somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কালি ম্যাডাম ভার্সেস বিদ্যালয়ে শাসনের নামে শিশু নির্যাতন, শিক্ষকের মান নিয়ন্ত্রন।।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়-- আমার ক্লোজ বন্ধু রাসেল (ছদ্ম নাম) ভার্সেস কালি ম্যাডাম প্রসঙ্গ--আমাদের স্কুলে সবে মাত্র শিক্ষিকাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে-- যাহাদের সাথে আমাদের অভ্যেস্ততা ছিলনা -- যাই হোক তাদেরই একজন কালি ম্যাডাম । বরাবরের মতই সিংহীর হুঙ্কারে কালি ম্যাডাম এসে ঢুকলেন--- সুপারিতে এমনিতেই মুখ লাল এর মধ্যে হয়তোবা ঘরে কোন গড়বর ছিল -- মেজাজ ছিল চরমে। আমাকে বললেন নৈব্যত্তিক গাইড দিতে--আমি এগিয়ে দিলাম। ওই গাইড থেকেই সবাইকে পড়াতেন এবং টাস্ক দিতেন। পড়া ধরানো শুরু করলেন। রাসেল কে কি একটা জিজ্ঞেস করায় ও উত্তর দিতে পারলনা-- জবাবদিহিতার এক পর্যায়ে সে বলে ফেলল ''ম্যাডাম আমি তো ছিলাম না তবে জানব কি করে?? গলায় কিছুটা সম্ভবত ঔদ্ধত্য ছিল--ম্যাডাম হুঙ্কার ছাড়লেন-- নিরাপরাধ রাসেল গোবেচারার মত তাকিয়ে রইল। প্রসঙ্গত রাসেল ছিল ক্লাসের সবচেয়ে মিশুক এবং ইজিগইং একটা ছেলে। তার কথাবার্তায় ছটফটে ভাব সবসময়ই ছিল-- ওকে ডেকে টেবিলের কাছে নিয়ে গেলেন-- বেত্রাঘাত শুরু করলেন-- সামান্য প্রতিবাদ বেরিয়ে আসলো ওর কণ্ঠে-- আর যায় কোথায়-- জায়ান্ট ভার্সেস গোলিয়াথ !! বেয়াদব !! সমস্ত ক্লাসের ওয়ালে প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো কালি ম্যাডামের কণ্ঠস্বর। বেত্রাঘাত করতে করতে মাটিতে শুইয়ে ফেললেন আমার ক্লোজ বন্ধুটিকে--- গলা, বুক থেকে উনার শাড়ি খশে পড়েছে ---সে দিকে উনার খেয়াল নেই--সম্পূর্ণ অর্ধ নগ্ন--- কি বিভৎস! ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা হত বিহবল-- শিক্ষিকার বিপক্ষে গিয়ে যে আমরা প্রতিবাদ করবো সেটাও আমরা শিখিনি-- এ যে কঠিন শিষ্টাচার !! সবাই যার যার জায়গায় বোবার মত বসে রইলাম। লঘু পাপে গুরু দণ্ডে দণ্ডিত বন্ধুকে যে আমরা সান্তনা দেব সে সাহসটুকু ও আমাদের কারো ছিলনা।

উল্লেখ্য এই লিখাটা আমার ক্লোজ বন্ধু কে নিয়ে হাস্যরসের জন্যে লিখিনি অথবা ওকে খাট করার জন্যেও নয়, যদিও ওর কোন দোষই ছিলনা -- লিখেছি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু কুৎসিত ব্যপারকে সামনে নিয়ে আসার জন্যে। একজন শিক্ষক অথবা শিক্ষিকার পারিবারিক সামাজিক তথা সামগ্রিক মানসিক অবস্থার দায় কোমল মতি শিশুরা কেন ভোগ করবে--???!! ওই দিন রাসেলের উপর চড়াও হওয়া কালি ম্যাডামের এহেন বিকট রুপ প্রমান করে উনি মানসিক বিকার গ্রস্থ রুগী ছিলেন। মানসিক বিকার গ্রস্থ ওই সব শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা অধিদপ্তর কি প্রমান করে! আসলে ওরা সবাই যে বিকার গ্রস্থ !

আজ ২০ বছর পরেও আমার এই ঘটনা মনে দাগ কেটে আছে।( রাসেলের হয়তোবা মনে নেই, না থাকাই ভালো)--- এটা নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়।
আমি এখন চিন্তা করি আমার ছেলেকে যদি এরকম কেউ করে তাহলে আমার কেমন লাগবে??-- তবে হা শাসন লাগবে,কিন্তু ভিন্য পথ ও তো আছে-- এরকম অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন যারা শিশু অধিকার সংরক্ষণ আইনের কোন তোয়াক্কাই করেন না।
শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই শিক্ষক শিক্ষিকার সিআরবি চেক অথবা যাকে বলে উনার ব্যক্তি/পারিবারিক/ সামাজিক জীবনকে পর্যালোচনা করতে হবে নচেৎ আমার মত অনেককেই এহেন শাসনের নামে বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে বা হচ্ছে।।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×