এখন আর সকালবেলা পত্রিকা হাতে বসা হয় না, রাতে অনলাইনেই সব জানা থাকে তাই। কিন্তু ২০০৮ সালে পত্রিকা হাতে বসলেই ধর্ষণের খবর চোখে পড়ত আর এখনো পড়ে। তবে যুগ বদলেছে বলে কথা, ধর্ষকরাও বদলে গেছে।
একসময় ধর্ষকরা সবাই অজানা থাকত, কিন্তু এখন আর নয়। এখন বাবা, ভাইসহ অনেক আত্বীয়ই ধর্ষক হিসাবে আবির্ভুত হচ্ছে। মেয়েরা বাইরে বন্ধু দ্বারা, ঘরে আপনজন দ্বারা আর রাস্তায় অচেনা মানুষ দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে। ৭১ সনে যতো নারী তার সন্মান হারিয়েছে গত ৫২ বছরে তার দ্বিগুন নারীর সন্মান নষ্ট হয়েছে।
আজ নারীরা তার শিক্ষক দ্বারা, পরিবারের লোক দ্বারা, প্রেমিক দ্বারা, বন্ধু দ্বারা এমনকি অফিসের সহকর্মী দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। হবেই না বা কেন, কাউকে তো তেমন কোন সাজা দেওয়া হয়না। যারা ধরা পড়ছে তাদের অনেকেই নুণ্যতম জরিমানা দিয়েই মুক্তি পাচ্ছে। আবার আমাদের দেশে বেশিরভাগ ধর্ষকই রাজনৈতিক কারণে সাজার আওতায় আসেনা, আরও আছে গ্রামের মাতব্বর যারা ধর্ষকদের সেই নারীর সাথেই বিয়ে দেন যাতে সে প্রতিরাতে ধর্ষন হয়।
যুগ বদলে গেছে, মেয়েরা মডার্ণ হয়েছে কিন্তু পুরুষত্ব সেকি?
আজ যদি কাউকে পর্দার কথা বললেই আপনি সেকেলে বা রাজাকার বা বেয়াদপ খেতাব পাবেন। মেয়েরা অর্ধাঙ্গী হতে আজ অর্ধাঙ্গ ঢেকে চলছে, আপনি দেখতে গেলেই হবেন লম্পট।
এতো কিছুর পরও কিন্তু ধর্ষন ঠেকানো সম্ভব। শুধু টানা দশজন ধর্ষককে ইসলামী মতে সাজা দেওয়া হোক। ধর্ষণের পর ধর্ষণ প্রমাণিত হলেই তাকে খোলা মাঠে চাবুক মেরে মৃত্যুদন্ড বা কালক্ষেপ না করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক, দেখবেন কালই ধর্ষণ কমে যাবে।
যদি পরিমলকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো তবে কোন শিক্ষকই ছাত্রীর সাথে এমন আচরণ করার সাহস পেত না। যদি ভারতের সেই বাস ড্রাইভার ও তার সহযোগীকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো তবে আমাদের দেশে কেউ বাসে বা অটোতে বা কারে ধর্ষতিত হতো না।
অনেকেই বলবেন এসবের কোন মানে নেই, শুধু মনে রাখবেন যে পরিবারের মেয়ে ধর্ষিত হয় সেই পরিবারই জানে যন্ত্রণা কাকে বলে। কাল আপনার আপন কেউ ধর্ষণের স্বীকার হলেই আপনিও চাইবেন দোষীর ফাসিঁ হোক। তবে আজ কেন নয়, যদি শতো লম্পটের ফাসিঁতে আগামীতে আপনার মেয়ে, বোন বা স্ত্রীর সন্মান রক্ষা হয় তবে কেন নয়?
আসুন আমাদের মেয়েদের সন্মান রক্ষার্থে আজ থেকেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা দাবী জানাই।