গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের একটি নির্জন টেকে এক শিশুকন্যাকে (১১) ধর্ষণ করেছে যুবলীগ নেতা। এমন অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বাদুন নৈবাড়ি পারান টেক ইউনিট যুবলীগ সভাপতি সোলেমান ভূঁইয়া (৪৫) ও সহযোগী হিসেবে তার স্ত্রী ডেজি বেগমকে আসামি করে গত বৃহস্পতিবার জয়দেবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসার পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা সোলেমান গত বুধবার বেলা ১টায় মাছ দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে নৌকায় উঠিয়ে তাদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে স্থানীয় হাছুন্যার টেকে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুটিকে তাদের বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয়।
এ সময় রক্তপাতে শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে তার স্বজনেরা এগিয়ে আসেন। শিশুটির কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনার পর তার বাবা-মা সোলেমানের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ দেন। এতে সোলেমানের স্ত্রী ডেজি বেগম উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ‘অপবাদের’ অভিযোগে শিশুটিকে প্রচণ্ড মারধর করেন। আহত শিশুটিকে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ দিলে মামলা রেকর্ড হয়। শিশুটি স্থানীয় বিডিবি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা দিনমজুর এবং মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জয়দেবপুর থানার ওসি রেজাউল হাসান রেজা আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সুত্রঃ নয়াদিগন্ত
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০০