somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জার্মান ফুটবল দলের জন্য ভালবাসা

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখন জার্মান ফুটবল দলের দারুণ ভক্ত ছিলাম। নিজেও ফুটবল খেলতাম খুব। জার্মান দলে সে সময় বেশ কয়েকজন ফুটবলার ছিল, যাঁদেরকে মাঠে রীতিমতো অনুসরণ করার চেষ্টা করতাম। হা হা হা। লোথার ম্যাথিউস, জুর্গেন ক্লিন্সম্যান, অলিভার কান, মাইকেল বালাক, অলিভার বিয়েরহপ, মিরোস্লাভ ক্লোসা (২০০২ বিশ্বকাপ থেকে) ইত্যাদি। সবমিলিয়েই অসাধারণ একটি দল ছিল জার্মানি। মোজার্টের পিয়ানোতে তোলা মুগ্ধকর সুরের মতোই নিখুঁত ও ছন্দময় ছিল তাঁদের ক্রীড়া শৈলী। খেলোয়াড়দের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া ছিল। যদিও সেই দলটা ৯৮, ০২ বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি! ০২ -এ ব্রাজিলের সাথে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল। ৯৮ -এ বোধহয় কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। মনে পড়ছে ২০০২ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ‘সৌদি আরব - জার্মানি’ ম্যাচটা। সে ম্যাচটি আমি শেওড়াপাড়ার একটি ইলেকট্রনিক্স পন্য বিপণীকেন্দ্র’র বাইরে রাখা টিভিতে একদল মানুষের সাথে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম। চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা। সে ম্যাচে জার্মানি ৮-০ গোলে সৌদি আরবকে পরাজিত করে। অভিষিক্ত মিরোস্লাভ ক্লোসা একাই চারটি গোল করেন সেদিন। তাঁড়িয়ে তাঁড়িয়ে উপভোগ করেছিলাম ম্যাচটা। আরও কয়েকটা সহজ সুযোগ সে ম্যাচে মিস করেছিল জার্মানি, নইলে আরও বড় ব্যবধানে হারাতে পারতো সৌদি আরবকে। সেখানে দর্শকদের অনেকেই ছিল সৌদি আরবের সমর্থক। তারা ভীষণরকম হতাশ খেলার এই পরিস্থিতি ও ফলাফল দেখে। নানাজনে নানান কথা বলছিল। এরকমও কাওকে বলতে শুনেছিলাম যে, ঘুস খেয়ে নাকি সৌদি আরব ইচ্ছা করে এরকমভাবে খেলে হেরে যাচ্ছে!

সেটাই বোধহয় জুর্গেন ক্লিন্সম্যানের শেষ বিশ্বকাপ ছিল! তারপর বুট জোড়া তুলে রাখেন তিনি। পরবর্তীতে আমরা তাঁকে কোচের ভূমিকায় দেখতে পাই। অত্যন্ত ভালো মানের একজন ফুটবলার ছিলেন। বিশ্বকাপ ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমি তাঁর খেলা দেখেছি। যেমন নাম, তেমনি খেলতেনও একেবারে নিটোল ক্লিন ফুটবল। কার্ড টার্ড পাওয়া তো বহুদূরের ব্যাপার, মাঠে তাঁকে ফাউল টাউল করতেই দেখতাম না। সবসময় আপনমনে নিজের মতো খেলে যেতেন। যাই হোক ওপরে যাঁদের নাম বলেছি, তাঁরাসহ তৎকালীন পুরো জার্মান দলেরই দারুণ ভক্ত ছিলাম আমি। ২০০২ সাল থেকে তো মিরোস্লাভ ক্লোসা প্রিয় ফুটবলার হয়ে উঠলো। কর্নার থেকে হেডে গোল দিতে তাঁর মতো পারদর্শী ফুটবলার আর দ্বিতীয়টি দেখিনি; আমি অন্তত দেখিনি।

ভালো থাক সেইসব দুনিয়া কাঁপানো প্রিয় ফুটবলাররা। যাঁরা দারুণ আনন্দময় এক শৈশব উপহার দিয়েছিল আমাকে, ও আমার মতো পৃথিবীর আরও আরও অসংখ্য শিশু কিশোরকে। তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এখন আর সেভাবে ফুটবল দেখা হয় না যদিও, তারপরও কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে জার্মানিকে খেলতে দেখলে আজও আমি প্রতিপক্ষের পরাজয়ের অপেক্ষা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×