চিঠিপত্র লেখা একটি অার্ট, একটি শিল্প। হৃদয়ের কথা মনোরম ভাষায় অন্যের কাছে ব্যক্ত করার অন্যতম সেরা মাধ্যম হচেছ চিঠিপত্র। চিঠিপত্র যত সহজে, সুন্দর করে, প্রাণোচ্ছল ও মনোমুগ্ধ করভাবে নিজেকে প্রকাশ করে অন্যের মনকে অাকৃষ্ট করে নিজেকে সথনরাযয় অন্য কোন উপায়ে সেটা সম্ভব হয় না। জীবনের সত্যিকার সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটে চিঠিপত্রের মাধ্যমেই। অন্তরের ভাষা যদি চিঠি হয় তাহলে কাগজ হবে অায়না। অার কাগজuনামক অায়নায় মনের চেহারা দেখতে হলে চিঠিপত্র লেখা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বর্তমান অত্যাধুনিক সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার যুগে চিঠিপত্র লেখালেখি যাদুকরী শিল্প যেন ধ্বংসের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।
অামরা যেন ইচ্ছে করেই চিঠিপত্র লেখালেখি থেকে বিরত থাকছি। অামরা একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই অতি সহজে অনুমান করা যায়, চিঠিপত্র লেখার অভ্যাস, কৌশল, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য কত ব্যাপক এবং বিস্তৃত। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অাবিস্কার পৃথিবীর বুকে যেন স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন। কিন্তু এই বিজ্ঞান দিচ্ছে বেগ, কেড়ে নিচ্ছে অামাদের অাবেগ। টেলিফোন, মোবাইল, ই-মেইল, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট তথা অত্যাধুনিক ডিভাইস, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার অামাদের জীবনকে উপহার দিয়েছে স্ব-প্রয়োজন পুরনের ইচ্ছাকৃত অহংকার। কিন্তু এসবের মাত্রাতিরক্ত ব্যবহারে অামাদের দৈহিক ও মানসিক চরম ক্ষতির কারণ হয়। এগুলো ব্যয়বহুল, শ্রবণশক্তি ও মস্তিষ্কের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে এবং ক্যানসারের মত মারাত্নক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া এগুলো বিশেষ মুহূর্তে বিরক্তিকর পরিস্থিরর সৃষ্টি করে। সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার বিশ্লেষণ করলে দিবালোকের মত একথা স্পষ্ট হয়, বিজ্ঞানের এসব অাবিস্কার সাময়িক উপকার করলেও ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে মনের কাছাকাছি অাসা ও পাশাপাশি বসে গল্প করার বিকল্প পদ্ধিতি হচ্ছে চিঠিপত্র। মান - অভিমান , অাবেগ - অনুভূতি, স্বপ্ন ছোঁয়ার এক ব্যতিক্রমী উপহার চিঠিপত্র। তাই অাসুন, এসব অাবিস্কারের কাছে নিরুপায় হয়ে অাশ্রয় গ্রহণকরি। অন্যথায় চিঠিপত্র লেখালেখি করি এবং এই মহতী সাহিত্য শিল্পকে ধরে রাখার চেষ্টা করি।সেই সাথে প্রতিজ্ঞা করি, বিশ্বনন্দিত ও বিশ্ব বিস্তৃত চিঠিপত্র শিল্পকে কখনো ধ্বংসের পথে হারিয়ে যেতে দবনা।
তোমাকে এখনো ভালোবাসি, বড্ড ভালোবাসি
সহজ লভ্য ভালোবাসার প্রতিকী প্রতিচ্ছবি তুমি
সম্পর্কের সেতু বন্ধন তুমি, অনুভবের বেতার তুমি,
অসংখ্য দুঃখ সুখের নীরব স্বাক্ষী তুমি
অগনিত হাসি কান্নার ধারক তুমি
তোমাকে ছাড়া অসম্ভব একা অামি।
সভ্য যান্ত্রিকতার দূরন্ত গতির কাছে
কত অসহায় তুমি, তোমার উদারতার
অব্যক্ত কষ্টকে বুকের পাঁজরে
অাগলে রেখে, অবলীলায় স্থান ছেড়ে দিলে,
তোমার জন্য বিশ্ব সভ্যতার কাছে
অামি ভিক্ষে চাইব, অাপীল করক অাদালতে,
তবুও তোমাকে ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অাসনে ঠাঁই দিব[link||view this link]