মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়েও চান্স পাইনাই , কত কঠিন ভালমতই জানি । খুব কষ্টের মধ্যে পড়াশোনা করেও শুধু মেডিকেল এই না , স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল এঁর মত জায়গায় চান্স পাইসে এই ছেলে । তারপরও টাকার চিন্তা ঘিরে ধরেছে পরিবারকে ।
পান বিক্রেতা ফজলুল হকের চোখেমুখে আনন্দ। কারণ, তাঁর একমাত্র ছেলে আলম হোসেন এবার মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর পড়াশোনার খরচ চালানোর বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের ভালুখালী গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক। তাঁর এক ছেলে ও তিন মেয়ে। তাঁদের মধ্যে আলম দ্বিতীয়। তিনি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ফজলুল হকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ছাপরাঘরে চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ফজলুল। ঈদের পর হাটবাজারে তেমন বেচাকেনা হয় না বলে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। স্ত্রী গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত। ছেলে আলমের চোখেমুখে ছিল বিষণ্নতার ছাপ।
আলম হোসেন জানান, যেদিন মেডিকেলে ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, সেদিন তিনি বগুড়ায় ছিলেন। অনলাইনে ফল দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। অনেক কষ্ট ও অধ্যবসায়ের পর এ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এক আত্মীয়র বাসায় থেকে মেডিকেলে ভর্তির কোচিং করেছেন। এখন ঢাকায় থেকে মেডিকেলে পড়ার খরচ কোথায় পাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। তিনি অষ্টম শ্রেণীতে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
ফজলুল হক বলেন, ‘আগে হামি ভ্যান চল্যা সংসার খরচ চলাছি। তিন বছর আগে এক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়্যা গেছি। হাটবাজারে ফেরি কর্যা পান বিক্রির ট্যাকা দিয়্যা কোনো রকমে সংসার চলাই। বাড়ির সামান্য ভিটা ছাড়া আর কোনো বিষয়সম্পত্তি ন্যাই। ছোলক কছি (বলেছি) তোর পড়াশুনার খরচ চলাতে মানুষের বাড়িত ভিক্ষা কর্যা ট্যাকা জোগার করমো। তার পরও বাপ হয়্যা বসা থাকমো না।’
পিরব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুস সোবহান বলেন, ‘হামরা গ্রামের মানুষ হলেও আলমের পড়ালেখার খরচের একটা ব্যবস্থা করমোই।’
আলম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর : ০১৭৪৮৯৮৪৫২২
পান বিক্রেতার ছেলের মেডিকেলে চান্স , খুশির সংবাদেও ভবিষ্যৎ টাকার জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন