somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দূ:খিত স্যার! মেনে নিলাম, তবে বিশ্বাস করলাম না!

১১ ই এপ্রিল, ২০০৭ ভোর ৬:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহমেদ নূর নামের একজন সম্পাদককে আপনারা গত কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করেছেন। আপনাদের ভাষায় তিনি একজন চাঁদাবাজ সাংবাদিক।

স্যার,আপনারা ভালো বলতে পারবেন।সব কিছু জানার লাইসেন্স আপনাদের দেয়া হয়েছে নি:শর্ত ভাবে।আপনারা যদি বলেন তিনি 'চাদাঁবাজ' ,তাহলে আহমেদ নূর সে কথা স্বীকার না করে পারেন না।আর স্বীকার না করলে তাকে কেমনে স্বীকার করাতে হয়,তা-ও আপনাদের জানা আছে বটে। একটু রগড় করলেও সমস্যা নাই,আমাদের দুই মা জননী ,খালেদা আর হাসিনা বলেছেন তাহারা ক্ষমতায় গেলে আপনাদেরকে আরেকটা ইনডেমনিটি দিয়ে দেবেন। সুতরাং আহমেদ নূর সাহেবের 'চাদাঁবাজ' হতে অসুবিধা আর কী ই বা থাকলো।

তবে স্যার,আমি এই ভদ্রলোককে কিশোরবেলা থেকেই একটু একটু জানি। মফস্বলের সম্পাদক তো,তাই পেট পুরে ভাত না খেলেও,মাঝে মাঝে বুক ভরা সাহস টাহস দেখিয়ে ফেলে বেশ। আমাদের রাজধানী বাসী সম্পাদকদের মতো হাওয়া বুঝে পাল তুলতে শিখতে পারে না ওরা।

তো,ভদ্রলোক দীর্ঘদিন 'প্রথম আলো'র বু্যরো প্রধান ছিলেন,আর এখন চালাচ্ছেন একটা 'সিলেট প্রতিদিন' নামে এক ছোট্ট সিলেটী দৈনিক।এই শহরের অনেকেই তাকে ভালো জানেন বলেই সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক পদটি পাওয়া তার জন্য খুব কষ্টকর হয় নি।

আমরা আম আদমিরা ,এই সিলেটের মুখ্যসুখ্য মানুষেরা বছরের পর বছর ধরে টের পাইনি যে তারঁ মাঝে এক ভয়ংকর চাদাঁবাজ লুকিয়ে আছে। আপনারা কেমনে কেমনে যেন টের পেয়েছেন। যার সঙ্গে তাকে জুড়ে দিলেন,সেই মামলার বাদী পর্যন্ত আহমেদ নূরের বিরুদ্ধে একটা কথা বলে নি,তবুও আপনারা বুঝতে পেরেছেন আসল কালপ্রিট ঐ নূর সাহেবই।তা সাইজ করেছেনও বেশ, নির্যাতন এমন ভাবে করেছেন,উঠে দাড়াতে পারছে না বেচারা,অথচ দিব্যি বেচে আছে। হারজিরজিরে শরীর খানি নিয়ে যে বেচেঁ আছে,সে জন্য আমরা আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।এমন মেপে মারধোর করাটা আসলেই বড়ো দুর্লভ গুন।

তো স্যার,আমি আপনার কথা মেনে নিচ্ছি । মেনে না নিয়ে উপায় নেই স্যার,আমাকে মানাতে পারার জন্য আপনাদের বিভিন্ন কলা কৌশল আছে।

তবে 'আহমেদ নূর চাদাঁবাজ' এ কথাটা আমি বিশ্বাস করি না।

স্যরি স্যার,বেয়াদবি নেবেন না। আমার বিশ্বাস ফিশ্বাস আবার একটু কম। খুব ঠেকায় না পড়লে ঈশ্বরকেই বিশ্বাস করতে চাই না....সে ক্ষেত্রে আমার এই অবিশ্বাসকে দয়াকরে ধৃষ্ঠতা ভাববেন না প্লিজ...।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০২
১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×