একবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভাকলোণীতে প্রায় সবার বাথরুমের বদনা চুরি হয়ে গেছিলো ! মেক্সিমাম বাথরুম তখন ঘরের সাথে সংযুক্ত ছিলো না !
.
আশেপাশে বদনার দোকানও নেই ! কেউ জগ কেউ বোতল কেউ হাতের কোষ ব্যবহার করে বেশ বিপাকে মনে মনে চোরের গোষ্ঠি উদ্ধার করে ক্ষান্ত হতে বাধ্য হলো
.
সেদিন ই বুঝেছি যে ভদ্রলোক সর্ব প্রথম বদনা'র আর্ট করেছে সে নিজেকে বিখ্যাত আর্টিস্ট দাবী করলে দোষের কিছু নেই !
.
সামান্য বদনা না থাকলে জীবন বেদনা'য় ভরপুর হয়ে যেতে পারে এই উপলব্ধি আমার তখন হয়েছিলো
.
ঘটনাটি হাস্যকর ! যে যার মতো মজা নিচ্ছিলো
.
কিন্তু এক নোয়াখালির ফেরিওয়ালা সেই তথ্য কার না কার থেকে শুনেছিলো
.
শুনেই সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই তিন মাইল দূরে হাটহাজারীতে চলে গেলো ! সেখানে দোকানের যত বদনা ছিলো সব কিনে নিয়ে আসলো !
.
কি মহা বিপাক ! সুতরাং কেউ কেউ হাটহাজারীতে গিয়ে বদনা না পেয়ে ফিরে চলে আসলো !
.
দুপুর পেরিয়ে গেলো চারদিকে বদনা ! বদনা ! হাহাকার পড়ে গেলো ! বদনার চাহিদা বেড়ে তখন তুঙ্গে !
.
অর্থনীতির ছাত্র হয়ে জানতাম, দাম বাড়লে চাহিদা কমে ! দাম কমলে চাহিদা বাড়ে ! কিন্তু সেদিন ৫০ টাকার বদনার দাম ১০০ টাকা হাঁকলেও চাহিদা ১০০ একক থেকে বেড়ে ২০০ একক হয়ে গেছে !
.
নোয়াখালির সেই লোকটি তারপর ব্যান গাড়িতে করে সব বদনা নিয়ে হাজির ! দ্বিগুণ তিনগুণ দামে সেগুলো আধাঘন্টার মধ্যে বিক্রী করে চলে গেলো ! তার মার্কেটিং পলিসির কাছে বিবিএ এমবিএ ফেইল !
.
এখনো একটি প্রশ্নের উত্তর পাইনা ! বদনাগুলো চুরি করছে কে ? সে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে লাভের উপর লাভ করেনি তো !
.
এটাকে বলে নোয়াখাইল্লা বুদ্ধি !
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬