somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলার প্রাচীনতম বিজ্ঞাপন ফলকটি দেখতে চান? সাথে জেনে নিন বাংলায় দুধ চা প্রচলনের ইতিহাস!!!

১৪ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল বেলা যাদের চা ছাড়া চলে না, আজ তাদের জন্যে চা নিয়ে মজাদার একটি পোষ্টঃ
ব্রিটিশদের বিনা পয়সায় চা পান করানোর ঘটনা এখনো ইতিহাস হয়ে আছে। ব্রিটিশ আমলেই চায়ের সঙ্গে এ দেশের মানুষের পরিচয় হয়। আজ থেকে ১৫৪ বছর আগে ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু হয় বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন। এরপর থেকে একের পর এক চা বাগান প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে। ১৮৮০ সালে শ্রীমঙ্গলেও চা বাগান প্রতিষ্ঠার জোয়ার শুরু হয়।
বৃটিশরা প্রথমে রফতানীর উদ্দেশ্যে বাংলায় চা চাষ শুরু করে, মূলত তখনই ভারতবর্ষে চা পরিচিতি পায়। তার আগে মানুষ পানীয় বলতে যা বুঝত তা হল গরুর খাটি দুধ। কমবেশি সকল বাঙ্গালীর ঘরেই গরু থাকতো এবং সকলেই চেষ্টা করতো প্রতিদিন তার পরিবারের সদস্যরা দুধ পান করার সুযোগ পাক।
বৃটিশরা দেখলো যে যদি এ দেশে চা উতপাদন করে এ দেশেই বানিজ্য করা যায় তবে সেটা অনেক ব্যবসা সফল হবে। কিন্তু তারা এও জানতো যে বাঙ্গালির ঐতিহ্যবাহী পানীয় দুধ এর যায়গায় চা পান করানোটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে, তাই তারা বিজনেস ষ্ট্র্যাটেজি হিসেবে প্রথমে বাঙ্গালীদেরকে ফ্রি ফ্রি চা পান করানোর চেষ্টা করা শুরু করলো। কিন্তু এভাবেও তারা সফল হচ্ছিল না, কারণ বাঙ্গালী মানুষেরা অত্যন্ত পুষ্টিকর দুধ এর বদলে চা খেতে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করতো না।
তারপর তারা শুরু করলো বিজ্ঞাপন দেয়া, সেই ব্রিটিশ আমলে চা-কে জনপ্রিয় করে তুলতে রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, স্টিমার ঘাটসহ পাবলিক প্লেসে বিজ্ঞাপন-ফলক লিখে প্রচার শুরু করে। ব্রিটিশরা এতে কিছুটা সফলও হয়। কিন্তু তারা তখন পর্যন্ত পুরোপুরি সফল হয়ে উঠছিল না, তাই ভেবে দেখলো দুধ যেহেতু বাঙ্গালীর এতই প্রিয় পানীয় তাই দুধের সাথেই চা মিশিয়ে দাও। এবং এরপর থেকেই বৃটিশরা বাংলায় চা কে পানীয় হিসেবে চালু করতে গিয়ে আস্তে আস্তে পুরু সফলতা পেল।
সেই থেকেই ভারতবর্ষে দুধ চায়ের প্রচলন শুরু হয়। এজন্যেই দেখবেন ভারতবর্ষ বাদে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় দুধ চায়ের প্রচলন নেই বললেই চলে।
সেই তখন থেকে ব্রিটিশদের শেখানো চা পানের অভ্যাস দ্রুত এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এক সময় চা হয়ে ওঠে সবার প্রিয় পানীয়।
আর তখনকার এসব বিজ্ঞাপন ফলক এখন স্থান পেয়েছে শ্রীমঙ্গলে স্থাপিত দেশের একমাত্র চা জাদুঘরে।
নিউ সমনবাগ চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার মো. শাহজাহান আকন্দ জানান, 'সেই ব্রিটিশ আমলে দেশে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেল ও জলপথ ব্যবহার করা হতো। তাই ব্রিটিশরা বিভিন্ন জলযানসহ স্টেশন, বন্দরগুলোতে এসব বিজ্ঞাপন ফলক ব্যবহার করত চায়ের ব্যাপক প্রসারের জন্য।' বাংলাদেশ চা বোর্ড এই দুর্লভ বিজ্ঞাপন ফলকগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করে চা জাদুঘরে নিয়ে আসে। শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়ামের এক্সিকিউটিভ ইনচার্জ এ কে এম রফিকুল হক বলেন, চা-শিল্পের ইতিহাস দেড়শ বছরের পুরনো। চায়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এখানে স্থান পেয়েছে শতাব্দীর প্রাচীন চা-শিল্প সংশ্লিষ্ট অর্ধশতাধিক সামগ্রী। প্রতিদিন পর্যটকরা এ জাদুঘর দেখতে এসে মুগ্ধ হন।
ছবি নিয়ে এরকম মজার এবং ভিন্নধর্মী তথ্য জানতে ছবির কথা, কথার ছবি ফেসবুক পেজটি ঘুরে আসতে পারেন
http://www.facebook.com/epm33
১০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×