আমার মতো জীবনে অনেকে কম বেশী এম.এল.এম করে ধরা খেয়েছেন, অনেকে এটাকে দুই হাত, চার হাত, ষোল হাত ব্যবসা নামে চিনে,
.
এম.এল.এম কে ডাইরেক্ট সেলিং মার্কেটিংও বলা হয়, ওদের প্রথম যুক্তিটা এমন, আপনি দোকান থেকে যখন একটি ফ্যান কিনেন সেটির উৎপাদন খরচ যদি ১০০০ টাকা হয় তা উৎপাদনকারী>পাইকারী>বিজ্ঞাপন>খুচরা বিক্রেতা হয়ে আপনার কাছে পৌছাতে ১৫০০ টাকা লাগবে
.
কিন্তু এমএলএম ব্যবসায় মধ্যসত্ত্বভোগী নেই, মানুষ টু মানুষ ব্যবসা, ওই ১০০০ টাকার ফ্যান ১১০০ টাকার বেশী হওয়ার কথা না, বাহ! বেশ ভালো, এমন সিস্টেম যেন ব্যবসার আশীর্বাদ...
.
বুদ্ধি মার প্যাচটা অন্য জায়গায়, এমএলএম ব্যবসা নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, একটা প্রোডাক্ট বিক্রয় হলে মাশাল্লাহ তা থেকে নাতী>পতি>খন্তি>কোদাল সবাই কমিশন পেয়ে থাকে, কেউ কেউ পিএসডি,ডাইমন্ড,ক্রাউনসহ কোটি টাকার পুরস্কার পায়, এই টাকা কি মালিকের শ্বশুড় বাড়ি থেকে আসে?
.
বিশ্বাস করুন, যে নাইজেলা ডেসটিনি ৬০০০ টাকা বিক্রী করত তার থেকে ২৭৫০ টাকা লাভ করা হতো টিমকে কমিশন দেওয়ার জন্য, ভিতর ভিতর হিসেবগুলো তো বাদ দিলাম, ভোক্তা/গ্রাহক কি পেল? আন্ডা আর মূলো...
.
রিসেন্টলি বাংলাদেশে কিছু এমএলএম আবারো কাজ শুরু করেছে, তো এক বড় ভাই আমাকে একদিন মোবাইলে রিং দিয়ে বলে পড়ালেখাতো শেষ এখন কি করছ? আমি বললাম বেকার, ওনি বলল, আমার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতেছে, তাড়াতাড়ি শহরে এসে ওনার সাথে দেখা করতে, তারপর চিরচেনা অফিসগুলোতে নিয়ে গিয়ে আবার ব্রেইন ওয়াশ করতেছিল, শুনে হু হা করে চলে আসলাম, মনে মনে বললাম, ডাবু মাথা বেল তলায় একবারি যায়
.
কিন্তু ধারণাটা ভুল, নেড়া বেলতলায় বারবারও যায়, অফিটাতে দেখলাম লোকে লোকারণ্য, তিল ধারণ করার জায়গা নেই,টেবিল-চেয়ার মুখোমুখি হয়ে বুজাচ্ছে তো বুজাচ্ছে, আরেকটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ইলেকট্রনিকস বিক্রীর জন্য অনুমোদন পেয়েছে....এভাবে চলছে ভোক্তাদের ভুলিয়ে ফুলিয়ে গলাকাঁটা ব্যবসা....চলবে.... এর শেষ কোথায়? আমরা এত শর্ট টাইম মেমোরি লুজ কেন?
.
এক ভাইকে জানি সে যুবকে ভালো একটা টাকা ধরা খেল, ডেসটিনিতে ও বিশাল একটা ধরা খেল তবুও তার শিক্ষা হলো না, এখন আবার এমএলএম নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতেছে একে বলে মোটিবেশন, বুজাতে গেলে সম্পর্ক খারাপ হবে জাস্ট, যারা ধোঁকা খেয়েও শিক্ষা হয় না তাদের ধোঁকা খেতে দিন..!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৩