মায়া হঠাৎ আড্ডায় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ভুল করে সবার মাঝে রেখে হারিয়ে গেল নিমিষে,
জনে জনে শুরু গুঞ্জন, ঘটনা, রটনা, কত কি, এতগুলো মানুষের অবাক বিহবল দৃষ্টি মুছে
কোন উত্তর কারো কাছ থেকে পাওয়া গেল না।
শহুরে খোশমেজাজে পরিচিত রোদ আর গাঁয়ের সরু পথে কিছুটা ধুলোমাখা পড়ন্ত রোদ
কতটা মায়ার, পাশের কেয়ার কাঁটা শিস তোলে বলে যায়।
না বোঝার ভান করে কোকিল শালিক,
আর আমরা বুঝে বুঝে আবারো প্রশ্নের কাছে ফিরি,
আহা কিছু মায়া, কিছু কষ্ট- কিছু সময় রয়ে যায় অগোচরে কিছু কথা অস্পষ্ট।
অবহেলার উপাসনা, বিবাদি বাতাস মোড়ে মোড়ে বিষাদের দেয়াল লিখে যায়,
আমরা আবার ও হতবাক এ মিছিলে কি যাব,
না থাক কেতাদুরস্তপনা লাঠিতে ঠকঠক, পুরনো অক্ষরশূন্য জমিদারি
মাথা চাড়া দিয়ে উঠে কাঁচের গ্লাসের জলে।
পাঞ্জাবির ভাঁজ, আর কিছুটা ক্ষয় হওয়া জুতো চেনা অলিগলিতে সরবে আড্ডায় মাতে।
মায়া এখনো কাটলো না, সেদিনের মাঠের ঘাস এখনো বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত,
কিন্তু আমরা নির্লিপ্ত,
বিভেদের দেয়াল জুড়ে একটা বটগাছ জন্মাক, তার ছায়ায় বসে থাকব,
প্রশ্নটা বট ফলের মত একটা টোকা দিয়ে যায়, কে করে তার খেয়াল,
অসমাপ্ত উনুনের একপাশে ভেজা খড়, জীবনের অপেক্ষায় আগুনের মায়া খোঁজে।
২৮/০৯/২০১৭
আরাকাশান রোড, নিউ দিল্লী।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬