somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটাই অামার ই‌তিহাস

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯ সামু ব্ল‌কে অামার জীব‌নের শ্রেষ্ঠ লিখা পৃ‌থিবীর সব‌চে‌য়ে নিকৃষ্ঠ লেখার স্বীকৃত লা‌ভের জন্য বিশ্ব প্রকাষক লেখক পাঠক মহ‌লের কা‌ছে অা‌বেদন। জীব‌নে এর চে‌য়ে বড় অবাক হবার অার কিছুই নেই। অাপনারা জে‌নে খু‌শি হ‌বেন কিনা অা‌মি জা‌নিনা। ত‌বে অা‌মি অামার স্রষ্টা অাল্লাহ পা‌কের নিকট খু‌শি। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন‌স্টি‌টিউট ও হাসপাতাল, ঢাকায় বেড নং ৪০৩ অাগামীকাল অপা‌রেশন কর‌বেহন । অা‌মি এজন্য খু‌শি যে সামু ব্ল‌গে একজন লেখকও পেলাম না যে‌কিনা সাহা‌য্যের হাত প্রসা‌রিত কর‌ছেন । অামা‌কে ক্ষমা করুন দোয়া করুণ অা‌মিন






পরিশোধিত সাহায্য চাই
অনিকেত কামাল



"মানুষ মানু‌ষের জন্য জীবন জীব‌নের জন্য"
একটু সহানুভূ‌তি কি মানুষ পে‌তে পা‌রে না ও বন্ধু

চমকে উঠা বা অবাক হওয়ার মত তেমন কিছুই নেই অামার জীব‌নে। সাদাসিধে ভাষায় সাদামাঠা প্রকা‌শের অা‌বেদন। এই অা‌বেদন জীবন না‌ট্যের ম‌ঞ্চে হে‌রে যাওয়ার অা‌বেদন, এই অা‌বেদন বেঁ‌চে থাকার লড়াই এর অা‌বেদন, এই অা‌বেদন পৃ‌থিবী‌কে দেখার অা‌বেদন, এই অা‌বেদন অাপনা‌দের প্রিয় লেখা পড়ার অা‌বেদন, এই অা‌বেদন অাপনারা যারা অামা‌কে সাহা‌য্যের ঋ‌ণে ঋণী কর‌বেন সেই ঋণগ্রস্থ জীব‌নের দায়ভার থে‌কে মু‌ক্তির অা‌বেদন।

সামহয়্যার ইন ব্লগে আমি একজন নিতান্তই সাধারণ মানের লেখক। ই‌চ্ছে ছিল শততম পোষ্টে লেখাটি পোষ্ট করব। কিন্তু আমার ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ~ অদৃষ্টের‌ কি নির্মম নিষ্ঠুর বিড়ম্বনা। খড়কু‌টোর ম‌তোই এ‌লো‌মে‌লো লেখার অাত্নপ্রকাশ করলাম। অকাল গ‌র্ভোপা‌তের ম‌তোই প্র‌য়োজন অার অস্থায়ী পরাজয় অামা‌কে বাধ্য করল ।

আমার এই লেখা সামহয়্যার ইন ব্লগে নয়, আমার এই লেখা বিশ্ব বি‌বে‌কের কাছে নয়, আমার এই লেখা জাতীয় সভ্যতার কাছে বা অান্তর্জা‌তিক সভ্যতার কা‌ছে নয়, অামার এই লেখা বিশ্ব মানবতার কা‌ছে নয়, অামার এই লেখা সামুব্লগের সকল ব্লগারদের কাছে।
যা‌দের‌কে বিশ্বাস ক‌রি ম‌নেপ্রা‌ণে, ভা‌লোবা‌সি অন্তর থে‌কে, তা‌দের কা‌ছে। য‌দিও অাপনারা অামার র‌ক্তের বন্ধ‌নে অাবদ্ধ নন কিন্তু কোথায় যে‌নো অাত্নার অনাত্নীয় বন্ধ‌নের মায়াবী টান র‌য়ে‌ছে। যে টান বা অাকর্ষণ অামা‌কে ইস্পাত ক‌ঠিন বিশ্বা‌সের প্লাটফ‌র্মে দাঁড় ক‌রি‌য়ে দেই।‌ যে টান অামা‌কে স‌ত্যিই বাঁচার অণু‌প্রেরণা যোগায়।

আমার মনে হয় প্রত্যেক‌টি মানুষ সামাজিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচ‌তে চাই । অ‌বোলা প্রাণী তারও অাত্নমযর্দার ব্যাঘাত ঘট‌লে জানান দি‌তে চেষ্টা ক‌রে। জীব‌নের সব‌চে‌য়ে বড় পরাজয় অাপনা‌দের কা‌ছে প‌রি‌শো‌ধিত সাহা‌য্যের জন্য হাত বাড়া‌নো। বন্ধুরা অামার এই হাত পে‌তে সাহায্য চাওয়া ভি‌ক্ষে চাওয়া নয়।

কত সুন্দর আমাদের এই পৃথিবী। অথচ যার চোখ থে‌কেও দৃ‌ষ্টিহীন সে জা‌নে দৃ‌ষ্টি হীনতার যন্ত্রণা। অার যার চোখ অা‌ছে অথচ উপযুক্ত চি‌কিৎসা করা‌তে পার‌ছেনা সেই জা‌নে তার জন্য পৃ‌থিবীটা কত বড় অ‌ভিশপ্ত। অা‌মি তেম‌নি একজন হতভাগা মানুষ / ব্লগার। অাজ থে‌কে প্রায় দশ বছর অা‌গে চো‌খে অাঘাত পে‌য়ে ডান চোখ ছা‌নি প‌ড়ে দৃ‌ষ্টিহ‌ীন হ‌য়ে‌ছে । সাম‌র্থ্যের সব টুকু দি‌য়ে চি‌কিৎসার চেষ্টা ক‌রে‌ছি । ইসলা‌মিয়া হাসপাতাল, লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল, ঢাকা। বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল কক্সবাজার। সর্ব‌শেষ জাতীয় চক্ষু‌বিজ্ঞান ইন‌স্টি‌টিউট,ঢাকা। বর্তমান সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছি । অপা‌রেশন ক‌রেই ফেলব । স্বাভা‌বিক চো‌খের ম‌তো দেখ‌তে উন্নত ল্যা‌ন্সের দাম প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকার ম‌তো। চা‌চ্ছিলাম সবার সাহায্য পে‌লে সেটা সম্ভব। বন্ধুরা দু'হাত পে‌তে অাপনা‌দের কা‌ছে সাহায্য চা‌চ্ছি । কিন্তু প্র‌তিশ্রু‌তি দি‌চ্ছি অবশ্যই তা ফেরত দিব। য‌দি প‌রি‌চিত কোন ভা‌লো ডাক্তার অাপনার জানা থা‌কে অামা‌কে জানান সাহায্য ক‌রেন। অাগামী সোমবার ২০/১১/২০১৭ তা‌রিখ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন‌স্টি‌টিউ‌ট ঢাকায় যাব। স‌র্বোতভা‌বে অাপনা‌দের যে‌ কোন সাহায্য অামার জীব‌নের শ্রেষ্ঠ উপহার হ‌য়ে থাক‌বে।


অঙ্গীকার নামা অঙ্গীকার নামা অঙ্গীকার নামা

এই মর্মে পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর না‌মে শপথ করে বলছি, শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ কোরঅান শরীফ ছুঁয়ে শপথ কর‌ছি, আমার জন্মদাতা পিতা য‌দি একজন হ‌য়ে থা‌কে, যদি অা‌মি একজন মা‌য়ের গ‌র্ভে জ‌ন্মে থা‌কি তাহলে আমি একে একে প্রত্যেকেরই সাহ‌য্যের ঋণ প‌রি‌শোধ ক‌রে দিব। অাপনারা যারা অামা‌কে সহায়তা কর‌তে চান, আমাকে সাহায্য করতে চান, অবশ্যই অাপনারা মোবাইল নং প‌রি‌চি‌তি সহ ঠিকানা প্রদান করবেন। ধারাবাহিক ভা‌বে প্র‌ত্যে‌কের প্রদত্ত সাহায্য অা‌মি ফেরত দিব। অা‌মি অাপনা‌দের কা‌ছে পা‌য়ে ধ‌রে সাহায্য চাই। অামার কা‌ছে ২৫/২৬ হাজার টাকা র‌য়ে‌ছে। বাকীটা অাপনা‌দের নিকট প‌রি‌শোধ করার প্র‌তিশ্রু‌তি‌তে সাহায্য চা‌চ্ছি। পৃ‌থিবীর শ্রেষ্ঠ স্থান মস‌জি‌দে নামাজ শেষ ক‌রে পোস্ট দিলাম। যেখা‌নে কেউ কখ‌নো মিথ্যে বল‌তে পা‌রে না।



সত্যিই আজব পৃথিবীর রহস্যময় জগত সংসার। পাহাড় সমান দুঃখ নি‌য়ে যে বাঁচতে পারে সে কিনা ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যায় । অবাক লাগে ছবি নির্মাণ করতে যারা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালায় তারাই সমাজের অবহেলিত । সত্যিকার অর্থেই ভালো মানুষ কখনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না ।

কত ঘটনায় না আমাদের চারপা‌শে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। কত ঘটনা আমাদেরকে পড়তে হচ্ছে। কত ঘটনায় আমরা অশ্রুসিক্ত হয়ে প‌ড়ি, কত ঘটনা বুকের পাজোর ভেঙ্গে খানখান হ‌য়ে যায়। মানবতার দৃষ্টিতে একবার যদি আমরা ফিরে দেখি দেশের কত মানুষকে নাকি কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা কর‌তে হ‌চ্ছে। ক'জনেরই বা আমরা খবর রাখি। সবাই ব্যস্ত সবার ম‌তো ক‌রে। কেউ বুঝতে চায়না। জান‌তেও চাই না, উপল‌দ্ধিও ক‌রতেও চায় না। কি করে আমরা এতো বেইমান হলাম। আমাদের বিবেক কি কথা বলে না। এই বাংলার সরকারী প্রসাশ‌নে খাবা‌রের যে অপচয় হয় সেগু‌লোর স‌ঠিক ব্যবহার হ‌লে ব‌স্তি থে‌কে শুরু ক‌রে দে‌শের কোন মানুষ না খে‌য়ে থাক‌বে না এই বাংলার মানু‌ষের সামা‌জিক অনুষ্ঠা‌নের অপচয়‌কে এক জায়গায় করা হ‌লে দা‌রিদ্র শব্দ‌টি বাংলার মানুষ ভু‌লে যা‌বে, এই বাংলার বুকে কত অপচয়কারী মানুষ আছে যা‌দের একদিনের অপচয়কে যদি এক জায়গায় করা হয় তাহলে ‌ কোন মানুষ অার না খেয়ে থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষের খাদ্য ভান্ডার থাকবে। এই বাংলাদেশের মানুষের একদিনের উপার্জনের টাকা যদি এক জায়গায় করা হয় প্রত্যেকটি মানুষের এক‌টি ক‌রে বাড়ি থাক‌বে। এই বাংলার মানুষের মাঝে ধর্মীয় নিয়ম-নীতিতে যদি অর্থ-সম্পদ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে (অর্থাৎ যাকাত ফেতরা ) তাহলে প্রত্যেক‌টি মানুষের দামী বাড়ি গাড়ি থাক‌বে। কবে আমরা মানুষের উপকার করতে শুরু করব। কতভাবেই না আমরা আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমরা কি সত্যিকারের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠ‌তে পা‌রি না। আমরা কি পারি না একটু সহানুভুতি দিয়ে আমাদের চারপাশের সমাজ কে বদলে দিতে। অামরা কেন পারি না, আমরা কেন শুধু কথার রাজা, অামরা কেন নিজের ভিতর আদর্শ স্থাপন করতে পারি না। আমরা লিখতে পারি ক্ষমতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনেক কথাই বলতে পারি। আমরা কি সত্যিকারের মানুষ হতে পারি না । আমাদের বিবেক কি সচেতন হ‌তে পা‌রে না। তেলা‌পোকার ম‌তো অ‌স্তিত্ব টি‌কে রে‌খে কি লাভ। না হয় কুকুরের মত মরে যাওয়ায় শ্রেয়ঃ।

অা‌মি মধ্য‌বিত্ত ঘ‌রের সন্তান।খুব কাছ থে‌কে দুঃখ সু‌খের অ‌ভিজ্ঞতা হ‌য়ে‌ছে অামার। এক বোন অার তিন ভাই সহ ছয় সদ‌স্যের প‌রিবার অামা‌দের। টানা পোড়‌নের সংসা‌রে দে‌খে‌ছি মা বাবার কি কষ্ট !! বছ‌রে ছ'মাস টে‌নে টু‌নে সংসা‌রের মাধ্য‌মে চল‌লেও বাকী ছ'মাস অামা‌দের ভীষণ বর্ণনাতীত কষ্ট হ‌তো।

বহু‌দিন দে‌খে‌ছি খাবার রান্না করার প‌রে ভাগ বা‌টোয়ারা ক‌রে খে‌তে। কিন্তু‌ মা বাবা উ‌পোষ থাক‌তেন প্রায়ই । কখ‌নো অাঁ‌চলের অাড়া‌লে মা‌কে ফুঁ‌পি‌য়ে ফুঁ‌পি‌য়ে কাঁদ‌তে দে‌খে‌ছি, বাবা‌কে দে‌খে‌ছি বিষন্ন চো‌খে দু‌রের অাকাশ দেখ‌তে। বহুবার মা‌কে ব‌লে‌ছি দেখ মা অা‌মি লেখাপড়া শি‌খে ভা‌লো চাকরী কর‌লে অার অামা‌দের কোন দুঃখ থাক‌বে না। বড় হ‌য়ে‌ছি লিখাপড়া শি‌খে‌ছি নি‌জে কোন রক‌মে বেঁ‌চে থাকার মত চাকরীও কর‌ছি। কিন্তু ক‌ষ্টের দীর্ঘশ্বাস অা‌রো দীর্ঘ হ‌য়ে‌ছে। ম‌নে হয় অা‌গের জীবনটাই ভা‌লো ছিল।

একটু বু‌দ্ধির পর অামার জানা ম‌তে ম‌নে প‌ড়েনা কোন বায়না ধ‌রে মা বাবার ম‌নে কষ্ট দি‌য়ে‌ছি। বরাবরই ভা‌লো ছাত্র ছিলাম এবং ভা‌লো অাচর‌নের কার‌ণে সবার প্রিয় ছিলাম। কিন্তু কেন জা‌নি কি‌সের কার‌ণে ভাগ্য নির্মাতা অামার প্র‌তি বিমুখ হ‌য়ে গে‌লেন । অা‌মিও ছিট‌কে পড়‌তে থাকলাম জীব‌নের উ‌দ্দেশ্য হ‌তে।

‌ নি‌জে‌কে সান্ত্বনা দেওয়ার কোন ভাষাই অার অামার অব‌শিষ্ট নেই। পরা‌জিত যন্ত্রণার অাগু‌নে পু‌ড়ে মর‌ছি অনবরত। অামার যে অার কোন উপায় নেই। ভা‌গ্যের কি নির্মম প‌রিহাস, অদৃ‌ষ্টের কি বিড়ম্বনা, জীব‌নের স্বপ্নঝরা তপ্ত অ‌ভিলা‌ষের প্লাটফ‌র্মে শুধুই হাহাকার। না পাওয়া, না পারা, কিংবা যৎসামান্য পেয়ে হারা‌নোর কষ্ট ঘুণ পোকার ম‌তো কু‌ড়ে কু‌ড়ে খায় অামার ভিতর বা‌হির। অা‌মি ডানা ভাঙ্গা বিহ‌ঙ্গের ম‌তো ছটফট ক‌রি অার প্রবী‌নের ম‌তো ফি‌রে দে‌খি অামার অতীত। প্র‌তি‌টি মুহূ‌র্তেই ক্ষত বিক্ষত প্রা‌ণের অশ্রু‌ভেজা বৃ‌ষ্টি ঝ‌রে প‌ড়ে অামার
নিস্ফল জীব‌নের অক্ষম অা‌ঙিনায়।

যখন ছোট ছিলাম বুঝ‌তে শিখ‌তে শুরু করলাম তখন থে‌কেই কল্পনার নক‌শি কাঁথায় স্বপ্ন বুন‌তে থাকলাম। কিন্তু বি‌ধি বাম অামার স্ব‌প্নের অপমৃত্যু হ‌তে চলল। ভা‌লোভা‌বেই এ‌গো‌তে ছিলাম অতপর ছন্দপতন। এস এস পাশ করলাম। অাশারুপ না হ‌লেও মন্দ না। তারপর একরকম দা‌রি‌দ্র্যের নির্মম কষাঘা‌তে হঠাৎ থম‌কে যাওয়া। উ‌ঠে দাঁড়া‌তেই জীবন থে‌কে ক‌য়েক বছর হারালাম । তবু হাল ছে‌ড়ে দিইনী। মানু‌ষের লা‌থি গু‌তো খে‌য়ে চরম ধৈর্য ধ‌রে এ‌গো‌তে এ‌গো‌তে প্র‌তি‌ষ্ঠিত জায়গায় পৌঁছ‌তে না পার‌লেও একরকম সান্ত্বনার জায়গাতে পৌঁ‌চেছি। কিন্তু যন্ত্রণার ঘা‌য়ে মলম দি‌তে পারলাম না। সম্মা‌নের অাত্নমর্যদা সবার জীব‌নে শোভা পায় না। বেঁচে থাকার জন্য দে‌শের এপান্ত হ‌তে ওপ্রা‌ন্তে ঘু‌রে বেড়া‌চ্ছি অার বি‌বে‌কের দং‌শনে প্র‌তি‌নিয়ত দং‌শিত হ‌চ্ছি।

সু‌খের সা‌ন্নিধ্যে না‌কি মানুষ দুঃখে‌কে ভু‌লে যায়। কিন্তু যা‌দের জীব‌নে দুঃ‌খের সা‌টি‌ফি‌কেট চিরস্থায়ী তারা কি ক‌রে দুঃখ, কষ্ট , যন্ত্রণা , হাহাকার, অপ্রা‌প্তি, অব‌হেলা, উ‌পেক্ষা, উপহাস, অ‌ভিশাপ কি ক‌রে ভু‌লে যায় !!! ম‌নে প‌ড়ে ক‌ষ্টের স্নৃ‌তিগু‌লোর কথাঃ- ময়দা গু‌লে গরম ক‌রে খাওয়া, কাঁচা পেঁ‌পে, কাঁচা পেয়ারা খে‌য়ে জীবন বাঁচা‌নো, ফে‌লে দেওয়া কলার চোচা খাওয়া, বি‌নে পয়সায় পাওয়া অব‌হেলায় অব‌হে‌লিত প‌থের ধা‌রে কিংবা মা‌ঠে ঘা‌ঠে পাওয়া অখাদ্য কুখাদ্য খে‌য়ে, শাক পাতা খেয়ে, ভা‌তের মাড় খে‌য়ে; কোন রক‌মে বেঁচে থাকা। জীবন এতা ক‌ষ্টের হ‌তে পা‌রে স্ব‌প্নেও ভাব‌তে পা‌রি না।

বহু চড়াই উৎরাই পে‌রি‌য়ে সংগ্রামী জীবন যেন অাজ অামার নি‌জেই নি‌জের কা‌ছে অাত্ন সমর্পন ক‌রে‌ছে। জীব‌নে সফলতার চে‌য়ে ব্যর্থতার ভাগই বে‌শি। নি‌জের সু‌খের জন্য অা‌মি কখনই‌ লালা‌য়িত না। ‌কিন্তু কেন এমন হয়। নি‌জের দি‌কেই তাকা‌তে পা‌রিনী অ‌ন্যের দি‌কে কি ক‌রে তাকাব। তবু অাশাবাদী মন অাশার বেলুন উড়া‌তে চেষ্টা করি।

এখন অা‌মি ক্লান্ত হতাশায় জর্জ‌রিত। অা‌মি ভীষন পরা‌জিত একজন মানুষ। অামার বাবা অামা‌কে ছে‌ড়ে গে‌ছেন , অাপুটাও পরপা‌রের বা‌সিন্দা। মা বাধ্যক্যের ভা‌রে নতজানু । অসুখ বিসু‌খের যথাথ চি‌কিৎসা করা‌তে অপারগ। ।

সবাই ম‌নে ক‌রে অা‌মি স্বার্থপর প্রতারক। সবাই অামার বা‌হি‌রের দিকটাই দে‌খে কেউ বুঝ‌তে চাই না। একজনপুরু‌ষের জীব‌নে ঊনচ‌ল্লি‌শের কোটা পে‌রি‌য়ে গে‌লে ও সংসার ধর্ম পালন করার পুরুষ বাসনা অ‌ছোঁয়া র‌য়ে গেল। অা‌মি সমাজ সংসা‌রে মুখ দেখা‌তে পা‌রি না। অা‌মি ‌দি‌নের অা‌লো‌তে অাড়া‌লে মুখ ঢে‌কে
চলি রাত হ‌লে চো‌খের পা‌নি‌তে বা‌লিশ ভেজাই।

যে দি‌কে তাকাই শুধু স্বার্থপরতার গন্ধা। বাঁচবই অার ক'‌দিন। চারপা‌শে যা হ‌চ্ছে যা দেখছি তা মুস‌লিম সভ্য সমা‌জে মানাই না। বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন ক‌রে দে‌খে‌ছি এখা‌নে সত্য, সততা, অাদ‌র্শের বড়ই অভাব। স‌ত্যিকার সম্পর্ক, বিশ্বাস, ভা‌লোবাসা দেয়াল ঘ‌ড়ির মতই বিলীন হ‌তে চ‌লে‌ছে।

ম‌নের ভুবন তন্ন তন্ন ক‌রে ম‌নের ম‌তো একজন মানুষ খুঁ‌জে না পাওয়ার অাফ‌সোস হয়ত এ জীব‌নে অার মিট‌বে না। বু‌কের গভী‌রে লা‌লিত স্বপ্ন‌কে জীবন্ত কবর দি‌য়ে বেঁ‌চে থাকার কোন মা‌নে হয়না । অা‌মি বিশ্ব বা‌সির কা‌ছে একটাই অনু‌রোধ করব ভিক্ষা নয়, সাহায্য সহ‌যো‌গিতা নয়, দয়া কিংবা করুণা নয়, অামার সাম‌র্থ্যের মূল্যায়ন ক‌রে স্রষ্টা যেন অামার মা‌য়ের মু‌খে স‌ত্যিকার হা‌সি ফোটা‌নোর ব্যবস্থা ক‌রেন। সৃ‌ষ্টিকর্তা যেন অামা‌কে সে পথ দে‌খি‌য়ে দেন।

জীবন না‌ট্যের ম‌ঞ্চে অা‌মি অার কতকাল খেলনার পুতুল হ‌য়ে থাকব। অামার বুকট‌া ছিঁ‌ড়ে য‌দি হৃদয়টা দেখা‌তে পারতাম তাহ‌লে হয়ত দুঃখ কিছুটা লাঘব হ‌তো। অা‌মি কি ক‌রে পৃ‌থিবী‌কে বুঝাব যে, অামার কোন দোষ নেই। অা‌মি ভা‌গ্যের কা‌ছে পরা‌জিত একজন অাদর্শ মানুষ, যে অন্যা‌য়ের কা‌ছে মাথা নিচু ক‌রে না, স‌ত্যের জন্য জীবন দি‌তে প্রস্তুত কিন্তু জীব‌নের কা‌ছে হার মান‌তে রাজী না।

এই পৃ‌থিবী‌তে অামার ম‌তো জনম দুঃখী পোড়া কপা‌লের মানুষ দ্বিতীয়‌টি নেই। অা‌মি হাস‌তে ভু‌লে গে‌ছি অামার দু'‌চোখ জু‌ড়ে স্ব‌প্নের বি‌নিম‌য়ে শুধুই শ্রবা‌নের বর্ষা ঝ‌রে। কি জবাব দেব এই পৃ‌থিবীর কা‌ছে। অা‌মি পা‌রি না মি‌থ্যে বল‌তে, চু‌রি কর‌তে, হিং‌সে কর‌তে, মানুষ‌কে ঠকা‌তে। মর‌নের পর স্রষ্ট‌কে শুধু একটাই প্রশ্ন করব .....

‌ নি‌জে‌কে এখন খুব‌ বে‌শি অসহায় ম‌নে হয়। দৃ‌ষ্টিসীমায় হতাশা ছাড়া অার কিছুই দে‌খি না। ধী‌রে ধ‌ী‌রে নির্জীব জড় পদা‌র্থের দি‌কে এ‌গি‌য়ে যা‌চ্ছি। অামার সারাক্ষণ শুধু অাত্নহত্যা-অাত্নহনন কর‌তে ই‌চ্ছে ক‌রে। অামি অার পার‌ছিনা। অা‌মি ধ্বং‌সের পাহাড় চূড়ায় দাঁ‌ড়ি‌য়ে শূন্যতার ধূসর মরুভূ‌মি‌তে হাঁট‌তে হাঁট‌তে অনা‌দি অনন্তকা‌লের দি‌কে চ‌লে যা‌চ্ছি।

জীবনে পিছন ফিরে তাকালে সুখের মধুময় এতটুকু স্নৃতি অামার নেই। মনে পড়েনা বুদ্ধির পর হতে অাজ পর্যন্ত ঈদ কিংবা উৎসবে নতুন পোশাক কিনতে পেরেছি। একটা ছেঁড়া সেলাই করা লুঙ্গি, দুটো ছেঁড়া ফাটা পেন্টকে সম্মানের অায়রন করে ইজ্জত বাঁচানো, দুটো শার্টকে সামাজিক মর্যদার প্রতীক ভেবে বেঁচে থাকা।
একবেলা খেলেও দুবেলার চিন্তা । রাশি রাশি কষ্টের পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে জীবনের অসঙ্গোতির কারণে প্রতিটি ক্ষণ অাত্নহত্যা করতে ইচ্ছে করে। বিবেকের কাছে পরাজিত অামি বেঁচে থাকার কোন সান্ত্বনা বানী খুঁজে পাইনা। প্র‌তি‌টি সে‌কেন্ড নি‌জে‌কে অাত্নহন‌নের মধ্য দি‌য়ে জীবন্ত লাশ হ‌য়ে তেলা‌পোকার ম‌তো অ‌স্তিত্ব জিই‌য়ে রে‌খে‌ছি

ত‌বে অনু‌রোধ করব সবাই‌কে য‌দি কা‌রো প‌রি‌চিত ডাঃ বা হাসপাতাল থা‌কে অামা‌কে স‌র্বোতভা‌বে স‌হযো‌গিতা করলে ভা‌লো হয়। অাপনা‌দের সবার কা‌ছে পা‌য়ে ধ‌রে অনু‌রোধ করব অামা‌কে কেউ করুণা কর‌বেন না অামা‌কে ঋণ সহায়তা দি‌বেন যা সময় ব্যবধা‌নে ফের‌তের গ্যারা‌ন্টি দি‌চ্ছি । ধন্যবাদ

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×