তুরিন অফরোজদ গলা ফাটালেই কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে ? সুরঞ্জিত সেন আর ওবাইদুল কাদের যেভাবে মন্ত্রিদের ধোলাই দেওয়ার পুরুষ্কার হিসাবে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। একইভাবে তুরিন আফরোজ বিভিন্ন টকশোতে প্রসিকিউটরদের ধোলাই দিয়ে চাকরিটা পেয়েছেন। এখন আর প্রসিকিউসন নিয়ে কোন কথা হয় না, প্রসিকিউসনে যেন শুধু তুরিন আফরোজেরই কমতি ছিল ।
এখন তুরিনের গুরু দক্ষিনা দেওয়ার সময় হয়েছে,তাই চিৎকার করছেন। তবে একথা হলফ করে বলতে পারি যতই চিৎকার করুক আর্ন্তজাতিক আদালতে যাবে না, ওখানে থলের বিড়ালের দৌড়া-দৌড়ি শুরু হয়ে যাবে। আর তাছাড়া আর্ন্তজাতিক আদালত কিনেও নিতে পারে।
আদিলুর রহমানকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার তার কার্যকলাপের সাথে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কে জড়িয়ে ফেললো। তারা যে প্রশ্ন গুলি তুলেছেন তা তো মিথ্যা না। দেশের মধ্যেই এই বিষয়গুলো বহুবার আলোচিত হয়েছে, সরকার কি পারবে এ বিষয় গুলোকে পরিষ্কার করতে।
এইচআরডব্লিউর দৃষ্টিতে বিচার প্রক্রিয়ায় পাঁচটি ত্রুটির মধ্যে রয়েছে,
বিচারকরা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে তদন্ত করেছে,
তদন্ত কমিটি সব সময় বলেছে মানবতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষি প্রমান জোগাড় করা হচ্ছে, অপরাধের আলামত পাওয়া গেছে ইত্যাদি। তদন্ত কমিটি ধরেই নিয়েছেন এরা অপরাধী, এদের বিরুদ্ধে প্রমান জোগাড় করতেই হবে। এরকম একটা মানসীকতা নিয়ে তদন্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। তদন্ত কমিটি বিচারের আগেই একটা রায় মাথায় রেখে তদন্ত করেছে, প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের মানসীকতা থেকে নয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বিচারকদের মধ্যে গোপন সহযোগিতা ও পক্ষপাতিত্ব
এটা স্কাইপি সংলাপ থেকে প্রমানীত - “আপনি উঠে দাড়াঁবেন আমি ধমক দিলে বসে পড়বেন যাতে মানুষ বুঝতে না পারে আমাদের মধ্যে আঁতাত আছে” । এর পরও কি বলতে হবে আইনজীবী ও বিচারকদেও মধ্যে যোগসাজেস নাই।
আসামিপক্ষের সাক্ষীদের নিরাপত্তায় ব্যর্থতা
একজন স্বাক্ষীকে অপহরন করা হয়েছে (গোপাল না কি যেন নাম) এটা দেশের সব পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল। শুনেছি তাকে ভারতের কোন কারাগারে দেখাগেছে।
বিচারক প্যানেলে পরিবর্তন
বলাই বাহুল্য, এ কথা কে না জানে।
সন্দেহাতীতভাবে দোষ প্রমাণ করতে তথ্যপ্রমাণাদির অভাব
প্রথম আলোর আইন সংক্রান্ত রিপোর্টার (নাম মনে পড়ছে না) এর বক্তব্য অনুযায়ী কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরের হত্যা কান্ডের ঘটনায় একজন স্বাক্ষী বলেছেন “ঘটনার আগের দিন ঘটনা স্থলে কাদের মোল্লাকে অস্ত্রহাতে দেখা গেখেছেন” আদালত এই স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন, কাজেই বোঝাই যায় কতটুকু সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
দেশের সকল সাধারন মানুষ ৭১ এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই, কিন্তু সুষ্ঠ ও স্বচ্ছতার সাথে, বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হলে তা ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে, পরবর্তী কোন এক প্রজন্মের কাছে এই প্রশ্নগুলো তাদেরকে নায়ক বানিয়ে ফেলবে না এই গ্যারান্টি কে দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০০