যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে । হতেই হবে। কিন্তু কোনো ইবলিশের কাছে হাত জোর করে বলবনা বিচার চাই । কারো কাছে বিচার "চাই" না ।
......................................................................................................
প্রথমবারের মত ভোটার হয়েছি।
বড় যন্ত্রনায় আছি ।
সব দলগুলোই আমাকে টার্গেট করেছে । নানান ধরনের অফার । আমি কিছু বলছিনা । শুধু শুনি । কেউ আমাকে চাকরী দিয়ে দেবে ( যোগ্যতা না থাকলেও ), কেউ বিদেশ যাবার ব্যবস্থা করবে । কেউ বদলে দিতে চায় আমার দিন , কেউ দেশ। গীবত করাও ভালই চলছে । অমুক দল ক্ষমতায় গেলে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার ! আমরা ছাড়া দেশের কথা কেউ ভাবেনা ! (ওরে আমার দরদী রে ! )
আমার ভোটটা পাবার জন্য এতদিন ধরে দলগুলো যে প্রচারনা চালালো....
......
......
তা একদম ব্যর্থ ।
sorry.
বিশ্বাস করতে পারলামনা কারো কথাই । নিশ্চিত প্রমান দেখার পরও কিভাবে বিশ্বাস করি বলুন ? প্রতিটি দলের মূল লক্ষ্য একটাই, যেকোনভাবে ক্ষমতায় যাওয়া । এর জন্য তারা জোট বাধতে পারে প্রয়োজন হলে ইবলিশের সাথেও ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে । হতেই হবে। কিন্তু কোনো ইবলিশের কাছে হাত জোর করে বলবনা বিচার চাই । কারো কাছে বিচার "চাই" না । স্বাধীনতা , অধিকার , চেয়ে পাওয়া যায়না । ছিনিয়ে নিতে হয় । আমার পূ্র্বপুরুষ কারো কাছে চেয়ে স্বাধীনতা পায়নি । রক্তের মূল্য দিয়ে অর্জন করেছে ।
তাদের অপমান করবনা ।
জামায়াত প্রসঙ্গে নতুন করে কিছু বলতে চাইনা কারন এটাকে আমি বাংলাদেশী দল বলে মনে করিনা । কাজেই হিসেবের বাইরে । কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবোনা । কোনোমতেই নয় । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার যে মুলো দেখিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চাইছে সেটি বিশ্বাস করবার একটি কারনও নেই । যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন করেনি , এবারও করবেনা , বাজি । শ্রদ্ধেয় শহীদ জননীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধ আমি ক্ষমা করতে পারছিনা । করবনা ।
তার বদলে বিশ্ববেহায়া এরশাদ ? কখনো নয় ।
সাধারন জনগনের মধ্যে যে কয়েকটি তীব্র অনুভূতি কাজ করে, সেগুলোকেই বিভিন্নভাবে কাজে লাগায় রাজনৈতিক দলগুলো । কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে , কেউ মুক্তিযুদ্ধকে । জাতি হিসেবে আমরা ভীষন আবেগপ্রবন ! বারবার বিশ্বাস করি , বারবার ঠকি ।
আমার জন্য কিছু অপশন থাকলে ভালো হত । ভাবছি ছোট দলগুলো কেমন ? আচ্ছা, সাধারন জনগনের হাতে কোনো ক্ষমতা নাই কেন ? আমরা আমাদের পছন্দমতো প্রার্থী দাড় করাতে পারিনা কেন ? নিয়ম টিয়ম মানতে ইচ্ছা হয়না । মনে হয় , এমন একটা ব্যবস্থা করা যেত যে সবাই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নাম সাজেস্ট করবে । সেখান শিক্ষা , দেশের কাজে অবদান ইত্যাদির ভিত্তিতে একটা বাছাই হবে ।
আমাদের বড় দূর্ভাগ্য যে তাজউদ্দিন আহমেদ, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মত পবিত্র কিছু মানুষ আমরা হারিয়েছি ।
শোধ নেব । নেবই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯