somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামী মূল্যবোধকে দূর্বল করার চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্যই দিল্লীতে বিশেষ বৈঠক!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ বিষয়ে দিল্লিতে গোলটেবিল
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে এ অঞ্চল অশান্ত হবে

সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি



Click This Link

**********************

শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ যখন তুঙ্গে তখন ভারতীয় সরকার বলে এটা তাদের মদদে হচ্ছে;

Protesters at Shahbagh in Bangladesh backed by India

Click This Link

তখনই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে দিল্লী আসলে কি চায়। তার আধিপত্য এবং হাসিনার আলীগের র্দূনীতি, জুলুমের শাসন বজায় রাখতেই এই মদদ। সিংহভাগ জনগণের দাবী যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে দেশে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় তার জন্য এই সমস্ত আয়োজন। এক ঢিলে একাধিক পাখী মারা। ভারত ভালভাবেই জানে ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ দুই দফা পরিবর্তন সত্ত্বেও এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভারতকে বিমাতা ও অবিশ্বাস করা এবং মূল পার্থক্য হচ্ছে ধর্ম। এই দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান। এখন ভারত ও তার এই দেশীয় দালালরা যেহেতু সরাসরি কিছু করতে পারে না তাই ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাত তুলে এই দেশের সিংহভাগ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধকে কিভাবে নষ্ট করা যায় তারই চক্রান্ত চলছে। এর প্রমাণও পাই এখানে;

বাংলাদেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ অস্তিত্বের জন্য লড়ছেঃ RAW এর সাবেক গোয়েন্দা প্রধান!

Click This Link

Bangladesh: A battle for its secular soul

Click This Link

বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ম ও ৮ম সংশোধনী দ্বারা কখনই এই দেশটাকে শরীয়া আইন জোর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া হয় নাই। বরং অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনেও কোন বাধা নাই। এখন দেশের সিংহভাগ জনগণ যাকে বেছে নিবে সেই দেশের সংবিধান প্রণয়ন করে নেতৃত্ব দিবে। এটাই সুষ্ঠ পন্থা। কিন্তু দিল্লী ও তার তাবেদারদের এটা পছন্দ নয়। তারা চাচ্ছে যেন ২০০৮এর মত একটা সাজানো নির্বাচন হয়ে যাক তাই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অগ্রাহ্য করছে। প্রথমে সংবিধান হতে "আল্লাহ" শব্দ বদলে "সৃষ্টিকর্তা" করা এবং পরে পুরোপুরি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে হাসিনা গং বদ্ধপরিকর। কারণ দিল্লী এটাই চায়। এখন দেশের ইসলামী দল সহ মূল বিএনপি এটা মেনে নিবে না সহজেই অনুমেয়। সুষ্ঠ ভোটে তাদের ব্যাপক বিজয় হবে এটাই দিল্লীকে দূঃশ্চিন্তায় ফেলে দিছে। তাই এখন তথাকথিত মৌলবাদ জঙ্গীবাদের জুজু আনছে। যদি দেশের সিংহভাগ মানুষ ৫ম ও ৮ম সংশোধনীর পক্ষে থাকে এটা কিভাবে অন্যায় হয়? আমাদের দেশের নীতি নির্ধারণ কে করবে ভারত নাকি দেশের সাধারণ জনগণ? এই বিষয়টাই নিকট ভবিষ্যতে নির্ধারিত হবে। এই দেশের সিংহভাগ মানুষের ইসলামী মূল্যবোধ বিনষ্ট হওয়ার অর্থই ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগটা ভুল হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে বিদায় করলেও এই দেশের মানুষ তাদের ধর্মটাকে পরিত্যাগ করে নাই। কারণ ইসলাম পাকিস্তানের পৈতৃক সম্পত্তি না। স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত নিজে ও তার দালালদের দ্বারা কারসাজি করে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিচ্ছে। এর জন্য তারা তথাকথিত বাঙালী সংস্কৃতির মাধ্যমে পৌত্তলিকতাকেও ব্যাবহার করছে। এই বিষয়ে ২২শে জানুয়ারী ২০১২ সালে ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে;

তিনি(হাসিনা) জানেন, ইসলামী সত্তার মোকাবিলা করতে হয় বাঙালী জাতিসত্তা দিয়েই।

http://www.mediafire.com/?5u19wa3h3e5348u

তাই সেই বহু পুরোনো ধারাবাহিকতার ভিত্তিতেই দিল্লীতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিরোধী এই চক্রান্তমূলক বৈঠক। হাসিনা ও আলীগের মত তাবেদার থাকলে ভারত সুযোগ নিবেই। হাসিনা গং স্রেফ মুখে মুখে স্বাধীনতা কিন্তু বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। সামনে অনেক কঠিন ও চরম অনিশ্চিত পরিস্থিতি আসছে!
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×