অবৈধ/অপ্রদর্শিত/কালোটাকার মালিকদের জন্য অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রবাসীর পাঠানো টাকার উপর কর আরোপ করার সিদ্ধান্ত।
রাষ্ট্রের প্রতি যদি সত্যিই দায়বদ্ধতা থাকে তবে তার উচিত হবে প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর চার্জ ফ্রি করা এবং বছরে দুইলাখ পঞ্চাশ হাজার বা তার বেশী টাকা পাঠালে ২.৫% নগদ প্রনোদনার প্রদান করা।
যত টাকা প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠায় তার চেয়ে বেশী টাকা অব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীর পরিবারের কাছে পৌছায়। রেট বেশী পাওয়া যায় আর ঝামেলা কম তাতে। টাকা পাঠাতে ব্যাংকে যেতে হয় না আবার আনতেও ব্যাংকে যেতে হয় না। তবে দেশ মুল্যবান রেমিটেন্স/ডলার থেকে বঞ্চিত হয়। ডলারের চাহিদা বাড়ে।টাকার অবমুল্যায়ন তরান্বিত হয়।সাথে সকল আমদানী পন্যের দাম বাড়ে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে ২.৫ লাখ টাকা রেমিটেন্সে পাঠালে তা ডলার আকারে আসে। সেই ডলারের বিপরীতে(রির্জাভ) দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার নতুন নোট ছাপাতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক্ষেত্রে ২.৫% নগদ প্রনোদনায় খরচ হবে ৬,২৫০ টাকা। বাকী ২,৪৩,৭৫০/= টাকা রাষ্ট্রের লাভ। আবার একজন তৈরী পোশাক রপ্তানীকারক তার ব্যাংকের মাধ্যমে ঐ ডলার নিয়ে জাপান থেকে শার্ট বানানোর কাপড় কিনতেও পারবে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে রাষ্ট্রের পুরো টাকাই লাভ প্রক্ষান্তরে অব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠালে অবৈধ/অপ্রদর্শিত/কালোটাকা হাত বদলের কারনে পুরোটাই লস।
অর্থমন্ত্রী তো কতজনকেই নয় ছয় করার সুযোগ করে দিয়েছেন এবার যদি অবৈধ/অপ্রদর্শিত/কালোটাকার মালিকদের ব্যাংকিং চ্যানেল না ছুয়ে কানাডায়/আমেরিকায়/মালয়শিয়ায় আরো কয়েকটা সুলতানা পড়া তৈরীর একটা সুয়োগ করে দিতে চান তবে তার সিদ্ধান্ত সঠিক।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫০