১৭ মার্চ "বিশ্ব শিশু দিবস" কতদিবসই না পালন করতে হয় অামাদের। কত অায়োজন কত ঘটা করেই না কত কিছু দেখাতে হয়। যে কোন দিবসের অাড়ালে দিবসটি উৎযাপন করতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয় অথচ পরিবর্তনের প্ল্যাটফর্ম শূন্যয় রয়ে যায়।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকেরও বেশি শিশু। কিন্তু শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছেনা। গত কয়েক বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত পৃথিবীতে ক্ষতিগ্রস্থ সৈনিকের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর সংখ্যা বেশি। অামাদের তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র পীড়িত এই দেশে শিশু শ্রমের সাথে জড়িয়ে অাছে প্রায় তিন কোটির ও বেশি শিশু। অামাদের শিশুরা মোটেও ভালো নেই। পুষ্টিহীনতা দারিদ্রতা তাদের নিত্য সঙ্গী। রাস্তায় বের হলে ফুটপাতের পথ শিশুদের দিকে মমতার দৃষ্টিতে তাকালে চোখ ভিজে যায়।
অাবেগের কান্না ভেজা বৃষ্টিতে ব্লগের বন্ধুদের হৃদয় জয় করা লেখনীর ক্ষমতা অামার নেই। কিন্তু কেন জানি বারবার চোখ সিক্ত হয়ে যাচ্ছে । বারবার চেষ্টা করেও লিখতে পারছিনা।
অামার মত যারা অসহায় যাদের কিছু করার সামর্থ্য নেই তারাও একযোগ হয়ে সামর্থ্যবানদের কাছে যাওয়ার সময় নেই।এই ব্লক ভুবনের অনেকেই রয়েছেন যাদের একটুখানি দয়ায় অনেক অসহায় শিশুর ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। ধরুন এক কাপ চায়ের টাকা,একটা সিগারেটের টাকা অথবা অপচয়ের ছোট্র খাদ হতে সঞ্বিত টাকা এই সব সুবিধা বঞ্বিত শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করি না। একবার ভাবুন অামরাও তো শিশু ছিলাম।
কতকিছুই নিযে না অামাদের গর্ব । নিষ্পাপ এই শিশুদের মুখে স্বর্গের হাসি ফুটিয়ে অাশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের অাসনে অধিষ্ঠিত করি। অনেক বিত্তবানেরা ভাবেন কাকে বিশ্বাস করব , কাদের হাতে তুলে দিব!! তারাই না জানি অাত্নসাধ করেন। সবই সত্য, তাহলে একযোগে দিন তারিখ ক্ষন নির্ধারণ করে মহৎ কাজে নেমে পড়ি।
দারিদ্র্যের নিষ্ঠুর ছোবল হতে নিস্কৃতি অথবা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাসাবাড়ি কল কারখানা মাঠে ঘাটে দোকানে কাজ করে থাকে। শিশুরা হচ্ছে অাগামী দিনের কর্ণধার, ভবিষ্যতের রক্ষাকবচ। ভাগ্যের পরিহাসে হয়ত তারা সমাজের অার দশজন শিশুর মতো জীবন যাপন করতে পারে না। মৌলিক মানবিক অধিকার তাদের কাছে যেন অভিশাপ। একটু স্নেহ ভালোবাসা তাদের কাছে যেন সোনার হরিন। মায়া মমতা অাদর সোহাগ স্নেহ ভালোবাসার কোমল অনুভুতি যেন তারা দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে। সমাজের বিত্তবান মহল যদি একটু সচেতন হন এবং এসব শ্রমজীবি পথশিশুর কথা ভাবেন এবং তাদের জন্য কাজ করেন তাহলে তারাও একদিন অাদর্শ মানুষ হতে পারে। অার অাদর্শ মানুষ হতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই অাসুন সর্বমহলের প্রতি বিনীত অাবেদন একবারের জন্য হলেও এসব শ্রমজীবি শিশুর কথা ভাবি। অনন্ত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করি। অাসুন, সবাই মিলে অবহেলিত পথ শিশুদের পাশে দাঁড়ায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১১