সেই ঋণ পরিশোধের সময় হয়েছে বোধ হয়। শাসকেরা আপনাকে বলির পাঠা বানিয়ে লুটে-পুটে খাচ্ছে যাদের সম্পদ তারাই সেই ১৫০ টাকা তুলে দিয়েছিল আপনার হাতে। ঐ ১৫০ টাকায় তাদের যে বিশ্বাস মিসে ছিল সেই বিশ্বাসের জোরেই আপনি সেই জাতির সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন। আপনার প্রতিভাকে বিকশিত করে একজন অতি সাধারন থেকে অতি বিশিষ্টজন হতে যারা সাহায্য করেছিল আজ তারা খুব অসহায়, প্রতি নিয়ত লুট হয়ে যাচ্ছে তাদের সম্পদ।
আপনার সহজ সরল কৃতজ্ঞতা “সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি” যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এটাই হয়ত সুবর্ণ সময় সেই ঋণ পরিশোধের। লুটপাটের সাথে জড়িতদের মুখোশ উম্মোচন করুন, যদি নিজের দাযতটুকু আছে পরিস্কার করে স্বীকার করুন। কেবলই পদত্যাগ করে দূরে সরে যাবেন না।
প্রবাসে এদেশের সন্তান দেশের মায়া ভুলে, প্রিয়জন থেকে দূরে গলায় কান্না চেপে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যোগান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় কোশাগারে। আপনি যে প্রান্ত থেকে ঊঠে এসেছেন সেই প্রান্তিক মানুষ গুলোর পরিশ্রমের ঘাম মিশে আছে এই টাকায়, ১০ টাকায় একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে আপনিই সেই পথ আরও সুগম করেছেন। এই প্রান্তিক মানুষ গুলোর পরিশ্রম ছাড়া আমাদের উৎপাদন বলে কিছু থাকবে না।
আজ আপনি আবার সাধারনের কাতারে এসে অসাধারন সেই শাসকদের মুখোশ খুলে দিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসুন। শুধুই পদত্যাগ করে দায় সারবেন না। ঋণের বোঝা আর বাড়াবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫