ইহুদি-মার্কিন গোষ্ঠীর চিরচারিত ফর্মুলা ক্রাইসিস> রিয়েকশন> সলিউশন। প্রথমে ক্রাইসিস সৃষ্টি কর তারপর রিযেকশনের জন্য অপেক্ষা কর। রিয়েকশন যখন চরম মুহূর্তে তখন সমাধান হিসেবে নিজেদের পূর্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর ।
জার্মানিতে ইহুদি হত্যার নাটক ( ক্রাইসিস)> বিশ্বব্যাপী ইহুদিদের প্রতি সহানুভূতি( রিয়েকশন) > পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি( সলিউশন)।
জঙ্গিবাদের উত্থান প্রমাণ করতে নিজেরাই টুইন টাওয়ারে হামলা ( crisis) > বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (reaction)> পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আফগানিস্তান দখল ( solution)।
এভাবেই ইরাক মিশর লিবিয়া এবং সর্বশেষ আইসিস সৃষ্টীর মাধ্যমে সিরিয়ায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা । সব সময়েই ইহুদি মার্কিন গোষ্ঠীর স্বার্থ প্রতিষ্ঠার কুচক্রের বলির পাঠা হয়েছে মুসলিমরা। সম্প্রতি মায়ানমারে যে গণহত্যা শুরু হয়েছে এই সঙ্কটের ভিকটিম রোহিঙ্গা মুসলিম। একটি গণহত্যার বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাপী চরম প্রতিক্রিয় সৃষ্টি হয়েছে। এখন সমাধান কি হতে পারে ? কি তাদের পরিকল্পনা??
সম্ভাবনা :
১. উদ্বাস্তুদের দেখভাল করার জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ un ট্রুপসের বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থান জিওপলিটিক্সে চীনের সাথে জিতে যাওয়া।
২. মায়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতি।
৩. আরাকান যোদ্ধা দেব অস্ত্র সরবরাহ করে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা এবং জঙ্গিবাদ দমন করতে মায়ান্মারে হামলা।
মূল উদ্দেশ্য বর্তমানে চীন উত্তর কোরিয়ার সাথে যে ঝামেলা চলছে তার বিরুদ্ধে বঙ্গোপসাগর উপকূলের মত একটি স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে ইহুদি মার্কিন গোষ্ঠির অবস্থান।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪