somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাজে ইমপ্যাক্ট, জাফর ইকবালের দেশে ফেরা ও অগোছালো কিছু কথাবার্তা

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবার এক বন্ধুর লগে আলাপকালে কইছিলাম, “ভাবতেছি লেখালেখি বিষয়টারে সিরিয়াসলি নিয়া নিব”। ও বেশ উপহাস কইরা কইল, “ক্যান? সেলিব্রেটি হওয়ার শখ জাগছে?” এরপর ঝাড়া বহুতক্ষণ লেকচার দিল। যার সারমর্ম হইল, এই নির্বোধের দেশে সেলিব্রেটি হইয়া ফায়দা কী?এই জনতা বাহবা দিলেই কী আর না দিলেই কী?

আপনার কাছে তার এই কথাবার্তা অহংকারী মনে হইতে পারে, তবে আমার মনে হইছে, এই অহংকার তারে কিছুটা হইলেও শোভা পায়। ঐ ছেলে আজতক আমার দেখা সবচেয়ে বেশী জ্ঞান ধারণ করা বান্দা (সমবয়সীদের মধ্যে)। তবে চিন্তা-ধারা, মন-মানসিকতা সব কিছুই পশ্চিমমূখী, হয়তো নিজের দেশ নিয়া হতাশ হওয়ার কারণে। আর বাংলাদেশের এখনকার ইয়াং জেনারেশনের আইকনদের দিকে তাকাইলেই বুঝতে পারবেন, আইকন হইতে হইলে এই দেশে খুব বেশী কিছুর দরকার হয় না।

বাংলাদেশের অল্প শিক্ষিত আর একটু বেশি শিক্ষিত (একাডেমীক শিক্ষা না) তরুণ সমাজের মধ্যে খুব বেশী তফাৎ নাই। অল্প শিক্ষিতের একশ টাকার জুতা একটু চকচকা কইরা দিলেই বেশি শিক্ষিতরা এক হাজার ট্যাকা লয়া ঝাপায়া পড়ব। জাস্ট একটু ভালো প্রেজেন্টেশন দিয়াই আপনি মানুষরে কাইত কইরা দিতে পারবেন। আসল জিনিশ কতোটা উন্নত তা দেখার চোখ এখনো ফুটে নাই এলিট জনতার অথবা তেমন জিনিশ আসেই নাই। যাক এই কথা এইখানেই শেষ করি। যে যার ইচ্ছা মতো কনক্লুশন টাইনা নিয়েন।


মুহম্মদ জাফর ইকবালের দেশে ফেরার কথা কই। জাফর ইকবাল বিজ্ঞানী মানুষ, বিশ্বসেরা একটা ইউনিভার্সিটি থেইকা ডিগ্রী লইছেন, বিশ্বের নামজাদা প্রতিষ্ঠানে কাম করছেন, তারপরও দেশে ফিরে আসছেন। এই সিন নিয়া অনেকেই দেখি বেশ রঙচঙ মাখায়া তারে আসমানে তোলেন-কত ভালোবাসা থাকলে তিনি এই কাজ করতে পারেন!

জাফর ইকবালের বিজ্ঞানী পরিচয়ের বাইরেও সবচেয়ে বড় পরিচয় হইছে তিনি একজন থিংকার। হালে জনপ্রিয় হওয়া শব্দে কইলে- তিনি একজন চিন্তক। সমাজ তারে ভাবায়। এটা ভালো জিনিশ। আর চিন্তকদের সবচেয়ে বড় চাহিদা থাকে ইমপ্যাক্ট ফেলা। তারা সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, গাড়ি বাড়ি দিয়া খুশী হইতে পারেন না। তারা সমাজে ইমপ্যাক্ট ফেলতে চান। ইমপ্যাক্ট শব্দটা নাম-যশের মতো সস্তা না।

জাফর ইকবালও ইমপ্যাক্ট ফেলতে চাইছেন বইলা আমার মনে হয়। আম্রিকায় তার দ্বারা সেটা হইতো না। আর বর্তমান বাংলাদেশী সমাজে দেখেন, তারে সবচেয়ে ইমপ্যাক্টফুল বান্দা কওয়া যায়। আপনে তারে ভালোবাসতে পারবেন অথবা ঘৃণা করতে পারবেন, কিন্তু তারে ইগনোর করতে পারবেন না। তার এই ইমপ্যাক্ট কতটা ভালো কতটা খারাপ এই নিয়া তর্ক চলতে পারে, কিন্তু তিনি যে এই সমাজে প্রচন্ড ইমপ্যাক্ট ফেলতে সফল হইছেন এটা অনস্বীকার্য।

মোদ্দা কথা হইছে তিনি যা করতে চাইছেন, তাই করছেন। এইখানে বিষয়টারে রঙচঙ মাখানর কিছু নাই। স্যার আপনে আইসা ভুল করছেন, বিদেশ চইলা যান। এইসব পিরীত যারা দেখান, তারা তারে বুঝেন নাই। উনি দয়া কইরা এই দেশে আসেন নাই। চিন্তকরা ইমপ্যাক্ট ফেলার জন্য জানও কোরবানী দিতে পারেন (যদি সেই মাপের শক্ত হয় আরকি।)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×