somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বায়োমেট্রিক রম্যঃ- স্যার, আপনার সিমটা কি বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে রি-রেজিষ্ট্রেশন করেছেন? (স্টাইলিশ বয় vs কাস্টমার কেয়ার-ভিডিও সহ)

৩১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


৩১ শে মে ২০১৬, মঙ্গলবার, সময়- দুপুর ০২:৩০ মিনিট।

সবে মাত্র সিগারেটটা শেষ করে ভাবছি এবার একটা ঝাক্কাস ঘুম দেবো। গত কয়েকদিন থেকে অফিসিয়াল কাজের চাপে ঠিকমত একটু বিশ্রাম নেওয়ারও সময় পায় নাই। তার উপরে আজ মনটাও খুব বেশি ভাল নেই। এই কিছুক্ষণ আগেই আমার একমাত্র বৌ (অবশ্য এটাকে বৌ না বলে সুমু্দ্রের ঢেউ বলা যায় :( ) পেয়ারি বেগমের সাথে বেশ বড় সড় রকমের একটা ঝগড়া হয়ে গেছে। আমি জীবনে সব কিছু সহ্য করতে পারি, কিন্তু কানের কাছে মেয়েদের একটানা ঘ্যান ঘ্যানানি কিছুতেই সহ্য হয় না। তাও ভাল যে, পেয়ারি বেগম এখন কাছে নেই। নইলে হয়তো রাগের মাথায় পিঠের চালে কইসা দু'ঘা বসিয়ে দিতে হতো।

তার ধারনা, আমি নাকি সেই আগের মত তাকে আর ভাল মত দেখা শুনা করি না! এছাড়াও তার আরও অনেক গুলো অভিযোগের মধ্যে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হলো, সম্প্রতি আমি নাকি রং নাম্বারে অন্য কোন মেয়ের সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে চু কিত কিত খেলছি! যার ফলে এখন আমি আর তার কাছে খুব বেশি ফোন করি না। কিংবা করলেও, কাজের ছুতো দিয়ে তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে দিতে পারলেই বাঁচি।

ভাবা যায়! আমার মত একজন চরিত্রবান ইসমার্ট পোলার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ কি সহ্য না করে পারা যায়? মনে মনে অবশ্য দু'কথা শুনিয়েও দিই। কি করবো বলেন! প্রকাশ্য বলতে গেলে যে আঁশ বটি নিয়ে তেড়ে নাক কাটতে আসে। তাই যখন কথা বলি তখন ও যা বলে, তার সাথে শুধুমাত্র একটু হু, হা যোগ করে কোন রকমে ফোনটা রাখতে পারলে বাঁচি। তারপর গালি, তিরষ্কার যা বলার বা করার সেটা মনে মনে অথবা নিজের বালিশকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলি। ভাবছিলাম ৫৫৬ ধারায় ফেলবো, কিন্তু কেলেংকারির ভয়ে আর সেদিকে গেলাম না। হাজার হোক বৌ বলে কথা।

যাহোক, সে অনেক কথা, অনেক লম্বা একটা ইতিহাস! আবিয়াতিরা যে দিন বিয়ে থা করবেন, সেদিনই বুঝবেন বৌ কি জিনিস। তো যেটা বলছিলাম।

সিগারেটটা খাওয়া শেষ করে ভাবলাম, বৌয়ের কথায় মন খারাপ করে লাভ নেই। আমি নিজে তো জানি যে, আমি কত বড় চরিত্রবান। সুতরাং নিজের সার্টিফিকেটে নিজে নিজেই এ+ (বর্তমান প্রজন্মেরটা না কিন্তু ;) ) দিয়ে, বিছানা পরিষ্কার করে শোয়ার বন্দোবস্ত করতে লাগলাম। ইদানিং এখানে মশার উপদ্রবটাও বেশ বেড়েছে। দুপুরে ঘুমানোর সময়ও কানের কাছে এসে গুন গুনাইয়া গান না গাইলে যেন তাদের পেটের রক্ত হজম হয় না। মাঝে-মাঝে কিছু মশা আছে যারা আবার কানের কাছে সুর কইরা ভাইরা ভাই ভাইরা ভাই কইতে থাকে। খুব ভাল ভাবেই বুঝি এটা কোন ধরনের ধান্দা!

মাঝে-মাঝে বিদ্রোহও ঘোষনা করে বসি, 'যাহঃ দিমুনা তোদেরকে আমার এই খাঁটি রক্ত! ঞ, যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা! রক্ত খাবি তো, বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে কি তোদের জন্ম হইছে?' :P

কিন্তু কান কাঁটার মত তাও কানের কাছে তাদের ঘ্যানর ঘ্যানর চলতেই থাকে। সম্ভাবত এই গুলো এরা নিশ্চিত আমার পেয়ারি বেগমের কাছ থেকেই শিখছে। খাটের একপাশে ঝুলানো মশারিটা নামিয়ে সেটা ঠিক-ঠাক মত টাঙাইতে টাঙাইতে মশাদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে লাগলাম। হালার বজ্জাত গুলার কোন শরম লজ্জা নাই! যেখানে খুশি সেখানে হুল ফুটিয়ে মনের সুখে রক্ত খেতে থাকবে। এমনকি নো এন্ট্রি এরয়িাতেও তাদের অবাদ যাতায়াত দেখলে মনে হয়-সত্যিই মশা মারতে মাঝে-মাঝে আমাদের কে কামান দাগানো উচিত। নইলে এভাবে ছাড় দিতে থাকলে দিন দিন এদের আস্কারা আরো বেড়ে যাবে। তখন আর মানুষ বলে আমাদেরকে গন্যই করতে চাইবে না।

মশারি টাঙানো শেষ হলে এবার কানে ইয়ার ফোন গুজে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে চুপচাপ শুয়ে রইলাম। মোবাইলে তখন গান বাজতেছে, সদ্য বিখ্যাত উপন্যাসিক এবং বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী জনাব পিথাগোরাসের- I Am GPA 5

গানটা স্টুডিও থেকে রিলিজ হইছে প্রায় অনেকদিন হলো। কিন্তু এই বিখ্যাত গানটা এতদিন কেন শুনি নাই আসলেই বুঝতে পারছি না। যাহোক, তো গানটা শুনতে শুনতে সবে মাত্র ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যেতে বসেছি। চোখের সামনে তখন দেখছি, একজন শুভ্রবেশি রাজকন্যা সদ্য আসমান থেকে নেমে আসছে আমার সাথে গল্প করবে বলে। আমিও তাকে কাছে পাওয়ার আশায় দুই হাত প্রসারিত করে উর্দ্ধে তুলে রেখেছি। এমন সময় কে জানি পাশের থেকে বলে উঠলো- 'হাই ডার্লিং!'

ধুর! এই সময় আবার কে ডার্লিং বলে খাতির জমাইতে চাইতেছে তার কি জানি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে দেখি শব্দটা অন্য কোথাও নয়, আমারই কানের মধ্যে হচ্ছে। অর্থাৎ আমার মোবাইলে কেউ কল দিছে। আর মোবাইলে ইয়ার ফোন থাকার কারণে শব্দটা বাইরে না হয়ে আমার ইয়ার ফোনেই হচ্ছে, এবং সেটা বারবার আমার কানের পর্দায় এসে আঘাত করছে। বিরক্ত মুখে মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসছে।

প্রথমে একটু ভয় পেয়ে গেলাম। কি জানি আমি অন্য কোন নাম্বারে কথা বলি কিনা হয়তো সেটা পরীক্ষা করার জন্যই, পেয়ারি বেগম হয়তো রং নাম্বার দিয়ে আমার কাছে কল করছে। আসলে বোঝেনই তো- 'চোরের মন পুলিশ পুলিশ।' অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোনটা রিসিভ করে কিছুটা দ্বিধা জড়িত কণ্ঠে বললাম- 'হ্যালো!'

ও প্রান্ত থেকে একটা সুমিষ্ট নারী কণ্ঠের উত্তর এলো- 'আসসালামুআলাইকুম! স্যার আমি রবি কাস্টমার কেয়ার থেকে কথা বলছি। আপনি কি আপনার সিমটাকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে রি-রেজিষ্ট্রেশন করেছেন?'

যাক বাবা! এতক্ষণ প্রায় দম বন্ধ করে ছিলাম। মেয়েটির কথা শেষ হলে তারপর দমটা ফেললাম। তবে মেয়ের কথাবার্তা এবং কণ্ঠস্বর শুনে আশ্বস্ত হলাম যে, এটা কোন মতেই পেয়ারি বেগম হতেই পারে না। অবশেষে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললাম- 'কেমন আছেন আপনি?'

মেয়েদের ব্যাপারে আমার আবার সব সময় একটা আলাদা আকর্ষণ কাজ করে। মনে, সামনে পাইলেই লুল ফেলাইতে মুঞ্চায়! :P

মেয়েটি বলল- 'জ্বি ভাল আছি স্যার! আমি কিন্তু আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছি স্যার?'
মেয়েটার প্রতি একটু রাগ হলো। মনে মনে ভাবলাম, 'ব্যাক্কল মাইয়ার বুঝি সাধারন ভদ্রতা জ্ঞান টুকুও নেই। নইলে একজন তার ভাল মন্দ জিজ্ঞাসা করলো অথচ সে তার কাছে পাল্টা জিজ্ঞাসা না করে সরাসরি কাজের কথায় চলে গেল? আরে ভাই, মানুয়ের কাছে তো সাধারণ ভদ্রতা টুকুও দেখানোর জন্য হলেও অন্তত বলতে পারে যে, আপনি কেমন আছেন?'

আমি একটু রাগি রাগি কণ্ঠে বললাম- 'আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি পরে দিচ্ছি, তার আগে আপনি বলেন তো আপনি কি ভদ্র মেয়ে?'
মেয়েটা বলল- 'কেন স্যার! হঠাৎ এ প্রশ্ন?
বললাম- 'আমি যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনি কেমন আছেন? এখন আপনারকি উচিত নয় আমাকেও জিজ্ঞাসা করা যে, আমি কেমন আছি?'
-জ্বি স্যার, স্যরি! আপনি কেমন আছেন স্যার?
-এই তো ভাল আছি। তবে জানেন, আপনার কথা শুনে না হঠাৎ আমার একজনের কথা খুব মনে পড়ছে?
-স্যার আপনি কি বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে সিম রি-রেজিষ্ট্রেশন করেছেন?
-আরে বলছি, শোনেন না। আপনার কথা শুনে আমার হঠাৎ এখন যার কথা মনে পড়ে গেল, তার নাম কি ছিল জানেন? তার নাম ছিল অমেলা খাতুন! কিন্তু তাকে আমি মজা করে ঝামেলা খাতুন বলে ডাকতাম! আচ্ছা আপনার নামটা জানি কি?
-স্যার আপনি যদি আজকের মধ্যে সিম রি-রেজিষ্ট্রেশন না করে থাকেন, তাহলে কিন্তু আগামী কাল থেকে আপনার সিমটা বন্ধ হয়ে যাবে!

আমি বলি আমার কথা, আর মেয়েটা বলে তার কথা। মানে আমরা এখন যার যার দ্বায়িত্ব নিয়েই বেশ ব্যস্ত। তবে আমিও ছাড়বার পাত্র নই। বললাম, 'দেখেন আপনি যদি আমার প্রশ্নের উত্তর না দেন তাহলে কিন্তু আমিও একদমই বলবো না যে, আমি আমার সিম রি-রেজিষ্ট্রেশন করেছি কিনা!'

মেয়েটা একটু থতমত খেয়ে বলল- 'কি প্রশ্ন স্যার?'
বললাম- 'আপনার নাম কি?'
-জ্বি সাদিয়া আক্তার জেরিন!
-বাহঃ খুব সুন্দর নাম তো! তো আপনি কি বিয়াতি না আবিয়াতি?
-স্যার আপনি যদি বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে সিম রি-রেজিষ্ট্রেশন না করে থাকেন। তাহলে এক্ষুনি আপনার সিম, এককপি ছবি, ভোটার আইডি কার্ড এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে দ্রুত আপনার নিকটস্থ বায়োমেট্রিক পয়েন্টে চলে আসুন। আর বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার সাথে সাথে আমাদের পক্ষ থেকে আপনি পাচ্ছেন কিছু আকর্ষনীয় পুরষ্কার। এমনকি ভাগ্য সহায় হলে দশ লক্ষ টাকাও পেয়ে যেতে পারেন।

মেয়েটার কথা শুনে মনে হলো সে আমার কথাতে একদমই কর্নপাত করছে না। সে আছে তার বায়োমেট্রিক নিয়ে। মনে মনে একটু রাগ হলো। বললাম- 'আপনাকে যে আমি কিছু জিজ্ঞাসা করছি তার কি কোনই দাম নেই?'
-কি স্যার?
-বলছি আপনি কি বিয়াতি না আবিয়াতি?

মেয়েটা বোধ হয় আমার কথা খুব একটা ভাল বুঝতে পারলো না। জিজ্ঞাসা করলো- 'স্যার বিয়াতি আর আবিয়াতি কি?'
মনে মনে একটু কাবিলা স্টাইলের গাল পাড়লাম। 'হারে হাউয়ার পুত, বিয়াতি-আবিয়াতি বোঝ না। বিয়া দিলে তো এদ্দিনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে পনের বিশটা বাচ্চা কাচ্চা হইয়া যাইতো।' ;)

তারপর গলাটা একটু পরিষ্কার করে নিয়ে বললাম- 'আপনি কি বিবাহিত, নাকি অবিবাহিত?'
আহঃ মেয়েটা এবার হেসেই ফেললো। কি মচতকার সেই হাসি। ভাবছিলাম পাশে যদি পেয়ারি বেগম থাকতো তাইলে তারে এই হাসি দেখাইয়া কইতাম- 'কি? দেখছো! দেখ, দেখে দেখে একটু শেখো। সারা জীবন তো তরমুজের দাঁত বাহির কইরা কুমড়ো পটাশ মার্কা হাসি হাসছো। এখন এদের কাছ থেকে একটু হাসি কাকে বলে, সেইটা শেখো।

মেয়েটা একটু আমতা আমতা করে বলল- 'অবিবাহিত!'
আরে ব্যাস! শোল্লাসে নিজের উরুতে একটা চাপ্পড় মারলাম। কিন্তু পরক্ষনেই ব্যাথায় প্রায় কঁকিয়ে উঠলাম। উত্তেজনার বশে এত জোরে বোধ হয় এর আগে কেউ তার নিজের উরুতে চাপ্পড় মারে নাই।

কোন রকমে মুখ বুজে ব্যাথা সহ্য করে মেয়েটাকে বললাম- 'আমিও অবিবাহিত! আসেন না টিএসসিতে একদিন চা খাওয়া যাবে? আর যদি সম্ভব হয় তাহলে ফুঁচকা!' ;)
-দুঃখিত স্যার! আপনি ক্রমাগত বিষয় সংশ্লিষ্টতার বাইরে কথা বলছেন! আমি ফোনটা রাখছি। আপনাকে ধন্যবাদ!
মেয়েটা ফোন রাখতে যাচ্ছিল। আমি তড়িঘড়ি করে বাধা দিয়ে বললাম- 'আরে, আরে আরে, কি বলবেন বলেন এবার!'

মেয়েটা এবার একটা শুকনো হাসি হেসে বলল- 'স্যার আপনার সিমটা কি বায়োমেট্রিক পদ্ধতীতে রি-রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছেন?'
বললাম- 'আচ্ছা আপনাদের ওখানে কি চেক করা যন্ত্র আছে?
-ঠিক বুঝলাম না স্যার?
-বলছি, কোন সিম যদি আগেই রি-রেজিষ্ট্রেশন করা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেটা পরীক্ষা করার মত কোন পদ্ধতী কি আপনাদের কাছে আছে?
-আছে স্যার!

এবার আমার আর রাগের সীমা রইলো না। একটা বড় ধরনের মুখ খারাপের কিছু অংশ অনেক চেষ্টা করে দাঁত দিয়ে চেপে রেখেও, আর রাখতে পারলাম না। কিছুটা অংশ মুখ থেকে বেরিয়েই গেল! বললাম- '...ালী, যদি তাই দেখা যাবে তাহলে এতক্ষন সময় নষ্ট করে আমার সাথে তোর কথা বলার মানে কি? আর আমার সাধের কাচা ঘুমের বারটা বাজানোরই বা মানে কি? আগের থেকে চেক না করে তুই আমার কাছে ফোন দিলি ক্যান তাই বল?'

আমার হঠাৎ করে এই পরিবর্তন দেখে মেয়েটা হকচকিয়ে গিয়ে বলল- 'স্যার আপনি কিন্তু এর আগে খুব সুন্দর করে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে রেগে গেলেন কেন বুঝলাম না!'
-ধুর, শালী। তোর মিষ্টি মুখের গুষ্টি কিলাই! তুই আমার কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে বায়োমেট্রিকের ফরমায়েশ শুনাইতে আইছোস ক্যান তাই বল আগে?
-স্যার আমি তো জানতান না যে এখন আপনার ঘুমানোর সময়। তাছাড়া আগের থেকে চেক করে দেখি নাই যে আপনার সিমটা রি-রেজিষ্ট্রেশন হইছে কিনা।
-এখন দেখছোচ!
-জ্বি স্যার!
-ভালা করছোস। এই জন্যই তোর লগে এতক্ষণ ইটিশ পিটিশ মার্কা কথা কইলাম, একটু শিক্ষা দেওনের লইগা বুঝছোস? শোন, এখন থেকে কোন গ্রাহকের কাছে ফোন দেওয়ার আগে প্রথমেই চেক করে নিবি তার সিমটা ইতোমধ্যে রি-রেজিষ্ট্রেশন হইছে কিনা; বুঝছোস?'
-জ্বি স্যার আপনাকে ধন্যবাদ!
-আরে ধুর! ধন্যবাদ নিয়া কি করুম। এখন ক টিএসসিতে কবে আসছোস?
-স্যরি স্যার আমি আসতে পারবো না!

বলে টুটটুট করে ফোনটা কেটে দিল। আমিও ফোনটা কেটে দিয়ে, খুব জোরে হেসে উঠলাম। তারপর পাশ থেকে সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে আর একটা সিগারেট ধরিয়ে মনে মনে বললাম- 'ব্যাক্কল গুলানরে এমনে না ধরলে সাইজে আইতে চায় না। হেতেরা গ্রাহকরে কত্ত ভালবাসে! রাত দিন চব্বিশ ঘন্টায় বুঝি কোন বয় ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডকে কিংবা কোন গার্লফ্রেন্ড তার বয়ফ্রেন্ডকে এতটা ম্যাসেজ দেয় না, যতটা এই সমস্থ সিম কোম্পানী গুলো গ্রাহককে দেয়।'

এমনিতেই ম্যাসেজ দিয়া জ্বালাইবে, তার উপরে আবার ফোন! সব কয়টারে এমনে ছাই দিয়া ধরতে হইবো। তাইলেই ব্যাক্কল গুলান সাইজে আইবো!

অফটপিকঃ- পোস্টের কিছু অংশ সত্যি, আর বাকিটা এই স্টাইলিশ বয়েরই কল্পনা প্রসূত উর্বর মস্তিস্কের চিন্তা ভাবনা থেকে নেওয়া, শুধুমাত্র বিনোদন লাভের জন্যই। পোস্টটা সম্পূর্ণ মজা করার জন্যই তৈরি করা। সুতরাং এর মধ্যে সিরিয়াস কিছু খুঁজতে গেলে আপনি ভুল করবেন। পোস্টের মাধ্যমে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আপনার আশে-পাশেই একটু নজর বুলিয়ে দেখেন, এই ধরনের ভিক্টিম অনেক আছে, যাদের কে কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন দিয়ে অহরহ বিরক্ত করছে।

পোস্ট ভাল না লাগলে পোস্ট ছাড়া ৫০০ মাইল দূরে অবস্থান করবেন। কিন্তু কাছে এসে প্যান প্যান করার চেষ্টা করবেন না। এটা আমার প্রথম ব্লগ পোস্ট। সুতরাং ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে খুশি হবো! সবাইকে হ্যাপি ব্লগিং.....
!:#P
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান ইসরাইলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ আর আমাদের সুন্নী-শিয়া মুমিন, অ-মুমিন কড়চা।

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

(ছবি: © আল জাযীরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক)

শ্রদ্ধেয় ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু'র স্বাগতম ইরান পোষ্টটিতে কয়েকটি কমেন্ট দেখে এই পোষ্ট টি লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি গরীব মানুষ, লেখতে পারিনা। তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×