somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমকামীদের এক প্রকারের চুলকানি থাকে

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমকামীদের এক প্রকারের চুলকানি থাকে। পৃথিবীর সব দেশের সমকামীদের থাকে কি না জানি না। তবে বাংলাদেশী সমকামীদের আছে।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিক রেইনবো কালার করার কারনে ধর্ম প্রান বন্ধু গন তো ধরেই নিয়েছেন আমি সমকামী। তার পরে আবার এই বিষয় নিয়ে ফেসবুকিয় জীবনে মোটামুটি ৫/৬ টি স্ট্যাটাসও লিখে ফেলেছি। সুতরাং আনন্দ কুটুম সমকামী না হয়ে যায় না।
ওপর দিকে সমকামী বন্ধু গনও ধার্মিক বন্ধুদের মত আমার ফেসবুকিয় লেখা ও প্রোফাইল ছবি দেখে হিসাব করে নিয়েছে আমি তাদের দলভুক্ত। আর যাবি কোই??? সকাল বিকাল ইনবক্সে নানা ভঙ্গিমায় প্রেম নিবেদন সেতো চলতেই আছে। সে প্রেমের যে কি ভাষা!!!!! যদি আপনাদের দেখাতে পারতাম।
এই দুই শ্রেণীই আমার কাছে সমান সাইকো মনে হয়। এক শ্রেণী দুনিয়ার সকল প্রকার অকাম করবে, কালে ভদ্রে সমকামও করবে কিন্তু মুখে স্বীকার করে সেটাকে স্বীকৃতি দেবে না। আরেক দল আছে এরা ডান বাম বিচার না করে পিক দেখেই নিজেদের দলভুক্ত করে নেবে। আদেও মানুষটা এই গোছের কি না ভাবনার টাইম কোই??? বাংলাদেশী সমকামীরা মানসিক ভাবে একটু ইমব্যালেন্স হয়ে থাকে। সবাই না, অধিকাংশ। সেক্স যেহেতু এদের লুকিয়ে চুরিয়ে করতে হয় সুতরাং এরা আপন পরিচয় লুকিয়েই কজ করে। পাছে জানাজানি হয়ে গেলে ইজ্জত চলে যায়। এরা ইনবক্সে বাজে বাজে ছবি পাঠাবে। বার বার বিরক্ত করবে। উল্টাপাল্টা কথা বলবে। এদের কাছে স্রেফ সেক্স ছাড়া অন্য কিছুর মূল্য নাই। তাই পুরো টেন্ডেন্সিটা ঐ এক দিকেই। এটা অনেকটা এমন যে, যা অর্জন করতে বেশি সংগ্রাম ও মূল্য দিতে হয় তার মূল্য ততো বেশি। তাই তাদের জীবনেও সব থেকে বেশি মূল্যবান বিষয় বস্তু সেক্স। কেননা সভ্য সমাজে তা সহজে পাওয়া যায় না।
আমার মতাদর্শ সম্পর্কে এই দুই শ্রেণীর মূল্যায়নই সমান। সুতরাং একটা যদি সাইকো বলে প্রমানিত হয় তবে অনুরুপ ভাবে অপর গ্রুপও সাইকো বলে প্রমানিত হবে। কিছু কিছু সমকামীদের ধর্ম চুলকানিও আছে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ছেলে ছিল আমার ফেসবুকে। নাটকের ছাত্র। টেলিভিশনে গান টান গায়। সেই গান আবার যেন তেন গান না। একেবারে হামদ ও নাত টাইপ ইসলামিক গান। এই ছেলে ইনবক্সে আমাকে যত প্রকার নোংরা প্রস্তাব দিয়েছে সেটা আমার নিকট ইতিহাস। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই বাক্য, সে আমাকে চায় । এমনিতেই আমার ধর্জ সহ্য একটু বেশি। অনেক দিন টলারেট করলাম। একদিন সে আমাকে ফেসবুকিয় ইসলামিক জ্ঞান বিলি করতে লেগে গেল।
-"আপনি বা*র মাথা ধর্মের কিছুই জানেন না। আপনি ধর্ম নিয়ে এতো কথা বলবেন কেন"
- আমি জানি না ভালো কথা। তুমি জান তো?
- জানব না কেন?? আমি মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি। আমার বাবা মা কি আমাকে কিছু শেখায়নি??
- তা ভাইয়া বল তো, কোরআনের কোন আয়াত দিয়ে তোমার সমকামিতাকে হালাল করবে??? ইসলাম কি তোমার এই কাজ সমর্থন করে?? বাবা মা এটা শিখিয়েছে?
আর যাবি কোই??? অমনি আমার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে লেগে গেল। এর পরে এই সাইকোকে আর ফ্রেন্ড লিস্টে রাখি কি করে?? দিলাম ব্লক করে। আসল বিষয় মানুষ রিজেকশন মেনে নিতে পারে না। স্বভাবতই ছেলেটিও পারেনি। এমন ক্যারেক্টার অসংখ্য পেয়েছি।
*
অতি ধার্মিকদের তো সরাসরি ব্লক করেই থাকি। এদের কথা আর বলছি না। কিন্তু আজকের পর থেকে আর কোন সমকামিকে যদি উল্টা পাল্টা জ্ঞান বিলি করা আর ইনবক্সে উল্টাপাল্টা কোন প্রস্তাব দিতে দেখি তা হলে সরাসরি শুধু ব্লকই না, সে পোস্ট পাবলিক করে তার পরিচয় সবাইকে জানিয়ে দেব। সুতরাং সাবধান। তোমার কাজকে সমর্থন করি, তার মানে এই না তুমি দুনিয়া ভর সবাইকে বিরক্ত করবে। তুমি তোমারটা নিয়ে থাক। অন্যদেরও শান্তিতে থাকতে দেও। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×