বহুদিন ধরে লালন করা কোন একটি ধারণা বা বিশ্বাসের পরিবর্তন অত্যন্ত দূরহ একটি বিষয় ।
কিছুদিন আগে আমি একজন আমার বিপরীত লিঙ্গের সমকামী বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম । কথার কোন এক প্রসঙ্গে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম , পৃথিবীতে তোমার বিপরীত লিঙ্গের এত সুন্দর মানুষগুলো থাকতে তুমি তোমার সমলিঙ্গের কারও প্রতি আকর্ষণ বোধ কর ........ এটা ঠিক আমার মাথাতেই ঢুকছে না ।তার উত্তরটা ছিল এরকম ," তুমি কি কখনও তোমার সমলিঙ্গের কারও সাথে সম্পর্ক বা সংসার করার কথা ভাবতে পার ?" আমি মোটামুটি আকাশ থেকে পড়লাম এবং হতভম্ব হয়ে বললাম, " এত অসম্ভব !! " এরপর সে বলল, আমিও ঠিক তেমনি আমার বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে এ ধরণের কোন সম্পর্কের কথা ভাবতেও পারি না ।আর তোমাকে যদি জোর করে সমলিঙ্গের একজন মানুষের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয় , তখন তোমার যেমন লাগবে । আমারও ঠিক তেমন লাগে , যখন কেউ বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে সম্পর্কের কথা বলে।"
তার এ ধরণের কথা শুনে সত্যিকার অর্থেই আমাকে সমকামীদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়েছে ।
সমকামিতা স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক ?...বিকৃত নাকি অবিকৃত ...? বিজ্ঞান কি বলে ? এসব নিয়ে মনে হয় যথেষ্ট বাদানুবাদ হয়ে গেছে ।তাই এসব নিয়ে আলোচনা না করে...বরং আমাদের মনে সমকামীদের প্রতি এই যে এত ঘৃণা , তাঁদেরকে বিকৃত যৌন রুচির বলে অভিহিত করা , সমাজের জন্য হুমকি মনে করা ... এর পেছনের কারণগুলো এবং তার যৌক্তিকতা নিয়ে লিখব ।
** সমকামিতার ব্যাপারে আমাদের মনে প্রথমেই যে ধারণাটি কাজ করে সেটা হোল এটা সহজাত বা প্রাকৃতিক নয় ।
>> প্রথমত, আমরা সহজাত বা প্রাকৃতিক বলতে সেটাকেই বুঝি যেটা দেখে বা শুনে আমরা অভস্ত ।খুব খারাপ একটা বিষয়কেও যদি আমারা ছোটবেলা থেকেই দেখে অভ্যস্ত হই ... তাহলে সেটাকেই আমরা স্বাভাবিক বলে মনে করি । যেমন ... একটি মেয়ে অনেক রাতে একা একা বাড়ি থেকে বের হলে তাকে বিপদে পড়তে হবে এটাই “স্বাভাবিক" | কিন্তু সেটা কতটা যৌক্তিক সেটা আমরা ভাবি না |এরকম আরও অসংখ্য উদাহরণ খেয়াল করলেই দেখতে পাব ।
দ্বিতীয়ত,যে বিষয়গুলো “সহজাতভাবে” আসে বা ঘটে সেগুলোই স্বাভাবিক । যেমন , বয়ঃসন্ধি হবার পর ছেলেমেয়েদের শারীরিক বা মানসিক পরিবর্তন ঘটে ,তারা প্রেমে পড়ে , মানুষের মনে যৌনানুভূতি সৃষ্টি হয় ... সন্তান জন্ম লাভের পর তার প্রতি বাবা-মায়ের মনে যে ভালবাসার জন্ম নেয় এগুলোও স্বাভাবিক । কারণ এই ব্যাপারগুলো প্রকৃতিগতভাবেই ঘটে থাকে ।কেউ জোর করে আনে না ।
“স্বাভাবিকতার” স্কেল যদি প্রথমটি হয় । অর্থাৎ আমাদের মনের “পূর্বের বদ্ধমূল” ধারণা বা অধিকাংশ মানুষের “প্র্যাকটিস” নয় বলে আমরা সমকামিতাকে “অস্বাভাবিক” বলি ।তাহলে ঠিক আছে ... সে দৃষ্টিতে সমকামিতা “স্বাভাবিক” নয় । তবে হ্যাঁ , সে দৃষ্টিতে এই “অস্বাভাবিক” ট্যাগটি যৌক্তিকও নয় ।
এবার যদি দ্বিতীয় ক্ষেত্রে চিন্তা করি ... তাহলে দেখব একজন “সমকামী’র মনে সমলিঙ্গের প্রতি যে আকর্ষণ সৃষ্টি হয় ... সেটা কেউ জোর করে আনে না । প্রকৃতিগতভাবেই এসে থাকে (জিনগত বা পারিপার্শ্বিকতায় প্রভাবিত যাই বলি না কেন । একেবারেই গ্রামের একটি ছেলে ... যে কখনো সমকামিতা শব্দটি শোনেও নি ... সে যখন সমলিঙ্গের কারও প্রতি আকৃষ্ট হয় ... সেটাকে কিন্তু আমরা কোনোভাবেই “অপ্রকৃতিগত’’ বা পশ্চিমা বাতাস লাগার ফল বলতে পারব না ।
তবে,সমকামিতা বিষয়টি প্রকৃতিতে কতটা স্বাভাবিক এ যুক্তিতে নয় বরং একজন সমকামী ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমকামিতা বা সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ যেহেতু সহজাতভাবেই(জিনগত বা হরমোনাল কারনে) ঘটে....বা কেউ ইচ্ছে করে সমকামী হয় না বা চাইলেও সে বিষমকামী হতে পারে না ।তাই , সমকামীদের প্রতি আমাদের ধারণা বদলানো উচিত ।
** সমকামীরা বিকৃত রুচির বা সমকামিতা এক ধরণের যৌন বিচ্যুতি ।
>> আমার মনে হয় সমকামীদের ঘৃণা করার সব চাইতে বড় কারণ এটা । সমকামীরা কিভাবে সঙ্গীর সাথে মিলিত হয়......এ বিষয়টি আমরা অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখি ।এ ব্যাপারটি আজ খোলামেলাভাবেই আলোচনা করব ।
যৌনবিচ্যুতি অনেক ধরণের আছে । যেমন , ধর্ষকাম , মর্ষকাম , শিশুকাম , পশুকাম ... অগম্যগমন ( যৌনাচার-নিষিদ্ধ এরকম নিকটাত্মীয়ের সাথে যৌনসম্পর্ক করা ) , সডোমি বা বিকৃত উপায়ে যৌনাচার ( বিশেষত পায়ুকাম ) ... ইত্যাদি ।
সমকামীদের ব্যাপারে উপরোক্ত যৌনবিচ্যুতির তিনটির অভিযোগ সব থেকে বেশি ।
প্রথমটিই হোল, সমকামীরা পায়ুকামী...
অ্যালী বা সমকামিতায় ভীতি নেই এরকম কয়েকজন মানুষের সাথে আমি “পায়ুকাম” বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি । তাঁদের এ ব্যাপারে মতামত ছিল দুজন মানুষ তার বেডরুমে কি করবে সে বিষয় নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার তো কোন কারণ নেই । হ্যাঁ সেটাই.........।
তবে কিছুদিন পর আমি নিজে কয়েকটি নির্ভরযোগ্য তথ্যে পাই... পায়ুকামীরা বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগের (STD) বিরাট ঝুঁকিতে থাকে।যেমন এইচ.আই.ভি , এইচ.সি.ভি ভাইরাস বহনে এর ভয়াবহ ভূমিকা রয়েছে । এছাড়া এই প্রাকটিসটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়... এটি শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির কারণ ।সে দিক থেকে দেখলে এটাকে প্রশ্রয়ও দেয়া ঠিক না ।
এবার আসল ব্যাপারটিতে আসি ... “পায়ুকাম সমকামীদের প্র্যাকটিস” এই যে একটি বদ্ধমূল ধারণা ... আসলে এই ধারণাটিই ভুল ।কারণ পরবর্তীতে আমি বেশ কিছু রেফরেনস এবং অনেক অনেক সমকামী এবং বিষমকামী মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ...... অসংখ্য বিষমকামীদের মধ্যেও এই প্র্যাকটিস বিদ্যমান । আর সমকামীদের বেশ বড় এবং সচেতন একটি অংশ এই ধরণের প্র্যাকটিসে অভ্যস্ত নয় বা ঘৃণা করে ।
আর সব থেকে বড় বিষয়টি হোল ... এদের অনেকেই যৌনতা বিষয়ক পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে এবং বেশির ভাগই পর্ণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এ ধরণের যৌনাচারে লিপ্ত হয়েছে ( সমকামী ও বিষমকামী উভয়ই ) ।
আর আমরা যারা সমকামী শব্দটি গালি বা নোংরামি অর্থেই ব্যবহার করি তাদেরও আসলে সমকামীদের ব্যাপারে জ্ঞানের অভাব আছে । এবং সমকামীদেরকে ব্যক্তিগতভাবে না জেনে শুধুমাত্র পর্ণচরিত্র হিসেবেই জেনেছি ।
দ্বিতীয়ত , সমকামীরা শিশুকামী বা অগম্যগামী । এই ধারণাটি আসলে একেবারেই অমূলক বা জানার অভাব । শিশুকামী বা অগম্যগামী বিষমকামীরাই বেশি হয়ে থাকে । মানসিক বিকৃতি , পর্ণাসক্তি এবং বিশেষত স্বাভাবিক উপায়ে যৌন তাড়না নিবারণের সুযোগ না পেয়েই মানুষ এ ধরণের নীতি বিবর্জিত যৌনাচরনে লিপ্ত হয় ।
**সমকামীরা বহুগামী ... এদের সম্পর্ক স্থায়ী নয় ... যৌনবাহিত রোগের বিস্তার করে ... ইত্যাদি
>> এই দোষের ভাগীদার বোধহয় আমরাই বেশি । সামাজিকভাবে তাঁদের যে অস্বীকৃতি ... বয়কট ... হয়রানি ... এসব যদি না থাকত ... তারা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান বা সংসার করার অধিকারটুকু পেত ...তাহলে সমকামীরা বিষমকামীদের মতই জীবনযাপন করতে পারত ।আমরাই তাঁদেরকে অনিশ্চিত আর দুর্বিষহ জীবনযাপনের দিকে ঠেলে দিয়েছি ।
** স্রষ্টা মানুষের শারীরিক গঠন বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলিত হবার উপযোগী করেই সৃষ্টি করেছেন । এবং এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বর্জনীয় ।
>> ‘যৌনতার উদ্দেশ্য সন্তান জন্মদান’...এই ধারণাটি বিষমকামীদের ক্ষেত্রেও খুব একটা কাজের না ।
হ্যাঁ এটা সত্য সন্তান জন্মদান বা প্রজাতির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলিত হওয়া আবশ্যক । তবে , এর সাথে দুজনের মধ্যকার আকর্ষণ বা ভালবাসা খুব একটা সম্পর্কযুক্ত নয় ।কারণ , ধর্ষণের ফলেও সন্তান জন্ম নেয় । এছাড়া ইনসেসট (অগম্যগমন)এর ফলাফল হিসেবেও সন্তান জন্ম নেয় । যদি সন্তান জন্মদানকেই সম্পর্কের সফলতা হিসেবে ধরে নেয়া হয়,তাহলে এ ধরণের যৌনসম্পর্কগুলোরও বৈধতা থাকা উচিত ছিল ।
এবং সবশেষে ধর্ম কি বলেছে বা কেন বলেছে ?
ধর্মীয় ব্যাপারটি নিয়ে সমকামীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আমি সব থেকে অবাক হয়েছি । কারণ , তাঁদের ৯০% ই আস্তিক বা কোন একটি ধর্মের অনুসারী ছিলেন । ব্যাপারটা এরকম যে ... তারা না পারেন ধর্মীয় বাঁধাকে অস্বীকার করতে না পারেন নিজেকে অস্বীকার করতে । কঠোরভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা একজন ব্যক্তি রীতিমত মানসিক বৈকল্যতায় ভুগছেন নিজের এই অরিয়েন্টেশন নিয়ে ।
তবে ,আমার মতামত হোল “সমকামে লিপ্ত হওয়া” এবং “সমকামী ব্যক্তি” এই দুটো ব্যাপারে পার্থক্য আছে । বিষমকামী ব্যক্তিও জীবনের কোন সময়ে সমকামে লিপ্ত হতে পারেন । আর “সমকামী ব্যক্তি” ঈশ্বরের বা প্রকৃতির স্বেচ্ছা সৃষ্টি । সমকামিতা বলতে কি ধর্মে সডমিকেই বলা হয়েছে নাকি “সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ” কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এসবও পরিষ্কার নয় ।তাই ধর্মের ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না ।
**সমকামিতা একটি মানসিক রোগ ।
>> এর মত হাস্যকর এক্সকিউজ বোধহয় আর নেই । উন্নত বিশ্বে যে মনোচিকিৎসক সমকামিতাকে সারানোর জন্য কোন থেরাপি বা মেডিসিন ব্যবহার করবেন ... চিকিৎসক হিসেবে তার যে নিবন্ধন সেটা বাতিল হয়ে যাবে ।এরপর বোধহয় আর কিছু বলার থাকে না ।
সবশেষে এটুকু বলতে পারি, প্রকৃতিতে বৈপরীত্য একটি স্বাভাবিক ব্যাপার । কেউ কেউ অন্যরকম বা ভিন্নরুচির হতেই পারে ।এর মানে এই নয় যে তাকে ঘৃণা করতে হবে ।আর সমকামিতা বিষয়টিকে পছন্দ বা অপছন্দ নয় ... বরং "প্রত্যেকটি মানুষেরই তার অরিয়েন্টেশন অনুযায়ী সঙ্গী বেছে নেয়ার বা জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে " ---এই যুক্তিতে হলেও তাঁদের প্রতি সমর্থন থাকা উচিত । আর এই সমর্থনটুকু জানাতে কারও নিজের সমকামী হওয়া জরুরী নয় ।ঠিক যেমন বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিজেকে বন্যপ্রাণী হতে হয় না বা ধর্ষকের বিচার চাইতে ধর্ষিত হতে হয় না।
পুরো ব্যাপার না জেনে সমকামীদের প্রতি এই যে ভুল ধারণা এগুলো সভ্য মানুষ হিসেবে আমাদের কাম্য নয় । আমি-আপনি হয়ত জানিও না ... আমাদেরই আশেপাশে হয়ত কত সমকামী ব্যক্তি আছেন । যারা নিজেদের এই পরিচয়টি গোপন রেখে নিভৃতে সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বা অবদান রাখছেন......।
তাদের প্রতি সম্মান এবং ভালবাসা রইল ।
আলোচিত ব্লগ
ইরানের হামলায় ইসরায়েল কি ধ্বংস হয়ে গেছে আসলেই?
ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার একটি ভিডিও দেখতে পাচ্ছেন অনলাইনে। যাতে দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার মিসাইল ইসরায়েলের আকাশে উড়ছে আর সাইরেন বেজেই চলেছে! ভিডিওটি দেখে আপনি ভাবতে পারেন, হাজার কোটি ডলার... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি
পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।
ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?
কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।
এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন