছে তারা কেন স্বপ্ন দেখবে না বলতে পারেন? কেনই বা তার বাবা চাইবে না সন্তান ভালো কোথাও পড়ুক?
HSC পরবর্তী সময়টা আসলেই অনেক কষ্টের, অনেক স্বপ্ন থাকে। তাইতো আমরা পালের গোদার মতো ঢাকায় আসি, যেখান থেকে ৮০%ই ঠোকর খেয়ে ভেঙ্গে পড়ি। বাবা-মা স্বপ্ন কিন্তু থেকেই যায়, পাবলিকে চান্স না পেয়ে আমরা যখন বেসরকারীতে পাড়ি জমাই তখন আমাদের বাবারা মাটিতে অংক কষে।
জানেন স্যার, যে শিক্ষাটাকে টাকার বিনিময়ে বলা হচ্ছে, সেটার দাম ১২ লক্ষ থেকে চলছে, কোথাও আবার ৩/৪ লক্ষ। বাবার সাথে হিসেব কষে আমরা সেই অনুযায়ী ভর্তি হই, তারপর চলছে।

আমাদের বাবা, যা চাষ করে তার নায্য দাম পায় না। যে টাকা বেতন পায়, তার কর দেয়। আপনি কী জানেন আমরা বাবার টাকায় যে সিগারেট কিনে খাই তারও কর দেই। যেখানে দেশের উচ্চ আসনের মানুষগুলো দেশ লুটে পুটে খাচ্ছে, সেখানে সরকার চুপ। দেশে হলমার্ক হাজার কোটি টাকার হেরফের হয় আর সেই টাকার যোগান দিতে আমাদের বাবার শরীর থেকে রক্ত করা টাকা বাড়াতে হবে।?
তাছাড়া করতো পণ্যে হয়, শিক্ষাতো মৌলিক অধিকার। শিক্ষায় কর কেন? আমাদের পরিবার তো সকল কর দিয়ে আসছে, যারা কর দিচ্ছে না, যাদের কালো-টাকা সাদা করার জন্য আবাসন প্রকল্প চালু করা হয় তাদের ধরুণ। কেউ চুরি করবে কিছু বলবেন না, সততাই দোষ!
কথা উঠেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা ছাপানোর মেশিন কিনা?
হ্যা, তা আমরাও জানি। সেই মেসিনে কতিটুকু কাচামাল ঠালবো তা হিসেব কষেই এসেছি, এসব মেসিন থেকে বের হয়ে অনেকেই আজ উচ্চ পর্যায়ে আছেন। আর যে কথা বলা হয়েছে, কেন জাতীয় কলেজগুলোতে ভর্তি হলাম না? সেখানে ভর্টি হলেতো ৭ বছর, এখন তবু কমেছে। নতুনেরা পড়বে, স্ববাজরা স্বপ্ন দেখবে ও তা পূরণে বেসরকারীতেই ভর্তি হবে। তাছাড়া মানুষ এখন সরাসরি এসম মেসিনে টাকা ঢালতে চলে আসে, কারণ অনেক।

কথা তা নয়, দাবী একটাই। শিক্ষা পণ্য কিনা তা পরিষ্কার করে কাশতে হবে, পন্য হলে পরে দেখব। আর পন্য না হলে ৭।৫% করতো দুরের কথা করের কথা তুলেই খবর আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×