somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজঃ ঐন্দ্রজালিক বাস্তবতা

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘নিসঙ্গতার এক শত বছর’ সম্ভ্রান্ত এক উপন্যাস। এ যেন স্বপ্নের মত এক মহান সৃষ্টি । কলম্বিয়ার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ এর রচয়িতা । তাঁর প্রেম ও আকাঙ্ক্ষার মনোমুগ্ধকর গল্প ল্যাটিন আমেরিকার লক্ষ লক্ষ পাঠকের জীবন ও সাহিত্যজগতে এক ঐন্দ্রজালিক বাস্তবতা সৃষ্টি করেছিল । ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল এই মহান সাহিত্যিক ৮৭ বছর বয়সে মেক্সিকো শহরের নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুর এক সপ্তাহ পূর্বে তিনি নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদক হিসেবে মার্কেজ কর্মজীবন শুরু করলেও মূলত তিনি ছিলেন একজন উর্বর লেখক । তাঁর অসাধারণ সাহিত্যকর্ম ’নিসঙ্গতার এক শত বছর’গ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৮২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান । একই গ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে পান রোমুলো গ্যালাওস পুরস্কার। বন্ধু ও ভক্তরা মার্কেজকে গ্যাবো নামেই চিনত । তিনি ল্যাটিন আমেরিকায় এত বেশী জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ ছিলেন যে বইটি দ্রুত বেষ্টসেলারে পরিণত হয় এবং ১৯৬৭- ২০১৪ পর্যন্ত ৫ কোটি কপি বিক্রির রেকর্ড অর্জন করে। তাছাড়া এটি পৃথিবীর ২৫টি ভাষায় অনূদিত হয় । কবিতা ছাড়াও তাঁর রচনার মধ্যে আছে গল্প, প্রবন্ধ, ছোট উপন্যাস ইত্যাদি । ১৯৫০ সালে তাঁর ছোট উপন্যাস "Leaf Storm" ও "No One Writes to the Colonel" পাঠক সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল । যদিও ‘নিঃসঙ্গতার একশত বছর’ মার্কেজ এর অধিকতর জনপ্রিয় সৃষ্টি ; এ ছাড়াও তাঁর আরও কিছু ধ্রুপদী সাহিত্যকর্ম হচ্ছে- "Autumn of the Patriarch", and "Chronicle of a Death Foretold".
১৯৬০ সালের গোড়ার দিক পর্যন্ত তাঁকে উপন্যাসিকের স্বরূপ উম্মোচনে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল । কিন্তু ’নিসঙ্গতার এক শত বছর’ প্রকাশের সাথে সাথে নাটকীয় ভাবে তাঁর প্রকৃত স্বরূপ উম্মোচিত হয়ে পড়ে । এই গ্রন্থে মার্কেজ কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলের কাছাকাছি অবকাশ নগরী আরাকাতাকা এর অধীন কাল্পনিক গ্রাম ম্যাকোন্ডো এর অধিবাসী বুয়েন্ডিয়া পরিবারের সাত প্রজন্মের গল্প তুলে ধরেছেন । ক্যারিবিয়ান উপকূলের এমন একটি গ্রামে তিনি ১৯২৭ সালের ৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং নানা-নানীর তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠেছিলেন ।
মার্কেজ এর উপন্যাসে দেখা যায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিবরণ ও ল্যাটিন আমেরিকার রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে অলৌকিক এবং অতিপ্রাকৃত ঘটনার অপূর্ব সম্মিলন । ভূত, মহামারীর মত অনিদ্রা, শূকরের লেজওয়ালা শিশুর জন্ম, অতি ক্ষমতাধর গ্রাম প্রধান ইত্যাদি তিনি ম্যাকোন্ডোর পটভূমিতে চিত্রিত করেছেন । তাঁর হাস্যরসাত্মক, যৌন উত্তেজক ও অন্যান্য বিয়োগান্তক রচনাবলী ৩০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল এবং তা বারটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে । তাঁর সাহিত্যকর্ম নিঃসন্দেহে ল্যাটিন আমেরিকার সাহিত্যভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে একথা গুরুত্ব দিয়ে বলা যায় । সাহিত্যবোদ্ধারা বলেন হোর্হে লুইস বোর্হেস এবং হুলিও কোর্তাসারের সাথে মার্কেজও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ল্যাটিন আমেরিকান কথাসাহিত্যিক। জনপ্রিয় এবং মহৎ লেখক হিসেবে লেভ তলস্তয়, আর্ণেস্ট হেমিংওয়ে ও চার্লস ডিকেন্স এর সঙ্গে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়।
ঘন ঘোফ , কোঁকড়ানো চুল ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মার্কেজ শৈশবে নানীর মুখে শুনা লোকজ গল্পগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বিশেষ করে উপন্যাসের ক্ষেত্রে । যে গল্পগুলো ছিল অতিপ্রাকৃত এবং কল্পনা প্রসূত, অথচ মার্কেজ এর নানী স্বাভাবিকভাবে বর্ণনা করে যেতেন । ১৯৮১ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন-. "I discovered that what I had to do was believe in them myself, and write them with the same expression with which my grandmother told them: with a brick face."
মার্কেজ ছিলেন ঐন্দ্রজালিক বাস্তবতার শাহেনশাহ । উপন্যাসের শৈলী হিসাবে ঐন্দ্রজালিক বাস্তবতা তাঁর আবিস্কার নয় বটে । তবে এই শৈলীকে তিনি নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছিলেন যা আর কেউ করেনি । তাঁর উপন্যাসের কাহিনী বাস্তবতার ভিতের উপর প্রোথিত । কিন্তু এই ভিতের উপর তিনি একের পর এক কল্পনার ফানুস উড়াতে থাকেন । একবার তিনি বলেছিলেন, যেদিন ইউনুচ নবী ৩০ বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর ঘরে ফিরে স্ত্রীকে বলেছিলেন, একটি তিমি মাছ তাঁকে গিলে ফেলেছিল এবং এ কারণে তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন, সেদিনই কথাসাহিত্যের গোড়াপত্তন হয়েছে । তাঁর মতে পাঠক গল্প উপন্যাসে বাস্তব পরিবেশের অনুপুঙ্খ বর্ণনা খুব বেশী আশা করেনা । এ কথা অবশ্যই মানতে হবে তাঁর কল্পনা প্রবণতা পাঠককে আনন্দ দেয় । আবার তাঁর রাজনৈতিক দর্শন চেতনায় ঝড়ও তুলে । পুরাণ, জাদু ও সাধারণ অভিজ্ঞতার বৈচিত্রময় বিশ্লেষণ তাঁর রচনায় দৃষ্টিগোচর হয় । ল্যাটিন আমেরিকার বিশৃঙ্খলার সময়টিতে তাদের নীতি, আদর্শ ও বাস্তবতা উদ্বেগজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র । এমন কি ঐন্দ্রজালিক বাস্তবতার উপরও পড়েছিল এর প্রভাব । তাঁর উপন্যাস ও ছোটগল্পে আমরা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থানের নির্দেশনা পাই, যেখানে অলৌকিকতা এবং বাস্তবতা এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছে । তাঁর নিজস্ব কল্পজগতের সাথে প্রচলিত লোকগল্প ও ঘটনা, সাহিত্যতত্ব ও মৌলিকত্ব, সময়ের নির্ভুল চিত্রাংকন, ঘটনা ও বিষয়বস্তুর সমন্বয় আছে । নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সুইডিশ একাডেমি মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর প্রতিটি নতুন গ্রন্থের প্রকাশনা বিশ্বব্যাপী নতুন ঘটনার মত । গণমানুষের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিল ।
তিনি ফ্রাঞ্জ কাফকা এর কর্মের প্রশংসা করতেন এবং প্রখ্যাত ল্যাটিন আমেরিকান লেখক মেক্সিকোর জুয়ান রালফ ও আর্জেন্টিনার জর্জ লুইস বোর্জস দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন । ম্যাকোন্ডোর পরিবেশ, দুর্নীতি, অত্যধিক তাপমাত্রা-মার্কেজের এইসব সৃষ্টিশীলতা আমেরিকান লেখক উইলিয়াম ফকনারকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছিল । পরবর্তীতে আরাকাতাকার উপকণ্ঠে একটি কলাবাগানের নামকরণ করা হয়েছিল ম্যাকোন্ডো । মার্কেজ তাঁর স্মৃতিকথা "Living to Tell the Tale." এ লিখেছিলেন, “ এইসব শব্দসম্ভার আমার জীবনের প্রথম দিকে মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে যখন আমি পিতামহের তত্বাবধানে তৈরি হচ্ছিলাম, কিন্তু আমি যখন প্রাপ্তবয়সে উপনীত হলাম, তখন ঐসবের কাব্যিক রূপ আবিস্কার করেছিলাম ।
ল্যাটিন আমেরিকার সমসাময়িক সাহিত্যিকদের মধ্য থেকে মার্কেজ ঘোরতর ভাবে কমিউনিজম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন । কিউবার বিপ্লবের সময় তিনি সেখানে প্রচুর সময় অতিবাহিত করেন এবং সেই সময়ে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফ্রিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে ঘনিস্ট বন্ধুত্ব গড়ে উঠে । ক্যাস্ট্রো একবার তাঁর বন্ধুকে লিখেছিলেন, একজন শিশুর মহত্ব ও মহাজাগতিক প্রতিভার আগামিদিনের মানুষ । ল্যাটিন আমেরিকার প্রতি অনুপ্রেরণা, সততা, ন্যায় ও সংবেদনশীলতা যা তাঁর সাহিত্যে প্রামাণ্য দলিল, তা কখনই শেকড়চুত্য হবেনা ।
কমিউনিস্ট কিউবার সরকারি সংবাদ সংস্থা নিউ ইয়র্ক শাখা স্থাপন ও নিজ বাড়িতে বামপন্থী গেরিলাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে মার্কেজকে এক দশক আমেরিকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । একবার তিনি আমেরিকার ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন, এটি ল্যাটিন আমেরিকায় মার্কিন হস্তক্ষেপের একটি যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় ।
একজন বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে খ্যাতি সত্ত্বেও সমালোচকরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, কলম্বিয়ার দীর্ঘ সংঘাতের সময় প্রায় দশ হাজার লোক নিহত হয়েছিল । মার্কেজ তাদের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখেন নি । উপরন্ত তিনি স্বদেশ ত্যাগ করে মেক্সিকোয় বসবাস করেছিলেন । সত্যিকার অর্থে তখন তাঁর প্রাণনাশের গুজব কিছু কলম্বিয়ানের কানে কানে ঘুরে বেড়াত ।
ধুমপানের প্রতি প্রবল আসক্তির কারনে ১৯৯৯ সালে তাঁর লসিকানালী ক্যান্সার ধরা পড়ে । ক্যামোথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে সে যাত্রা তিনি রক্ষা পান । এই সময়ে তাঁর লেখালেখি ও ভ্রমণ সীমিত হয়ে পড়ে । ২০০২ সালে তাঁর আত্মজীবনী"Living to Tell the Tale” ১ম খন্ড প্রকাশের পর তাঁর পরিকল্পিত ২য় ও ৩য় খন্ড রচনায় আর হাত দিতে পারেন নি । ২০১২ সালের জুলাই থেকে তাঁর স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট হতে থাকে । তাঁর সাম্প্রতিক কর্ম প্রথম দিককার উপন্যাসের মত তত সফলতা পায়নি । তাঁর এরকম একটি রচনা হচ্ছে "Love in the Time of Cholera”. এখানে তিনি তাঁর পিতার পঞ্চাশ বছরের প্রণয়লীলার গল্প বর্ণনা করেছে । মার্কেজের আরও একটি সাম্প্রতিক কাজ হচ্ছে , "Memories of My Melancholy Whores,". এটি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে । এই স্বল্পদৈর্ঘ উপন্যাসে ৯০ বছরের এক অতিশীপর বৃদ্ধের ১৪ বছরের বালিকার প্রতি অনুরাগ কিছু কিছু পাঠকের মনে বিরক্তির উদ্রেক সৃষ্টি করেছিল । সংলাপবহুল গল্পের দিকে মার্কজের তেমন ঝোঁক দেখা যায় না । বর্ণনামূলক গল্প লিখতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন । আর এখানে লেখকের ভূমিকা হয় সবজান্তার । দীর্ঘ ও জটিল বাক্যে তিনি অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন । মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে তিনি কাজ করেন না । তবে মানুষের আচরণ বর্ণনা করে চরিত্র রূপায়িত করেন । কখনও কখনও তাঁকে অতিশয়োক্তির আশ্রয় নিতে দেখা যায় ।
বই পড়া মার্কেজের অন্যতম নেশা । প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথমে বই পড়তেন । তারপর পড়তেন সংবাদপত্র । এরপর চার ঘণ্টা ধরে লিখতেন । কাউন্ট ড্রাকুলা ও গার্গানতুয়াগার্সিয়া ছিল তাঁর প্রিয় সাহিত্যিক চরিত্র । প্রিয় ঐতিহাসিক চরিত্র জুলিয়ো সিজার । তিনি ক্রিস্টোফার কলম্বাসকে ভীষণ অপছন্দ করতেন । প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল ‘কানা অ লরাঞ্জ’। এটি একটি ফরাসি খাবার । যা কমলার সসে রান্না করা হাঁসের রোস্ট । হলুদ ছিল তাঁর প্রিয় রং । তিনি ঘুম থেকে উঠার পূর্বে তাঁর স্ত্রী লেখার টেবিলে একটি হলুদ গোলাপ রাখতেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×