পুরোটা বাংলা ব্লগ জামাত বিরোধী লেখাতে ছেয়ে গেছে। ইসলামী আন্দোলনের কমর্ীদের এভাবে নাজেহাল করা কি সংগত? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জামাতকে ধরাশায়ী করা কি উচিত? ইতিহাস থেকে বলুন, আর স্মৃতি থেকে বলুন, আর প্রত্যক্ষদশর্ী হয়ে বলুন, সবই মিথ্যে প্রচারণা!!! তাই না? আড্ডাবাজের এই বক্তব্যে কেউ আহত হলে আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সত্যি তো, জামাত বিরোধী কথা বলা এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁিড়য়েছে। তাই, আমি জামাতীদের পাঠ্য বইগুলো আবার ধুয়ে-মুছে নতুন করে পড়া শুরু করলাম। তাই, আর ইতিহাস নয়, চেতনা নয়, নতুন প্রজন্মের ভাবনা নয়, "খাস জামাতী নেতার বই থেকে সরাসরি নসিহত করব"। চারদিকে ইসলামী আন্দোলনের শিবির কমর্ীদের মন্তব্যের ছড়াছড়ি দেখে আমি বলেই ফেললাম, "হালা যুদ্ধেই আর যামু না"। এখন থেকে জামাতী নসিহত আপনাদের শুনতে হবে ও বিচার করতে হবে মুক্তমন নিয়ে।
সচেতন ব্যক্তিবর্গ, আপনারা যারা জামাত-শিবির সম্পর্কে জানেন না, তাদের বলি, জামাত-শিবির করতে হলে আর বুঝতে হলে আপনাকে জামাত-শিবিরের পাঠ্য বই পড়তে হবে। তার মধ্যে তাদের পাকিস্তানী গুরু কথাশিল্পী মওদুদীর বই ও পবিএ কোরআনের ব্যাখ্যা "তাফহিমুল কোরআন" না পড়লে জামাত-শিবিরের জেহাদী জোশের স্বাদ পাবেন না। আধুনিক প্রকাশনী আর কাঁটাবন মসজিদের সামনে লাইব্রেরীতে গেলে সুলভ মূল্যে এই বইগুলো কিনতে পারবেন। মওদুদী প্রাতিষ্ঠানিক ধমর্ীয় শিক্ষা না পেলেও তার লেখাগুলো বেশ চমকদার ও উওেজনামূলক। তাই, জামাতীদের বাংলাদেশ বিরোধিতা নিয়ে যারা বেশী লাফালাফি করেন, তাদেরকে বলি, মওদুদী ও জামাতী চিন্তা কখনো স্বাধীনতার প েক্ষ ছিল না। তা 71'এ হোক আর 47'এ হোক।
বৃটিশদের হাত থেকে ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য যখন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে, তখন জামাতের নেতা মওদুদী সেই স্বাধীনতার আন্দোলনকে ভর্ৎসনা করে বৃটিশপ্রীতি দেখাতে গিয়ে বলেন, "যদি আপনার ইংরেজের সাথে শত্রুতা এজন্য যে, সে ইংরেজ, ছ'হাজার মাইল থেকে এসেছে, আপনার দেশের বাসিন্দা নয়, তবে আপনার এ শত্রুতা ইসলামী শত্রুতা নয়- অজ্ঞতাপ্রসূত শত্রুতা" (আবুল আলা মওদুদী, সিয়াসী কাশমকাশ, 1ম খন্ড, পৃষ্ঠা 35)। দয়া করে এবার বলেন না, এগুলো রাজাকার-জামাত বিরোধী প্রচারণা, আমি আড্ডাবাজ নতুন পাঠক। বাংলা ব্লগে কেবল জামাতীদের কথাই বলছি। ইসলামী আন্দোলন এবার বেগবান হবে বৃটিশ আর পাকিস্তানী শক্তির আশীর্বাদে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০