ব্রায়ান ট্রেসির বিখ্যাত বই 'মিলিয়ন ডলার হেভিট'স বইটিতে তিনি প্রথম যে অভ্যেসটি করার কথা বলেছিলেন সেটি হলো পজেটিব চিন্তা করার অভ্যেস!
.
মানুষের ব্রেইন এমন ভাবে তৈরী তাতে যদি আপনি আপনার মনের সুইচ 'আমি পারবো না' থেকে পরিবর্তন করে 'আমি পারবো'তে টিপ দেন সে আপনাকে কাজটি কিভাবে পারবেন তার জন্য ভালো ভালো উপায় বের করে দিবে!
.
এরপর যে অভ্যেসটি দরকার তা হলো নিয়ম করে সে কাজটি নিয়মিত করতে থাকা! করতে থাকা আর করতে থাকা!
.
আপনি কয়টি মোটিভেশনাল ভিডিও, বই এবং আর্টিকেল পড়েছেন আমি জানি না তবে আমার শখ হলো মোটিভেশনাল ভিডিও, বই, আর্টিকেল পড়া, সেখান থেকে আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো জগতের তামাম বিখ্যাত ব্যাক্তিরা শুধু একটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন, never give up! কখনো যে কাজটিতে সফল হতে চাচ্ছেন সেটি ত্যাগ করা যাবে না!
.
এটি আবদুর রব শরীফের কথা না! সুতরাং নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারেন!
.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে আপনি পড়াশুনা করলে দেখবেন,
.
শত্রুপক্ষের জন্য পারমানবিক বোমা তৈরী করার জন্য নিরলস সাধনা করেছিলেন হাইজেনবার্গ নামক একজন বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী এবং মিত্রপক্ষের পক্ষে পারমানবিক বোমার তৈরী করার জন্য কাজ করছিলেন ওপেন হেইমারের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী!
.
বিশাল ইতিহাস! একদিকে যুদ্ধ চলছে আরেকদিকে পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের জন্য কাজ করছে যুদ্ধের দুই পক্ষ!
.
কিন্তু শত্রুপক্ষ হঠাৎ করে পারমানবিক বোমা তৈরী করতে পারবে না মনে করে গবেষণা বন্ধ করে দিয়েছিলো! হাইজেনবার্গের প্রতি তারা আস্থা রাখতে পারেনি অন্যদিকে মিত্র পক্ষ মাঝপথে চরম ব্যর্থ হওয়ার পরও বোমা তৈরীর কাজ নতুন করে শুরু করেছিলো! নেভার গিভ আফ এবং সফল হলো!
.
তারপর জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসিকাতে সেই বোমার বিষ্পোরণ করার পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শত্রুপক্ষ আত্মসমর্পণ করলো এবং মিত্রপক্ষ জয়ী হলো!
.
তারপর যে অভ্যেসটি করতে হবে তা হলো যে কাজে সফল হতে চান ঐ কাজ সংক্রান্ত যাবতীয় আদ্যোপান্ত পজেটিভ ইনফরমেশন প্রতনিয়ত সংগ্রহ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে!
.
অতপর সুস্থ শরীল সুস্থ মন এবং সুস্থ পরিকল্পনার অভ্যেস করা ই হলো মিলিয়ন ডলার দামের অভ্যেস!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৩