কি মারাত্নক ভুলটাই না অামরা করছি প্রতিদিন
অত্যাধুনিক সভ্যতার অহংকারে অামরা গর্বিত ঠিকই অথচ প্রতিনিয়তই অামরা অামাদের ক্ষতি (নিজেরা) করছি । অাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর চোখ ধাঁধানো অফিস অাদালত হোটেল রেস্টুরেন্ট অাবাসিক অনাবাসিক স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা এতিম খানা ট্রাভোল এজেন্সীগুলো ধর্মীয় উপাশনালয় বাসা বাড়ি সর্বত্রই যেন এই সবের নির্মাণ কারিগর হিসেবে কাজ করছে। অার অামরা ধীরে ধীরে ভুলের পথ ধরে মরণের পথে মারাত্নক ক্ষতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । অাল্লাহ অামাদের সঠিক পথে পরিচালনা করুন অামিন।
দাঁড়িয়ে_প্রস্রাব_করলে_পুরুষের_যেসব_ক্ষতি_হয়ঃ~
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যে সব মারাত্মক ক্ষতি হয় সেগুলো নিম্নরুপঃ~
(১) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপর কোন চাপ না পড়ার ফলে দূষিত বায়ু বের হতে পারে না বিধায় তা উপর দিকে উঠে যায় যার ফলে অস্থিরতা , রক্ত চাপ , হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বেড়ে যায়, খাদ্যনালী দিয়ে বার বার হিক্কা আসতে থাকে।
(২) দাঁড়িয়ে প্রস্রাবের করার ফলে প্রস্রাব থলি সরু ও লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে যার দরুণ দূষিত পদার্থগুলো থলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলিতে চাপ লাগে ফলে সহজেই ঔসব দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
(৩) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কিডনিতে অতি সহজে পাথর সৃষ্টি হয় ।
(৪) দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ কমতে থাকে।
(৫) যারা নিয়মিত দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন তাদের অবশ্যই শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনী রোগ হবেই এত কোনই সন্দেহ নেই
(৬) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যৌন শক্তি কমতে থাকে এবং পুরুষাঙ্গ নরম ও তেনাতেনা হয়ে যায় এবং সহজে সোজা ও শক্ত হতে চায় না। উত্তেজনার সময় যদিও শক্ত হয় কিছুক্ষন পর কিছু বের না হতেই তা আবার ছোট ও নরম হয়ে যায়।
(৭) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পরিবেশ দূষিত হয়। সেই দূষিত বায়ু আমাদের দেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি হয় ।
(৮) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিঁটা দেহে ও কাপড়ে লাগে ফলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
(৯) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে সকল ধর্মের ফরজ কাজগুলো পালন করা সম্ভব হয় না।
(১০) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে অন্ডোকোষ নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। এবং প্রস্রাব থলি শরীরের বর্জ্য পদার্থের ডাস্টবিন হয়ে যায়।
(১১) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্টেস গ্রন্থির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট হয় রক্তের গতি স্পন্দনের মাত্রা কমে অাসে ফলে পুরুষত্বের যৌবনী শক্তি কমে অাসে।
(১২) দেহের জীবনিশক্তি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলে উপরোক্ত দৈহিক সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে বসে প্রস্রাব করা উচিত।
অথচ সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স চৌদ্দশত বছর আগেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন এবং বসে প্রস্রাব করার আদেশ দিয়েছেন
উপদেশ~
মানুষ অভ্যাসের দাস অার অভ্যাসও মানুষের করায়াত্ত সোয়ারী। যে অভাস অাপনার জীবনকে নীরব ঘাতক হয়ে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় সে অভ্যাস অবশ্যই পরিত্যাজ্যে অাপনার জন্য অাশির্বাদ। নিন্দনীয় ও দৃষ্টিকটু অভ্যাস গুলোর মাঝে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা অন্যতম। সামাজিক শোভনীয়তায়তা ও পরিবেশগত সৌন্দর্য্য রক্ষার ক্ষেত্রে বসে প্রস্রাব করা বাঞ্ছনীয়। মনে রাখবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনে অাপনার ইচ্ছে শক্তিই যথেষ্ট।
তাই অাসুন না, অাজই ইস্পাত কঠিন প্রতিজ্ঞায় অাবদ্ধ হই ঃ~ ক. দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করব না। খ. পানীয় ও ব্যবহার্য পানির মধ্যে প্রস্রাব করব না। গ. পরিবেশ পরিস্থিতি ও স্হান বিশেষে বসে ধর্মীয় বিধান মতে প্রস্রাব করব।ঘ. ইসলাম ধর্মমতে প্রস্রাব শেষে পানি ঢেলা টিসু ব্যবহার করা উচিত যাতে অাপনার শরীর অাত্না মন পোশাক পরিচ্ছেদ পবিত্র থাকে ও ধর্মীয় ফরজ কাজগুলো মনের পরিশুদ্ধতায় সম্পন্ন করা যায়। অাল্লাহ অামাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন । অামিন
উদ্দেশ্য ~ তাহলে প্রযুক্তি নির্ভর সভ্যতার উদ্দেশ্য কি!!! সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল অাধুনিকতার স্মার্টনেসে অামরা কোথায় যাচ্ছি তা নিজেরাও জানিনা। অাধুনিকতার অহংকার রোগব্যাধির খামার বাড়ি সৃষ্টি হচ্ছে।।
ডাঃ এ এইচ এম কামাল হোসেন
ডিপ্লোমা ইন অায়ুর্বেদিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী
ঢাকা
।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭