somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শূন্য

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাবী তু‌মি থাক‌তো অা‌মি ফা‌জিলটা‌কে একটু সাইজ ক‌রে অা‌সি। এই পা‌জি ফা‌জিল দুষ্ট এভা‌বে চোখ মে‌রে ঘ‌রে পা‌লি‌য়ে এ‌লে কেন? ভা‌বি বু‌ঝে‌নি বু‌ঝি! হাত পাত , কি হল বল‌ছি হাত পাত। যখন তখন .....অামার বু‌ঝি তোমার মত কোন কাজ নেই। ই‌তি ভুল হ‌য়ে গে‌ছে মাফ ক‌রে দাও না । না না তোমা‌কে অ‌নেক মাফ ক‌রে‌ছি। একটু পরেই তু‌মি ভু‌লে যা‌বে। তোমা‌কে অ‌নেকবার ব‌লে‌ছি। হাত পাত না হ‌লে এই বেত দি‌য়ে পি‌টি‌য়ে লম্বা ক‌রে দেব। অাজ তোমা‌কে এমন ভা‌বে পেটাব যা‌তে ওই হাত দি‌য়ে অামা‌কে যখন তখন জাপ‌টে ধ‌রে.....। ই‌তি শোন অাজ না । অাজ না অা‌মি তোমার কোন কথাই শুনব না। ও‌রে বাপ‌রে এত্ত রাগ কেন ল‌ক্ষ্মী‌টি। স‌ত্যি বল‌ছি কা‌নে কা‌নে একটা কথা বলব। ওখান থেকেই বল। না চু‌পি চু‌পি বলব। ঠিক অা‌ছে শুভ। কথা শুন‌লেও কিন্তু পেটাব। এই তাড়াতা‌ড়ি বল। তু‌মি তাহ‌ে‌লে বেতটা টে‌বি‌লে রাখ। এখন বল। অার একটু কা‌ছে এ‌সো । বল এই ছেড়ে দাও বল‌ছি। মজাটা দেখা‌চ্ছি। কা‌নে কা‌নে বল‌বে ব‌লে চালা‌কি করছ না। ছাড় বল‌ছি ভা‌লো হ‌বে না কিন্তু। ছাড়ব না। ভাবী‌কে ডাক দিব কিন্তু। ডাক। শুভ প্লিজ এখন না রা‌তে । অত্ত কাজ । ভাবী চ‌লে অাস‌বে‌নি প্লিজ দরজা খোলা। অাসুক লজ্জায় ম‌রে যাব‌নি। না মি‌স্টি বউ অামার ভাবী ভু‌লেও অাস‌বে না । অাস‌তেও তো পা‌রে! ঠিক অা‌ছে জান দরজাটা বন্ধ ক‌রে অা‌সি। অাচ্ছা। এবার মার একটাও মা‌টি‌তে পড়‌বে না। ই‌তি অমা‌কে মার‌লে অা‌রো ভা‌লো হ‌বে‌নি । তোমা‌কে অাদর ক‌রে খাওয়া‌তে হ‌বে গোসল করা‌তে হ‌বে....। সেটা প‌রে দেখা যা‌বে‌নি। ই‌তি শোন তার চে‌য়ে কা‌নে ধ‌রে উঠ বস ক‌রি ম্যাডাম। না হ‌বে না। ই‌তি ঐ ‌দেখ তেলা‌পোকা বল‌তেই ঝা‌পি‌য়ে পড়ল জ‌ড়ি‌য়ে ধরল। অার যা হোক তেলা‌পোকা‌কে ই‌তির ভীষন ভয়। কেন জা‌নি ই‌চ্ছে ক‌রেই হয়ত ভ‌য়ের অ‌ভিন‌য়েই ই‌তি অামার বুকে স্বর্গের শা‌ন্তি খু‌জে। ভাবী ভাবী ও ভাবী স‌রি ওর না ভীষণ মাথা ব্যথা অাস‌তেই দেই না। ও বু‌ঝেছি! সাইজ কর‌তে গি‌য়ে নি‌জেই বু‌ঝি সাইজ হ‌য়ে এ‌লে। ভাবী তু‌মি যে কি বল না। ব‌লি না চল কাজ শেষ । অাজ পুকু‌রে দ‌স্যিপনা ক‌রে গোসল করব।



এই লতা পড়াশুনা কর‌বে না‌কি? টে‌বি‌লে বস‌লে কেন ! রাত হ‌য়ে‌ছে শু‌য়ে পড়, ঘুমা‌বে না। শু‌য়ে পড় ঘুমা‌বে না। লতা ভেং‌চি মে‌রে কথা বলছ কেন? তাহ‌লে কিভা‌বে বলব ! এ‌তো রাগ দেখাচ্ছ কেন ? অাচ্ছা অভ্র তু‌মি কখ‌নো ঠিকমত ঘুমা‌তে দি‌য়ে‌ছে। তোমার মি‌স্টি দুষ্টপনায় কখন যে অা‌মি তোমার মা‌ঝে হা‌রি‌য়ে যায় বুঝ‌তে পা‌রিনা,‌ শেষ‌মেষ যা হবার তাই হ‌য়ে যায়। অা‌মি তোমার সা‌থে ঘু‌মো‌তে পা‌রি একটা শ‌র্তে। অাচ্ছা বল কি‌সের শর্ত ? তু‌মি অামা‌কে একদম ছোঁয়া দি‌তে পার‌বেনা। অামা‌দের মাঝখা‌নে একহাত দূরত্ব থাক‌বে। অাচ্ছা মি‌স্টি পরী স্বামী স্ত্রী ঘুমা‌তে হয় কি শর্ত দি‌য়ে....। তোমা‌কে শর্ত না দি‌লে তু‌মি সোজা হ‌বে না। ‌ ঠিক অা‌ছে ঘু‌মিও না অা‌মি ঘু‌মি‌য়ে পড়লাম। ...ফা‌জিলটা ম‌নে হয় ঘু‌মি‌য়েছে। না ঘুমা‌লে এ‌তক্ষন কথা না ব‌লে থাক‌তেই পারত না। যাই শু‌য়ে প‌ড়ি চু‌পি চু‌পি। ঘু‌মে চোখ ভার হ‌য়ে অাস‌ছে। কি ব্যাপার ঘুম অাস‌ছে না কেন? তাহ‌লে কি অা‌মি ওর দু‌স্ট ভা‌লোবাসার মি‌স্টি পর‌শে অভ্যস্ত হ‌য়ে গে‌ছি। এই অভ্র ঘু‌মি‌য়ে গে‌ছো না‌কি। রাগ করনা তো কথা বল। তোমার স্প‌র্শের যাদুকরী অা‌বেদ‌নে অা‌মি মুগ্ধ হ‌য়ে উ‌ঠি, তোমার স্বর্গীয় শিহর‌ণে অামার ভিত‌রের অনুভূ‌তি কথা ব‌লে। অা‌মি বিমুগ্ধ হই হা‌রি‌য়ে যায় অন্য কোন শা‌ন্তির রা‌জ্যে। রাগ ক‌রে থে‌কো না তো স‌রি বল‌ছি কথা বল। তু‌মি কষ্ট পাও এমন কথা বা কাজ অা‌মি অার কখনই করব না। ঠিক অা‌ছে অ‌ভিমা‌নের মি‌স্টি রা‌গে সময় ফু‌রি‌য়ে ভোর হ‌লে ....। অা‌মি কিন্তু অাযা‌নের অা‌গে গোসল সে‌রে নামাজ কা‌য়েম করব। তাছাড়া বা‌ড়ি ভরা অাত্নীয় অা‌মি লজ্জায় লাল হ‌য়ে যাব। মোর‌গের ডা‌কে ঘুম ভাঙ্গ‌তেই দু'‌ফোটা জল ফেল বলল কত‌দিন কোন অাত্নীয় সজন বেড়া‌তে অা‌সে‌নি।


সময় থা‌মে না। শুধু চ‌লে অার চ‌লে। সেই অনন্তকাল প্রবাহে প্র‌তি‌দিনই অা‌সে প্রসন্ন প্রভাত, অা‌সে নির্জন দুপুর, বিষন্ন সন্ধ্যা, সন্ধ্যার পর গভীর রা‌ত্রি। অার অা‌মি রা‌ত্রির ত্রিপ্রহর অ‌তিক্রম ক‌রে সমস্ত বিশ্ব প্রকৃ‌তি যখন ঘু‌মের রা‌জ্যে বি‌ভোর তখন তোমা‌কে ভাব‌ছি । অযুত নিযুত দূ‌রের সূর্যমুখী যেমন সূ‌র্যের প্রসন্ন প্রসাদ পে‌তে উন্মুক হ‌য়ে থা‌কে ঠিক তেম‌নি অামিও তোমার ন‌ন্দিত সা‌ন্নি‌ধ্যের প্রত্যাশায় থা‌কি।

মানু‌ষের কথ কথায় বলার থা‌কে, কত কথায় না বলা হয়, কত কথায় না হা‌রি‌য়ে যায় কা‌লের প্রবা‌হে। এক সময় যা ম‌নে হয় পর ক্ষ‌ণেই ভু‌লে যায়। যা বলা প্র‌য়োজন তা বলা হয় না অাবার যা প্র‌য়োজন নেই তাই বলা হয়ে যায়।
এক সময় অনন্য সাধারণ স্বপ্ন ছিল বু‌কের সবুজ ক‌রিড‌রে, এখন যে নেই তা নয়, তবু কেন জা‌নি স্ব‌প্নেরা অাজ বর্ণহীন। দা‌রিদ্র য‌দি পাথর হয় অার স্ব‌প্নেরা য‌দি সবুজ ঘাস হয় তাহ‌লে দা‌রিদ্র নামক পাথ‌রের চা‌পে অামার স্ব‌প্নের সবুজ রং বিবর্ণ। অামার কল্পনার অানন্দ মা‌ঝে মা‌ঝে বিষাদ সিন্দু‌তে প‌রিনত হয়। মৃত্যুর অাহ্বান অামার কা‌ছে জাগ‌তিক শা‌ন্তির অমৃত সুধা
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×