somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ ইন হেল (২০০৩)

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খুব কম সিনেমাই আমি একাধিকবার দেখেছি; একটা সিনেমা দুবার দেখার সাধারণত কোনও আগ্রহ পাই না। ভাবি নতুন কিছু তো নেই, এ টু জেড সবই তো আগাগোড়া জানাই, রিপিট না করে বরং এ সময়ে অন্য কোনও সিনেমা দেখতে পারি! কিন্তু এই সিনেমাটা আমি তিন থেকে চারবার দেখেছি। জেল পালানো নিয়ে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সিনেমা। জেন ক্লদ ভ্যান ড্যাম'র মুভি, যথারীতি ধুন্ধুমার একশানে ভরপুর, এর পাশাপাশি মানবিক আবেদনও রয়েছে সম পরিমাণে। জেল জীবনের ভয়াবহতা উঠে এসেছে সুনিপণভাবে। একটি বিশেষ ঘটনার কথা মনে পড়ছে। জেলের ভিতর কর্তব্যরত পুলিশরা তাদের চিত্ত বিনোদনের জন্য কয়েদীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে বিকৃত আনন্দ পায়। এরকম এক লড়াইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ভীষণ শক্তিশালী দৈত্যাকৃতির এক কয়েদীর সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে বাধ্য হন ভ্যান ড্যাম। খুব মারপিট হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ দানব লোকটা বুঝতে পারে তাদের অসহায়ত্ব। আসলে কেউ তারা কারও শত্রু নয়, অথচ একে অপরের প্রাণ কেড়ে নিতে উদ্যত হয়েছে অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য। দুজন দুজনের অসহায়ত্ব বুঝতে পেরে একে অপরকে আলিঙ্গন করে। এমন অপূর্ব এক আবেগময় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, যা দেখে কিছুতেই আর চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। আপনাআপনি চোখ ভিজে আসে।
চিরদিনের ভাল লাগার একটি সিনেমা। সিনেমাটা না দেখে থাকলে অবশ্যই সময় করে দেখে নেবেন। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। না শুধু ভালো লাগবে না, খুব ভাল লাগবে। লিংক দেয়া হলো। এই সুযোগে বলে রাখি আমি জেন ক্লদ ভ্যান ড্যাম'র দারুণ একজন ভক্ত। সেই ছোটবেলা থেকেই। তাঁর অনেক মুভি দেখেছি। সত্যি দুর্ভাগ্যজনক যে, যোগ্যতা অনুযায়ী তেমন একটা মূল্যায়ন হয়নি তাঁর। অথচ কোনও বিচারেই তিনি সমসাময়িক হলিউডের অন্যান্য একশন হিরো যেমন, আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার, সিলভেস্টার স্ট্যালনের থেকে কম নন। ওঁদেরও প্রচুর সিনেমা দেখেছি। তাঁরাও ভালো, তাঁরাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমার কাছে জেন ক্লদ ভ্যান ড্যাম একজনই। তিনি অদ্বিতীয়। যারা শুধু এটি একটি মারপিটের সিনেমা ভেবে দেখা থেকে বিরত থাকবেন, তারা ভুল করবেন। আগাগোড়া মানবিক আবেদনে ভরপুর। সবমিলিয়ে চমৎকার একটি সিনেমা।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×