ফেসবুকে লেখালেখি করতাম তিন বছর যাবত, পাঁচ হাজার ফ্রেন্ড প্লাস পাঁচ হাজার তিনশত সামথিং ফলোয়ার আছে, এক পর্যায়ে খেয়াল করলাম ২০১৩/১৪/১৫ সালের শত শত লেখা টাইম লাইন সিস্টেমে গায়েব হয়ে গেল,
হোক না!! আলতু ফালতু লেখা, কেউ নাই বা পড়ল!! ক্ষতি কি? বেঁচে থাকার জন্য লেখি, দম আটকানো বন্ধ করতে লেখি, আনন্দের জন্য লেখি, স্মৃতিগুলো বাচিয়ে রাখতে লেখি, এভাবে তিলে তিলে জন্ম দেওয়া সন্তানদের হারিয়ে যেতে দিবো না, প্লাটফর্ম হিসেবে বেঁচে নিলাম ব্লগ মামা কে,পুরনো লেখা খুজে খুজে নিজের সৃষ্টিগুলোকে ব্লগে জমা করতে লাগলাম, সবচেয়ে বড় কথা ব্লগের পাঠকগুলো চমৎকার, এখানে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে গল্প লেখা যায়, যা ফেসবুকে সম্ভব নয়, ওখানে এতো পড়ার ধৈর্যশীল পাঠক নেই বললেই চলে, নিরাপদ ব্লগ হওয়ার দুদিনের মাথায় টানা দুদিন খাটনা-খাটুনি করে লিখে পেললাম একটি গল্প, " টং মামার ঢং মার্কা নাড়ানির রং চা
যাদের প্রিয় তাদের গল্প ৷ পর্বঃ এক "
লিংকঃ Click This Link
আশে পাশের বন্ধুদের বুজানো শুরু করলাম, তোমরা ব্লগ বলতে যা মনে কর ব্লগ তা না, ব্লগ এক একটি জ্ঞানের রাজ্য, মহানবী (সঃ) বলেছিলেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যেতে, অবাক লাগলো ছবি ব্লগগুলো দেখে, এক একটি জীবন্ত জ্ঞানের সমুদ্র, কমেন্টগুলো যেন এক একটি জ্ঞানের পাহাড়সম, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা বসেছিলাম, কিন্তু একদিন ব্লগে বিচরণসম জ্ঞান অর্জন করতে পারছি কি না সন্দেহ, সন্ধান করতে লাগলাম প্রিয় করা পোস্টগুলো, যে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে পড়ে থাকতাম, ভুলে গেলাম ফেসবুক নামক জগতটা কে, এতদিন আমি ভুল প্লার্টফর্মে ছিলাম এই ভেবে খারাপ লাগতো,
কিন্তু যখন দেখি ব্লগ নিয়ে আবারো ক্যাচাল,তখন বাবা/মামারা টেনশনে পড়ে যায়, ছেলে ব্লগে কি করে!? ইচ্ছে করে নিজের টাকা দিয়ে চা খাওয়ায় ওদের বুজাতে, ব্লগ কি? কেন ব্লগিং করা দরকার ইত্যাদি ৷
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে যা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি তা হলো, আপনি আপনার চড়কি ঘুরাবেন, আপনাকে ও খেয়াল রাখতে হবে আপনার চড়কি যেন অন্যের নাকে না আঘাত লাগে,
প্লিজ, আমাদের নিরাপদে ব্লগ করতে দিন, একটু পরমত সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ালে কি এমন ক্ষতি হয়!!
ধ্যাত কিচ্ছু ভালো লাগতেছে না, আপতত ফেসবুকে ফিরে যাচ্ছি!!