somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুটবলের ভাতৃদ্বয় সমগ্র।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ফুটবলার আছেন যাদের ভাইয়েরাও ফুটবলার। কিন্তু খুব কম লোকই এই ভাইদের সম্পর্কে জানে। বেশিরভাগ সময়ই একজনের সাফল্যের আড়ালে অন্যজন ঢাকা পড়েছেন। জেনে নিন এমন বিখ্যাত এইসব ফুটবলারদের ভাইদের সম্পর্কে।

★ গুইসেপ্পে এবং ফ্রাঙ্কো বারেসিঃ



বারেসি ফ্যামেলির ৩ সন্তানের মধ্য সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ফ্রাঙ্কো বারেসি। বারেসিকে বলা হয়ে থাকে ইতালি তথা ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন। 'ওয়ার্ল্ড সকার' ম্যাগাজিনের মতে বিংশ শতাব্দীর ১০০ গ্রেটেস্ট ফুটলারদের তালিকায় ফ্রাঙ্কো বারেসির অবস্থান ১৯ তম। মিলানের হয়ে ৩টা চ্যাম্পিয়নস লীগ, ৬ টা সিরিএ লীগ টাইটেলসহ জিতেছেন অসংখ্য কিছু। কিন্তু গুইসেপ্পে ভাইয়ের মতো ততটা উজ্জ্বল ছিলেম না। ইন্টর মিলানের হয়ে প্রায় ৪০০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

★ ডিয়াগো মিলিতো এবং গ্যাব্রিয়েল মিলিতোঃ



আর্জেন্টিনার বার্নালে জন্ম নেয়া মিলিতো ভাইদ্বয়ের মধ্যে উজ্জ্বল ছিলো ডিয়াগো আলবার্তো মিলিতো। উরুগুয়ান ফুটবলার এনজো ফ্রান্সেকলির মতো শারীরিক ক্ষমতার জন্য মিলিতো'কে ডাকা হয় 'El Príncipe' বা স্পেনিশ 'দ্যা প্রিন্স' নামে। মিলিতো তার ক্লাব ক্যারিয়ারে গড়ে ২ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন! সেরা সময় কাটিয়েছেন ইন্টারন্যাজিওনাল মিলানো ক্লাবে। খেলেছেন রেসিং এবং জিওনা ক্লাবেও। অপরদিকে গ্যাব্রিয়েল মিলিতো আর্জেন্টিনা অনুর্ধ- ১৭, ২০ এবং জাতীয় দলে খেলেছেন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন চিলিয়ান ক্লাব 'ও হিগিনান্স' ক্লাবের।

★ টনি ক্রস ও ফেলিক্স ক্রসঃ

সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ ও বর্তমান রিয়াল মিডফিল্ডার টনি ক্রস জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ এবং বায়ার্নের হয়ে ট্রেবল জিতেছেন। রিয়ালের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। গত বছর ফিফা ব্যালন ডি অর’র তালিকায় নাম ছিলো তার। এই টনি ক্রসকে সবাই চিনলেও তার ভাই ফেলিক্স ক্রসকে খুব কম লোকই চেনে। ফেলিক্স খেলেন বুন্দেসলিগার দল ওয়েন্ডার ব্রেমেনে।বায়ার্ন এবং ব্রেমেনে নাম লেখানোর আগে টনি ও ফেলিক্স একই সঙ্গে খেলেছেন হানসা রোস্টকে। টনি ২০০৬ সালে বায়ার্নে যোগ দেয়ার পর ২০১০ পর্যন্ত রোস্টকেই ছিলেন ফেলিক্স। তবে গত পাঁচ বছর ধরে ওয়েন্ডার ব্রেমেনে খেলা ফেলিক্স জার্মান অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেললেও জাতীয় দলে এখনো জায়গা পাননি।

★ থিয়াগো আলকান্তারা ও রাফিনহা আল্কান্তারাঃ



ছবিঃ বায়ার্নের জার্সিতে থিয়াগো আলকান্তারা এবং বার্সালোনার জার্সিতে রাহিনহা আলকান্তারা।

ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই দুইভাই প্রচন্ড প্রতিভার অধীকারী। ইয়াং টেলেন্টদের মধ্যেও অন্যতম। থিয়াগো জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের প্লেয়ার আর রাফিনহা বার্সালোনার। রাফিনহা ব্রাজিলের অলিম্পিক দলেরও প্লেয়ার, কিন্তু থিয়াগো ব্রাজিলের হয়ে খেলার অসীকৃতি জানিয়ে জার্মান দলে খেলার ইচ্চা জানিয়েছে।

★ ওয়েলসি স্নাইডার ও রডনি স্নাইডারঃ

নেদারল্যান্ডসের অন্যতম তারকা ওয়েলসি স্নাইডার। খেলেছেন আয়াক্স, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ইন্টার মিলানের মতো দলে। ২০১০ সালে ইন্টারের হয়ে জিতেছেন ট্রেবল। দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা স্নাইডার গোল করেছেন ২৮টি।এই বিখ্যাত ভায়ের ছোট ভাই রডনি খেলেন স্কটল্যান্ড ইউনাইটেডে। ভাইয়ের আয়াক্সেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন রডনি। তবে সুবিধে করতে পারেননি । অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেললেও জাতীয় দলে এখনো সুযোগ পাননি এই ২৪ বছর বয়সী।

★ বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টেইংগার ও তোবিয়াস সোয়াইনস্টেইংগারঃ

শৈশবের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টেইংগার। বায়ার্নের হয়ে অনেকগুলো শিরোপা জয়ের পাশাপাশি জার্মানির সর্বশেষ বিশ্ব জয়েরও অন্যতম কারিগর তিনি। তার ভাই তোবিয়াস সোয়াইনস্টেইংগার বায়ার্নের দ্বিতীয় দলে খেললেও কখনো মূল দলে খেলেননি। তবে বুন্দেসলিগায় কখনো না খেললেও বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থক তিনি।

★ পল পগবা-ম্যাথিয়াস পগবা ও ফ্লোরেনটিন পগবাঃ



ছবিঃ পগবা ব্রাদার্স লিমিটেড।

পগবা পরিবারের ছোটছেলে 'পল লেইবে পগবা'। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রতিভাবান এই ফুটবলার খেলেন ইংলিশ জায়ান্ট ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে। জুভেন্টাস থেকে রেকর্ড পরিমান অর্থ দিয়ে এই সিজনে তাকে দলে বেড়ায় লাল শয়তান'রা। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি।অন্যদের চেয়ে আরে এক জায়গায় এগিয়ে পগবা।তারা যে তিন ভাই ফুটবলার। বড় দুই ভাই ম্যাথিয়াস ও ফ্লোরেনটিন পগবা অবশ্য তার মতো আলো ছড়াতে পারেননি। ম্যাথিয়াস খেলেন স্কটিশ ক্লাব প্যাট্রিকে। আর ফ্লোরেনটিন খেলছেন ফরাসি ক্লাব সেইন্ট ইনটাইনে। আরো মজার ব্যাপার হলো, পগবা ওফ্লোরেনটিন ফ্রান্সের হয়ে খেললেও ম্যাথিয়াস খেলেন গায়ানার হয়ে।



★ জাভি অ্যালেনসো-মিকেল অ্যালেনসোঃ



বিশ্বকাপ ও দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী স্পেনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জাভি অ্যালেনসো। খেলেছেন লিভারপুল ও রিয়ালমাদ্রিদে। বর্তমানে বায়ার্ন মিউনিখের অন্যতম সদস্য তিনি। ফিফার নির্বাচিত সেরাএকাদশে ঠাই পেয়েছেন দুইবার।ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে যোগ দেয়ার আগে খেলতে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদে। এই ক্লাবেই তার সতীর্থ ছিলেন বড় ভাই মিকেল অ্যালেনসো। পরে মিকেলও ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। বোল্টন ওয়ান্ডার্সের পর মিকেল খেলেছেন চার্লটন অ্যাথলেটিকসে। তবে বড় দুটি লিগে খেললেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি তিনি।

★ লুইস সুয়ারেজ ও পাওলো সুয়ারেজঃ

উরুগুয়ের সালতো' তে জন্ম নেয়া সুয়ারেজ ব্রাদার্সদের মধ্যে দ্যুতি ছড়িয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া সাবেক লিভারপুল তারকা লুইস সুয়ারেজ বর্তমানে খেলছেন লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনায়। লালীগা, চ্যাম্পিয়নস লীগ, কোপা ডে রে সহ ট্রেবল জিতেছেন স্পেনিশ জায়ান্টদের হয়ে। ২০১১ সালে কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি ২০১৪ সালে ইংলিশ লিগের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি। তবে বিশ্বকাপে কামড়কাণ্ডে জড়িয়ে বেশ সমালোচিত হন উরুগুয়েন তারকা।সুয়ারেজের বড় ভাই পাওলো সুয়ারেজও ফুটবলার। পাওলো নিজের পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে খেলেছেন এলসালভাদরের ক্লাব মেটাপানে। অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেললেও জাতীয় দলে কখনো খেলতে পারেননি।

★ সামি খেদিরা ও রানি খেদিরাঃ

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জেতা জার্মান দলের অন্যতম সদস্য সামি খেদিরা। ২০১০ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার আগে খেলেছেন বুন্দেসলিগার ক্লাব স্টুটগার্ডে।সম্প্রতি রিয়াল ছেড়ে যোগ দিয়েছেনইতালির জুভেন্টাসে।সামির ছোট ভাই রানি খেদিরাও ফুটবলার ।বড় ভাইয়ের মতো তিনিও বেড়ে উঠেছেন স্টুটগার্ডের একাডেমিতে। প্রথমসারির দলে সুযোগ না পেয়ে রানি যোগ দেন বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় সারির দল লিপজিকে। জার্মান অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন।সামি জার্মানির হয়ে খেললেও তার ২১ বছর বয়সী ভাই খেলতে চান তিউনিসিয়ার হয়ে।

★ জর্ডান আইয়ো ও আন্দ্রে আইয়োঃ



আইয়ো ভাই জুটি জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি এখন দুজনেই খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। আন্দ্রে আইয়ো সোয়ানসির ১০ নাম্বার জার্সিতে খেলছেন আর জর্ডান আইয়ো স্টোকসিটির জার্সিতে।


★ জন টেরি-পল টেরি:

সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক এবং বর্তমান চেলসি অধিনায়ক জন টেরি ইংলিশ ফুটবলে সম্ভাব্য সব ট্রফিই জিতেছেন। প্রিমিয়ার লিগ,চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএকাপ, ইউরোপা লিগ ও ক্যাপিটাল কাপ সব ট্রফিই তার ঝুলিতেরয়েছে।তবে একজন ফুটবলার হওয়ার পর এতো শিরোপাজয়ী জন টেরির ভাই পল টেরিকে খুব কম লোকই চেনে। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি দ্বিতীয় সারির ক্লাবে খেলার পর ২০১২ সালে অবসর নেন পল।

★ ববি চার্লটন - জ্যাক চার্লটনঃ

চার্লটন ভাতৃদ্বয় একই দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে পার্ফমেন্সের দিক থেকে স্যার ববি চার্লটন অনেক অনেক এগিয়ে। বিশ্বকাপের পাশাপাশি তার ঝুলিতে আছে ৩ টা লীগ টাইটেল, একটা ব্যালন ডি'ওর পুরষ্কার। জ্যাক চার্ল্টন ১৯৬৯ সালে লীডস ক্লাবের হয়ে ক্লাব শিরোপা জিতেন।

★ সক্রেটিস- রাইঃ

সক্রেটিসের নাম শুনেননি এমন ফুটবল ভক্ত খুব কমই পাওয়া যাবে। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার। ছিলেন একজন প্রফেশনাল ডাক্তার। মেডিসিনে তার একটি ডিগ্রিও আছে। ছিলেন আতিমাত্রায় সিগারেট স্কোমার। কিন্তু সক্রেটিসের ভাই ঠিক ততোটা জনপ্রিয় ছিলেন না। খেলেছেন ব্রাজিলের সাও পাওলো এবং ফ্রান্সের পিএসজি ক্লাবের হয়। রাই ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন ১৯৯৪ সালে।

★ গ্যারি নেভিল ও ফিল নেভিলঃ



ইংল্যান্ডের বারি, ম্যাঞ্চেষ্টারে জন্ম নেয়া নেভিল ভাতৃদ্বয়ের মধ্যে গ্যারি নেভিল তার পুরো ক্যারিয়ার ই কাটিয়ে দিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলে! সেই ১৯৯১-৯২ সিজনে যোগ দিয়েছিলেন ম্যাঞ্চেষ্টারের ইয়ুথ টিমে। পরের বছর থেকে নিয়মিত ডাক পেতে থাকলেন ম্যাঞ্চেষ্টারের সিনিয়র দলে। '৯২ সাল থেকে রিটায়ার্টম্যান্টের আগ পর্যন্ত ক্লাবের হয়ে খেলেছেন প্রায় ৪০০ ম্যাচ! খেলেছেন ইংল্যান্ডের অনুর্ধ-১৬, ১৮ এবং জাতীয় দলে। হয়েছেন স্পেনিশ ক্লাবের কোচও! বর্তমানে স্কাই স্পোর্টস এর কমেন্টেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপরদিকে ফিল নেভিল ম্যাঞ্চেষ্টারের ইয়ুথ টিমে যোগ দিয়েছেন বছর দুয়েক পরে। ১৯৯৪-২০০৫ খেলেছেন ম্যাঞ্চেষ্টারের সিনিয়র টিমে। অত:পর যোগ দেন এভারটনে। ফিল নেভিল এবং গ্যারি নেভিল ভাতৃদ্বয় 'সালফোর্ড এফসি' নামক ক্লাবের মালিক।

★ ফ্যাবিও ক্যানেভারো এবং পাওলো ক্যানেভারো

ইতালিতে নেপলসে জন্ম নেয়া ক্যানেভারো ভাতৃদ্বয়ের একজন ফ্যাবিও ক্যানেভারো। ক্যানেভারোকে বলা হয়ে থাকে সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন হিসেবে। ক্যারিয়ারের বেশিভাগ সময়ই কাটিয়েছেন ইতালিতে। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইতালিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৪র্থ বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন চাইনিজ ক্লাব 'গুনজুয়ান এভারগ্রান্ড' এর কোচ হিসেবে। অপরদিকে পাওলো ক্যানেভারো বড়ভাইয়ের মতো ততটা উজ্জল না হলেও খেলেছেন ভাইয়ের সাথেও। ইতালির বয়সভিত্তিক প্রতিদি দলে খেলেছেন পাওলো ক্যানেভারো।


★ ফিলিপো ইনজাগি ও- সিমিওনে ইনজাগিঃ

ইতালির সমুদ্রবেষ্টিত শহর 'পিয়াসেনজা' তে জন্ম এই বিশ্বখ্যাত ভাইদ্বয়ের। বড় ভাই 'সুপার পিপ্পো'র আদর্শ ছিলেন পাওলো ডি রসি এবং মার্কো ভ্যান বাস্তেন। ফিলিপ্পো ইনজাগি খেলা শুরু করেন ইতালির বয়সভিত্তিক অনুর্ধ-১৭ দলে। অত:পর অনুর্ধ-২১ দলে এবং ইতালি জাতীয় দলে। ক্যারিয়ারে সাফল্যের ঝুড়িতে আছে ০৬' এর বিশ্বকাপ জয়, ২টা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, ৩ টা সিরিএ লীগ টাইটেল। ফীলীপ্পো বর্তমানে ইতালিয়ান ক্লাব 'ভ্যালেঞ্জিয়ার কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ছোটভাই সিমিওনে ইনজাগি আরেক ইতালিয়ান ক্লাব এসএ লাজিও ক্লাবের কোচের দায়িত্বে আছেন। সুপার পিপ্পোর মতো ততটা উজ্জ্বল হতে পারেন নি। খেলেছেন ইতালির অনুর্ধ-১৮ দলে। ডিনো জফ' এর অধীনে ডেব্যু হওয়া সিমিওনে ইনজাগি জাতীয় দলে খেলেছেন মাত্র বছর তিনেক।


★ রিও ফার্দিনান্দ ও এন্থন ফার্দিনান্দঃ



অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞ ই মনে করেন, রিও ফার্দিনান্দ ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরাদের একজন। ১৯৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৮১টি ম্যাচ। ছিলেন ৩টি বিশ্বকাপ স্কোয়ার্ডে। রিও তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ওয়েস্টহ্যামের ইয়ুথ ক্লাবে। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের অনুর্ধ-১৮ দলে ডাক পান। অতঃপর অনুর্ধ-২১ দলেও খেলেছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৬ প্রিমিয়ারলীগ টাইটেলের পাশাপাশি আছে ১৪ ট্রফি, পিএফে প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার হয়েছেন ৫ বছরে ৪ বার! রিও ফার্দিনান্দ এর ভাই এন্থন ফার্দিনান্দও একজন প্রফেশনাল ফুটবলার। সে মূলত ওয়েষ্টহ্যাম ক্লাব একাডেমির প্রোডাক্ট। ইংল্যান্ডের অনুর্ধ-১৬/১৮/২১ দলের ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেছেন। বর্তমানে খেলেন সাউথেন্ড ইউনাইটেড এর হয়ে। ফার্দিনান্দ ভাতৃদ্বয়ের কাজিন 'লিস ফার্দিনান্দ এবং কেন ফার্দিনান্দও প্রফেশনাল ফুটবলার।


★ ইডেন- থরগান- হ্যাজার্ডঃ



বেলজিয়ামের 'লা ল্যুভিয়েরে' তে জন্ম হ্যাজার্ড ভাতৃদ্বয়ের। ইডেন হ্যাজার্ড বেলজিয়াম জাতীয় দলের পাশাপাশি খেলেন ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি'তে। কোচ, কলিগস, কমেন্টেটারদের রেংকিংকয়ে হ্যাজার্ড বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন ফুটবলার। জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন সেই অনুর্ধ-১৫ দলের হয়ে খেলে। সিনিয়র দলে অভিষেক হয় ২০০৮ এর লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে। ইডেন হ্যাজার্ডের আরেক ভাই থরগান ফ্রান্সিস হ্যাজার্ড। ভাইয়ের সাথে জাতীয় দলের পাশাপাশি খেলেন জার্মান ক্লাব 'বুরুশিয়া মুনশেনগ্ল্যাডবাথ' ক্লাবে। থরগান বেলজিয়াম অনুর্ধ-১৫/১৬/১৭/১৮/১৯ দলের হয়ে খেলেছেন। ২০১৩ এর মে তে উইনাইটেড স্টেইটস এর বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয় থরগান হ্যাজার্ডের। ভুলে গেছি- হ্যাজার্ড ভাতৃদ্বয়ের আরেক ভাই কেইলান হাজার্ডও প্রফেশনাল ফুটবলার।

© আহমদ আতিকুজ্জামান।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×