ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী ঘটনাবলী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদকে নিয়ে নানা কথা উঠেছে। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে সাবেক একজন মন্ত্রী দেওয়ানি মামলা করেছেন। এসব প্রচারণা সম্পর্কে জেনারেল মইন কী ভাবছেন, কবে ফিরছেন বাংলাদেশে, তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, তারেক রহমান ও বর্তমান সরকারের ব্যাপারে তার ভাবনা, বিডিআর নৃশংসতা, ডিজিএফআইয়ের কর্মকৌশল, রাজনীতিতে যোগদান করবেন কি না ইত্যাদি নিয়ে তিনি দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন উত্তর আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ঠিকানা পত্রিকাকে। সাক্ষাৎকারটি এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করা হলো।
প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল বলেছেন, সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?
উত্তর : ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি অথবা অনিয়ম হয়েছে বলে দেশ-বিদেশের কেউই এখন পর্যন্ত বলেননি। সবাই বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটি ছিল সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন, যেখানে ভোটাররা নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন। ওই নির্বাচনের ওপর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ টিমের তীক্ষè দৃষ্টি ছিল। পর্যবেক্ষণকারী অসংখ্য সংস্থার একটিও বলেনি যে, নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়েছে। একটি সাধারণ উদাহরণ দিলেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। আমার ছোট ভাই মিনহাজ আহমেদ জাবেদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আমার জামাইয়ের বড় ভাই ব্যবসায়ী আবুল হাশেমও প্রার্থী ছিলেন। তারা উভয়েই পরাজিত হয়েছেন। এ থেকে কী প্রতিয়মান হয় না যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনোই ভূমিকা ছিল না নির্বাচনে হারজিত নির্ধারণে। আইডি কার্ড এবং ভোটার তালিকা তৈরি ছাড়া সেনাবাহিনীর কোনোই ভূমিকা ছিল না ওই নির্বাচনে। তাহলে আমরা কীভাবে চিটিং করেছি?
প্র্রশ্ন : চিটিংয়ের প্রশ্ন নয়, এটি হচ্ছে কারচুপির অভিযোগ, সমঝোতার প্রসঙ্গ।
উত্তর : কীসের সমঝোতা, কার সঙ্গে সমঝোতা? কীভাবে সম্ভব সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করা? আমরা কী কাউকে ভোট চুরি করতে দিয়েছি বা বাক্সে ব্যালট ভরে দিয়েছি? এটা কেমন কথা হলো বলুন? তার (আবদুল জলিল) মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি, যিনি সারাটি জীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করছেন, তিনি যদি এমন কথা বলেন, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। সমঝোতা হলে বা কারচুপি করা সারাদেশে কী সম্ভব? আমি আন্তরিক অর্থেই বলছি, সে ধরনের কিছুই ঘটেনি ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে।
প্রশ্ন : জলিল সাহেব বলেছেন, ডিজিএফআইর নির্যাতনের কথা মনে হলেই তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন এবং সে কারণে কখন কী বলেন বুঝতে পারেন না।
উত্তর : দেখুন ডিজিএফআইতে তেমন কোনো নির্দেশ ছিল না যে কাউকে নির্যাতন করতে হবে। মানুষকে টর্চার করে কথা বের করার কোনো নির্দেশ কখনই ডিজিএফআইকে দেয়া হয়নি। এমনকি তার অফিস থেকে কিংবা তার পক্ষ থেকেও তেমন নির্দেশ ছিল না। ডিজিএফআইর ডিজি তো এখনো চাকরিতে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই একথার সত্যতা মিলবে যে, কেউ তাদের কোনো নির্দেশ দিয়েছেন কি না।
প্রশ্ন : সে সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী একজন সেনা অফিসারকে উদ্ধৃত করে মিডিয়ায় বলা হয়েছে, আপনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
উত্তর : এটাও ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। আমি যদি প্রেসিডেন্ট হতেই চাইতাম তাহলে তো হয়েই যেতাম। কেউ আমাকে স্টপ করতে পারতো না। আমি যা বলেছি তা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে এবং সবাই তা শুনেছেন ও দেখেছেন। সময়ের ব্যবধানে আমার বক্তব্যের প্রমাণও পেয়েছে সমগ্র জাতি, সমগ্র বিশ্ব। সত্য একদিন উদ্ভাসিত হবেই, জণগণ সত্যকেই সবসময় মেনে নিয়েছেন।
প্র্রশ্ন : বিডিআর নৃশংসতার সঙ্গেও আপনাকে জড়ানোর একটি গুঞ্জন বিভিন্ন মহলে রয়েছে। সেনাপ্রধান হিসেবে আপনার ব্যর্থতাকে দায়ী করা হচ্ছে। এমন একটি হত্যাযজ্ঞ ঘটলো অথচ আর্মি চিফ কিছুই জানলেন না?
উত্তর : আর্মি চিফ কীভাবে জানবেন? বিডিআর আর্মির কোনো পার্ট নয়। তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিডিআরের কোনো কিছুর সঙ্গেই আর্মি জড়িত থাকে না। আমাদের অফিসাররা সেখানে যান ডেপুটেশনে। সেখানে যাওয়ার পরই তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ও নির্দেশে সবকিছু করেন। মোট কথা হচ্ছে, বিডিআরের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো বিজনেস নেই। দ্বিতীয়ত. দেশে সে সময় নির্বাচিত সরকার ছিল। এনএসআই এবং ডিজিএফআই তাদের সব রিপোর্ট সরাসরি সরকারের কাছে পেশ করে। আর্মি চিফের কাছে রিপোর্ট প্রদানের কোনো নিয়ম নেই। এটা আর্মির চেইন অফ কমান্ডে কখনই ছিল না, এখনো নেই। ডিজিএফআই পৃথক কমান্ডে পরিচালিত হয় এবং তাদের রিপোর্ট করতে হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীকে। ডিজিএফআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে থাকে।
প্রশ্ন : প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া রিপোর্টের কোনো কপি আপনার কাছে দেয় না?
উত্তর : নো, নেভার। এমন কোনো বিধানও নেই। তাদের বস হলেন প্রধানমন্ত্রীÑ এটাই চেইন অফ কমান্ড। যখন ওই ঘটনা ঘটেছে, সে সময় দেশে নির্বাচিত সরকার ছিল। তবুও যদি আমার ব্যর্থতাকে কেউ বিবেচনা করেন, তাহলে তারা তা ভাবতে পারেন। এটা তো ব্যর্থতাই ছিল। সেটি অবশ্যই গোয়েন্দা ব্যর্থতার এক বড় উদাহরণ। বিডিআরের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, ডিজিএফআই রয়েছে, এনএসআই রয়েছে, আরো কয়েকটি সংস্থা রয়েছে, কারো নজরে তা আসা উচিত ছিল। এ ঘটনা তো হঠাৎ করে ঘটেনি। এজন্য সময় লেগেছে, প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কেউ কী তা বুঝতে পারেনি? সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ওই ঘটনার দুদিন আগে সেখানে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন। এ উপলক্ষেও তো সেখানে অনেক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সে সময় তা ধরা পড়া উচিত ছিল।
প্রশ্ন : তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন বলে কেয়ারটেকার সরকারের প্রশাসনের সময় অভিযোগ উঠেছিল। সে অর্থের কোনো হদিস পেয়েছেন কি?
উত্তর : গোপন টাকা কিংবা পাচারকৃত টাকা উদ্ধার করতে অনেক চেষ্টা করা হয় জরুরি আইনের আওতায়। এজন্য কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হয়। চুক্তিবদ্ধ হতে পারলে কেউই লুণ্ঠিত অর্থ লুকিয়ে রাখতে পারবেন না। সেগুলো উদ্ধার হবেই। এরই মধ্যে বিরাট অঙ্কের একটি অর্থ উদ্ঘাটিত হয়েছে। এজন্য বছরাধিককাল অপেক্ষা করতে হয়েছে। একইভাবে অন্য ব্যাপারেও সময় দিতে হবে। এগুলোর সঙ্গে শুধু বাংলাদেশ জড়িত নয় বলে তদন্তের আগে নানা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে সময় লাগে।
প্রশ্ন : তারেক রহমান পুনরায় বাংলাদেশে ফিরছেন বলে কি আপনার মনে হয়?
উত্তর : এটা সম্পূর্ণভাবেই তার ব্যাপার। তিনি যেতে চাইলে যাবেন, না চাইলে যাবেন না। এসব ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই, আমি কিছু বলতেও চাই না।
প্রশ্ন : শোনা যাচ্ছে আপনি আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ফ্লোরিডায় একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছিলেন বলে খবরও রটেছিল। এখন আপনার সিদ্ধান্ত কী?
উত্তর : কতো কিছুই তো লেখা হচ্ছে, বলা হচ্ছে। কিন্তু তা কি সত্যি বলে আপনারা দেখেছেন? কেউ আপনাকে কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতেই পারে, সেখানে যাওয়া, না যাওয়ার ব্যাপারটি নিতান্তই আপনার।
প্রশ্ন : মহাজোট সরকারের নয় মাসের কোনো অবজারভেশন রয়েছে কী?
উত্তর : তারা এসেছে কয়েক মাস হলো। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তারা জনগণকে বিভিন্ন ওয়াদা দিয়েছেন। নিশ্চয়ই সেগুলো বাস্তবায়নে তারা আন্তরিক অর্থেই সোচ্চার রয়েছেন। আমি তাদের ব্যাপারে সবসময় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছি। জনগণ দেশের মঙ্গল চান এবং তারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সেটাই করে যাবেনÑ এ প্রত্যাশা আমারও।
প্রশ্ন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে অনেকে অভিযোগ করছেন দেশে পুনরায় রাজনৈতিক দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সামাজিক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আপনার অভিমত কী?
উত্তর : দেখুন, আমরা দেশবাসীকে দেখাতে চেয়েছি, একটি মেসেজ দিতে চেয়েছি যে, আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব। তবে একেবারে তো বন্ধ করা যাবে না, ক্রমান্বয়ে কমানো যাবে। তাই, আমি নিশ্চিত, বর্তমান সরকার তা বিবেচনায় রেখেই অগ্রসর হবে। আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই সঙ্কল্পবদ্ধ দুর্নীতি হ্রাসের ব্যাপারে। তারা আসছেন পাঁচ বছরের জন্য। এখনো সোয়া চার বছর হাতে রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা তাদের পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সময় দিতে হবে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে। রাতারাতি কিছুই সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, প্রত্যেক বিষয়েই জনগণ সঠিক মূল্যায়ন করেন।
প্রশ্ন : দুর্নীতিবিরোধী অভিযান থেকে হঠাৎ করে পিছু টান দিলেন কেন?
উত্তর : এটা আদৌ সত্য নয়। আমরা পিছু টান দিইনি। আমরা সবসময় সঙ্কল্পবদ্ধ ছিলাম সুন্দর একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য। সেটি করেছি। দুর্নীতি দমন কমিশন রয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে নিশ্চয়ই।
প্রশ্ন : জরুরি অবস্থা চলাকালে কিংস পার্টি গঠনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা ব্যর্থ হলো কেন?
উত্তর : সে উদ্যোগের ব্যাপারে জানতাম না এবং কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম না। দল করবো কেন?
প্রশ্ন : ক্যানসাসের স্টাফ কলেজ প্রদত্ত নৈশভোজ-উত্তর অনুষ্ঠানে আপনি তাদের ঘোড়া উপহার দিয়েছেন। এর আগে ভারত সফরকালে তারা আপনাকে ঘোড়া দিয়েছে। এর কারণ কী?
উত্তর : ঘোড়া হচ্ছে মিলিটারির প্রতীক। সেজন্য সেনাপ্রধান হিসেবে আমি যখনই যেখানে গেছি তখনই ঘোড়া প্রতীক উপহার দিয়েছি। ভারত থেকে আমরা সেনাবাহিনীর জন্য ঘোড়া ক্রয় করতে চেয়েছিলাম। সে স্থলে তারা আমাদের ঘোড়া উপহার দিয়েছেনÑ এজন্য আমি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।
প্রশ্ন : এর আগের সাক্ষাৎকারে আপনি ঠিকানাকে বলেছিলেন, অবসরে গিয়ে অসহায় মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেবেন। সে ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?
উত্তর : এরই মধ্যে আমি সে কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশের এতিম ছেলেমেয়েরা এতিমখানায় তেমনভাবে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় না। আমি চাচ্ছি, এতিম ছেলেমেয়েদের মধ্যে যারা মেধাবী, তাদের একত্র করবো। দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় যাবো এবং তাদের বাছাই করবো। নিয়ে আসবো আমার প্রকল্পে। তাদের মেধাকে বিকশিত হতে যথাযথ উদ্যোগ নেবো। অর্থকড়ি নিয়ে তাদের কিছুই ভাবতে হবে না। তারা নিজ নিজ বিষয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাবে। ক্যাডেট কলেজের মডেলে শিক্ষা দেয়া হবে। যারা ডাক্তার হতে চায় তারা মেডিকেল কলেজে যাবে, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে বুয়েট অথবা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করবো। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা গ্রীষ্মের ছুটিতে ভলান্টারি জব করেন। তাদের নিয়ে যাবো আমার সে প্রতিষ্ঠানে। শুধু থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তার বিনিময়ে আমার প্রতিষ্ঠানের এতিম ছেলেমেয়েরা পাশ্চাত্যের শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর তাদের দেশের উন্নয়নে নিয়োগ করা হবে।
প্রশ্ন : এ প্রতিষ্ঠান কোথায় গড়ছেন?
উত্তর : ঢাকার কাছে কোথাও। অনেক টাকা লাগবে। এরই মধ্যে মানবহিতৈষী অনেকে এগিয়ে এসেছেন। এ প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া চলবে ইংরেজি মিডিয়ামে। পাশাপাশি ধর্ম-কর্ম শিক্ষাও দেয়া হবে। সেখানে থাকবে খেলার মাঠ, গবেষণাগার, পাঠাগার ইত্যাদি। এ প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিক করেছি এবং তা হচ্ছে ‘ব্রাইট স্টার’।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪৭