বাংলাদেশী উপন্যাসিক কাশেম বিন আবু বাকার নিয়ে তামাম দুনিয়ার মিডিয়া সব উঠে পড়ে লাগছে তাতে অনেকের অনুমান সে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছে!
.
তার একটি উপন্যাসে সে বলেছে, আপনি শরিফ ঘরের মেয়ে। আপনার জন্য আল্লাহপাক আমাকে কবুল করুন। আমিন।
.
যাক এই মহান লেখকের লেখায় নিজের নাম আবিষ্কার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে!
.
বাংলাদেশী ইসলামপন্থী রোমান্টিক ঔপন্যাসিক কাশেম বিন আবু বাকার এই উপাধি দেওয়া ব্যাপারটি মানতে পারলাম না!
.
তার বিখ্যাত 'ফুটন্ত গোলাপ' বইয়ে তিনি লিখেছেন, সেলিম আর লাইলীর ধাক্কা খাওয়ার পর "ইয়া আল্লাহ একি হল বলে লাইলী কি করবে ভেবে না পেরে সেলিমের দীর্ঘ বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পৌরুষদীপ্ত চেহারার দিকে লজ্জামিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে সব কিছু ভুলে গেল। আর সেলিম তার দিকে চেয়ে খুব অবাক হল। এতরূপ যে কোন মেয়ের থাকতে পারে, সে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। লাইলীর টকটকে ফর্সা গোলগাল মুখটা শুধু দেখা যাচ্ছে। কারণ সে বোরখা পরে আছে। এত নিখুঁত সুন্দরী মেয়ে এই প্রথম সে দেখল। মেয়েটি যেন একটা 'ফুটন্ত গোলাপ'।”
.
প্রশ্ন হলো এমন রগরগে বর্ণনা দিয়ে কি ইসলামিক উপন্যাস হয়!
.
আরব নিউজ, পাকিস্তানি নিউজ, ডেইলি মেইল, AFP সহ অনেকে শিরোনাম দিয়েছেন, Islamic romance novels set hearts aflutter in Bangladesh
.
তিনি লিখেছিলেন,“অবিবাহিত অবস্থায় কোন লম্পটের পাল্লায় পড়ে শ্লীলতাহানি হলেও, পরে ওই লম্পটকে খুঁজে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করাই মেয়েদের জন্য মঙ্গল।”
.
মানে তবুও লম্পটকে বিয়ে করতে হবে!
.
নব্বইয়ের দশকে তার বই প্রচুর বিক্রী হতো! প্রেমিক প্রেমিকাকে দিতেন! নতুন জামাই নতুন বউকে! মামা মামীকে!
.
বিক্রী হওয়ার পিছনে কারণও ছিলো! কারণটি বলবো না শুধু একটি গল্প বলবো, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আমাদের পরিসংখ্যান সাবজেক্ট ছিলো! কেউ কম্বলসারি আবার চাইলে অবশনাল বিষয় হিসেবেও নেওয়া যেতো!
.
পরিসংখ্যানে তাসের অংক ছিলো! বায়ান্নটি তাস থেকে হরতন/রুহিতন আসার সম্ভবনা কত! এমন অংকগুলো! তারপর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাস খেলা বন্ধুরা সবাইকে জানান দিয়ে খেলা শুরু করলো!
.
কেউ বাবার সামনেও খেলা শুরু করলো! বিশ্বাস করুন, এক বন্ধু বাবাকে বলেছিলো তাস খেললে পরিসংখ্যান শিখা যায়! পড়ার অংশ এটা!
.
রাত দিন নেই চলছে পরিসংখ্যান অধ্যয়ন!
.
বই বিক্রী নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা আছে,
সেই যুগে শরৎচন্দ্রের বই হাজার হাজার কপি বিক্রী হলেও রবি ঠাকুর বই দুই এক কপি বিক্রী হতো! তো এর জবাব শরৎচন্দ্র নিজেই দিয়েছেন,'আমরা লেখি তোমাদের জন্য আর রবি ঠাকুর লিখে আমাদের জন্য!'
.
সমালোচনা করবো না শুধু বলবো তাকে ইসলামিক উপন্যাসিক বলে ইসলামকে বিতর্কিত করবেন না! ইসলাম এতো সস্তা না!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬