somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোযার নুরানি লাচ্ছি

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(ছবি সমকাল পএিকার সৌজন্যে)
রোযার মাসে নুরানি লাচ্ছির জমজমাট ব্যবসার কথা আজকের পএিকায় পড়ছিলাম। শুধু নুরানি লাচ্ছি কেন, মোল্লার হালিম, দই বড়া আর চকবাজারে উপচে পড়া মানুষের ভীঁড় ইফতারির সওদা কেনার জন্য। রোযার মাস যতোটা না কৃচ্ছতার সন্ধান দেয় তার চেয়ে বেশী যোগান দেয় জমজমাট উৎসবমূখর ভোজনবিলাসী আয়োজনের। স্বয়ং বিধাতাও হয়তো এদেশের রোযার উৎসবমূখরতা দেখে তাজ্জব বনে যান। যে রোযা কৃচ্ছতার শিক্ষা দেয় আর গরীব_ধনীকে এক সারিতে নিয়ে আসে অনুশীলনের অশিথিল বন্ধনে সেই রোযায় খাদ্য উৎসব ও দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী প্রতিযোগিতায় অন্তরীণ নাগরিক জীবনের দু:খ-কস্ট হয়ে উঠে খবরের কাগজের প্রধান শিরোনাম।

রোযা যদি কৃচ্ছতার শিক্ষা দেয়, ধৈর্যের শিক্ষা দেয়, নিবৃত হওয়ার শিক্ষা দেয়, সংযত হওয়ার শিক্ষা দেয়, সহমর্মী হওয়ার শিক্ষা দেয়- তাহলে আমরা আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমান করবো আমরা রোযার শিক্ষা থেকে কতোটা দূরে সরে গিয়েছি। মৌলবাদীরা চেস্টা করবে ধর্মের চেয়ে নিজেদের ছায়া দিয়ে নির্বোধ নাগরিকদের আলোকিত করতে। প্রধানমন্ত্রী এতিম শিশুদের সাথে প্রথম রোযার ইফতারি করে হতভাগ্য কতিপয় শিশুকে ইতোমধ্যে কৃতার্থ করেছেন। ধর্ম ব্যবসায়ীরা এবারও হোটেল শেরাটনে বিদেশী কূটনীতিকদের ইফতারির দাওয়াত দিয়ে বিদেশী রসনাকে উপাদেয় ব্যঞ্জন দিয়ে সিক্ত করে ধর্মকে আলোকিত করবে। রাজনৈতিক নেতারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ধর্মভীরুতার ব্যবাসায়িক বিজ্ঞাপন দেবে। মজুতদাররা আর ঘুষখোররা রোযার মাসে বাড়তি আয় করে ধন্য করবে এই পবিএ মাসকে।

এর বাইরে যেসব দরিদ্র আর হতভাগ্য সাধারণ মানুষের বসবাস তাদের জন্য রোযার কোন আকর্ষণ নেই। বাড়তি আনন্দ নেই। তাদের টানাপোড়নের সংসারে রোযা হচ্ছে বাড়তি উপদ্রব। সারা বছরের উপবাসের সাথে একমাসের উপবাস বাড়তি কোন কস্ট নয়। রোযার কল্যাণে বাজারের আগুনে তারা এখন অনেক বেশী দগ্ধ। তারা বিমুগ্ধ হয়ে খোঁজে না নুরানী লাচ্ছি। ধর্ম যখন ব্যবসা আর রাজনীতির উপাদান সেখানে নুরানী লাচ্ছি তোলা থাকে সৌভাগ্যবানদের জন্য। ধর্মের অর্থনীতি নিয়ে কেউ কখনো হিসেব কষে না। দরিদ্রদের খোদা সচরাচর খুব সহিষ্ণু হয়ে থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×