somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেয়াদ্দব ই ভালা!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ষোল শহর দুই নং গেইট আল ফালাহ্ মসজিদের সামনে এক সিএনজি চালক সেখানে টংয়ের দোকানের সামনে চা খেতে থাকা এক লোককে বলছে, ভাই আমার গাড়িটা একটু দেখে রাখিয়েন আমি নামাজ পড়ে আসি,
.
লোকটি নামাজ পড়তে গেলো! সারাদিন সিএনজি চালানোর পর তার শরীরে ঘামের গন্ধ ছিলো! সেখানে থাকা তিন জন এলিট্ শ্রেণির মুসল্লী তাকে এক প্রকার অপমান করে বললো, ভাই ঐ দিকে দূরে গিয়ে নামায পড়েন!
.
লোকটি দূরে গিয়ে নামাজ আদায় করে এক প্রকার চোখের জল নিয়ে ফিরে আসলো! সেখানে তার গাড়ি পাহারা দেওয়া ভদ্রলোক তার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলো, ভাই কি হয়েছে?
.
তখন সে বললো আমার ময়লা কাপড় আর ঘামের গন্ধ দেখে তিনজন লোক আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে!
.
তা শুনে ভদ্রলোক বললো, ভাই আমি নামায কম পড়ি সেটা ঠিক কিন্তু আর কখনো যদি আপনার সাথে দেখা হয় আপনাকে আমার গায়ের চাদরটা দিবো ওটাকে জায়নামাজ বানিয়ে আপনি নামায পড়বেন! মন খারাপ করে না ভাই!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনেক আগে আমি একবার নামায পড়তে গিয়েছিলাম সেখানে থাকা এক চামচা আমাকে বলেছিলো, ভাই একটু সাইডে দাঁড়ান স্যার এখানে নামাজ পড়বে! তারপর থেকে আমি ভুলেও ঐ মসজিদে নামাজ পড়তে যায় না!
.
গল্পটি যখন শুনছিলাম তখন গুরু কাজী নজরুল ইসলামের 'মানুষ' কবিতার দুটি লাইন মনে পড়েছিলো,
'খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা র’বে, চালা হাতুরি-শাবল চালা!'
.
আজ তিনি বেঁচে থাকলে লিখতেন,
'খোদার ঘরে কে বলেছে তোকে এই দূর গিয়ে নামাজ পড়্ শালা,
ঐ মাদারচোদ্ কে লাথ্থি মেরে মসজিদ থেকে বের করে দে,
সে একটা আস্তো হালার পো হালা'
.
দুই লাইন চরম কবিতা লিখে ফেললাম! অসাম শালা শরীফ! অসাম শালা!
.
'ওর চেয়ে বড় অন্যায়কারী আর কে হতে পারে, যে প্রার্থনার জায়গায় আল্লাহর নাম নিতে বাঁধা দেয়? সেগুলো বিরান করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে? এই সব লোকেরা প্রার্থনার জায়গাগুলোতে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছাড়া প্রবেশ করার যোগ্য নয়। ওদের জন্য এই দুনিয়াতে রয়েছে অপমান-লাঞ্ছনা, এবং আখিরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি।' [আল-বাক্বারাহ ১১৪]
.
সমাজে এখন লোক দেখানো নামাজীর সংখ্যা বেড়ে গেছে!
.
আমার দাদা বিশ্ বছর কুয়েতে ছিলেন! দাদা কুয়েত থেকে এলে আমরা সন্দ্বীপে বেড়াতে যেতাম,
তিনি বলতেন, 'একমাত্র শুদ্ধ ভাবে নামাজ পড়ে বাঙ্গালীরা! আল্লাহর ভয়ে ওজু করে মসজিদে গিয়ে তৃপ্ত নয়নে বের হয়ে আসে! কিন্তু সৌদির অনেক জায়গায় পাছায় বেতের বারির ভয়ে অনেক ওজু ছাড়া নামাযে দাঁড়িয়ে যায়!'
.
করুণ অবস্থা!
.
শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তব! তেমনি সমাজে লোক দেখানো নামাজী বেড়ে গেছে!
.
আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যারা মসজিদে নামাজ পড়তে যায় মাতব্বরি ফলানোর জন্য! কোন না কোন ইস্যু দাঁড় করিয়ে ক্যাসাল লাগিয়ে দিয়ে বের হয়!
.
আমাদের শোভাকলোণির মসজিদে এসব ক্যাসাল প্রতিরোধে একবার তরুণ প্রজন্ম ব্যঙ্গ প্রতীকী পোস্টারিং করে মসজিদের সামনে লাগিয়ে দিয়েছিলো,
.
তাতে লেখা,
.
ইমাম সাহেব নামাজ মনে হয় দুই মিনিট আগে শুরু হয়েছে! আরেকজনের কমেন্ট, আপনার ঘড়ি মনে হয় স্লো! তারপরের জনের কমেন্ট, আপনি বেশী বুঝেন! অন্য একজন, আমি আপনার চেয়ে কি কম বুঝি! এভাবে চলছিলো....!
.
তারপর থেকে মুরুব্বিদের মুখ বন্ধ!
.
কথায় কথায় মুরুব্বিরা বলা শুরু করলো, এলাকার পোলাপাইন বেয়াদ্দব হয়ে গেছে!!!
.
অতপর কে জেনো আরো একটি পোস্টারিং করলো, 'দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয় তবে বেয়াদ্দব ই ভালা'
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×