পার্থিব সুবিধার বিনিময়ে যৌনতাকে কারেন্সি হিসাবে ব্যবহারের ইতিহাস বহু প্রাচীন। নারী যৌনতার বিনিময়ে সুবিধা ক্রয় করে আর পুরুষ নানা সুবিধার বিনিময়ে যৌনতা ক্রয় করে। দুজনই ক্রেতা। নারী পার্থিব সুবিধার ক্রেতা আর পুরুষ যৌনতার ক্রেতা।
তথাকথিত #মি টু আন্দোলনটা জেন্টাল এগ্রিমেন্টের সুস্পষ্ট লংঘন বলে আমার মনে হয়। বিনোদন জগতে ধর্ষন বলে কিছু কি আদৌ ঘটে? আমার মনে হয় ঘটে না। যা ঘটে তাহল অলিখিত দেনা পাওনার ট্রান্সজেকশন। নায়িকারা যৌনতার বিনিময়ে উপরে ওঠার সিঁড়ি ক্রয় করে।
প্রশ্ন হল বিনোদন জগতে কাজের সুযোগের বিনিময়ের কারেন্সি হিসাবে যৌনতাকে ব্যবহার করতে নারীকে বাধ্য করা হয় কেন? বাধ্য করা হয় না- তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় যে, এ কাজের জন্য যে সকল টুলস প্রয়োজন তা অধিকাংশ নারীরই আছে । মেকাপে সং যে কেউ সাজতে পারে। অতঃপর নাটুকে নটীরা স্বেচ্ছায়, একটিভলী, যোগ্যতার প্রমান দেয় আর যৌনতার ক্রেতা পুরুষ তাকে হাত ধরে সাফল্যের সিঁড়িতে দাঁড় করিয়ে দেয় দৌড়ানোর জন্য।
তারা জেনে শুনে দেখে বুঝেই সব করে। সাফল্যের সৌরভে তারা শর্ট ট্রাম মেমরী লুজ নামক একটা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুলে যায়। দাপিয়ে বেড়ায় রুপালী পর্দায়, ষ্টেজে। তার রুপ মাধুর্য্যে, যৌবন রসে, কোমরের বাঁকে, মাদকতা ভরা চোখের চাহনীতে, সুডৌল বাক্কার দুলুনীর তালে তালে চারিদেকে সুর ওঠে “আশিক বানায়া, আশিক বানায়, আশিক বানায়”।
মিষ্টি কুমড়িরও একটা এক্সপায়ার ডেট থাকে। নায়িকাদেরও। উপযোগীতা শেষ হয়ে যায় একদিন। আবিস্কার পাগল লুচ্চা প্রযোজক, পরিচালকের কাছে তার মাঝে নতুন করে আবিস্কারের আর কিছু থাকে না। তার পেছনে বিনিয়োগকৃত অর্থ মুনাফা সহ উঠে আসার নিশ্চয়তাও আর থাকে না।
দশ বছর আগের শিশুরা তরুন তরুনী হয়ে ওঠে। তাদের জন্য প্রয়োজন নতুন ক্রেজ। বিশ বছরের তরুন ৩৫ বছরের নায়িকার ছবি বালিশের নীচে রেখে রাতে ঘুমায় না। নতুন প্রজন্মের জন্য চাই নতুন ক্রাশ নতুন মাল(MAL- Most attractive lady).
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিগত যৌবনা নায়িকার শর্ট ট্রাম মেমরী লুজ নামক রোগের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তার মনে পড়ে যায় পরিচালক একদিন তাকে ধর্ষন করেছিল। অনেকদিন আগের ঘটনা বলে সে ভুলে যায় যে নিজে পায়ে হেঁটে বিছানায় উঠে নিজ পারফরমেন্সের পুরস্কার স্বরুপ সাফল্যের সিঁড়ি ক্রয় করেছিল। বহু বছর পর তার মনে হয় তাকে ধর্ষন করা হয়েছিল। খোজ নিতে গিয়ে জানা যায় ধর্ষনের সময় নিজের বস্ত্র যে নিজেই হরন করেছিল।
আর পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে কি আর বলব। ”সকল পুরুষ মানুষ লুচ্চা, যারা ভাল আছে তারা সুযোগের অভাবের কারনে ভাল আছে”-মহাজ্ঞানী মুকুল।
#মি টু আন্দোলনটা আমার দৃষ্টিতে বিগত যৌবনা বারবনিতাদের বেশ্যাবৃত্তির জোবানবন্দি বৈ অন্য কিছু না।