somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তবুও BAL গং ভারতকে শুধু বিনামূল্যে করিডোর নয় ভর্তূকীতেও জ্বালানি দিবে!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতে নদী-সংযোগ প্রকল্প চালু, উপেক্ষিত বাংলাদেশের বিরোধিতা



ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও মঙ্গলবার থেকে ভারতে বিতর্কিত নদী সংযোগ প্রকল্প চালু হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রায় এক যুগ আগে দেশের নদীগুলোকে যুক্ত করার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন, তারপর এই প্রথম সে দেশের একটা বড় নদী থেকে আরেকটায় পানিপ্রবাহ মঙ্গলবার চালু করা সম্ভব হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার মঙ্গলবার নর্মদা ও শিপ্রা নদীকে যুক্ত করার এ প্রকল্প উদ্বোধন করেছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সারা দেশে এই নদী-সংযোগ প্রকল্প নতুন উদ্যমে শুরু করা হবে।

এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগও প্রশমিত করা সম্ভব বলে দাবি করছে বিজেপি। ভারতে এনডিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী আšত্মঃনদী-সংযোগ প্রকল্প ঘোষণা করার পর এক যুগেরও বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু সেই বিতর্কিত প্রকল্প রূপায়নে অগ্রগতি প্রায় কিছুই হয়নি।

বিশেষ করে ইউপিএ জোটের গত দশ বছরের শাসনে বিভিন্ন প্রকল্পের সমীক্ষা রিপোর্টেই ফাইলবন্দি ছিল সেই প্র¯ত্মাব। তবে গতকাল উজ্জয়িনীতে নর্মদা থেকে পানি বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল শিপ্রাতে। মধ্যপ্রদেশ সরকার একে বর্ণনা করছে বাজপেয়ীর স্বপ্ন রূপায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে।

সিমহ¯ত্ম লিঙ্ক প্রজেক্ট নামে এই প্রকল্পের উদ্বোধনে বিজেপির প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতাই মঙ্গলবার হাজির ছিলেন উজ্জয়িনীতে।

তবে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা মানলেও ভারতের নদী-বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলছেন এই সিমহস্থ প্রকল্পে অনেক মৌলিক অসঙ্গতি আছে।

সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ড্যামস, রিভার্স আর পিপল’র হিমাংশু ঠক্কর বলেন, ‘এটি একটি পাইপলাইন প্রকল্প, যাতে নর্মদার একটি খাল থেকে পানীয় জল ও শিল্পের জন্য পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিপ্রা অববাহিকায়। পদ্ধতিটি অনেক ব্যয়বহুল, একে প্রকৃত নদী-সংযোগ বলতেও আমার আপত্তি আছে।’

তিনি আরো বলছেন, ‘আর এতো উল্টো প্রবাহ হচ্ছে, কারণ আমরা জানি নর্মদাতেই পানির ঘাটতি আছে, আর শিপ্রা, যা গঙ্গা বেসিনের অংশ, সেখানেই পানি উদ্বৃত্ত’।

ফলে সিমহšত্ম প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক হচ্ছেই। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তাতে আমল দিতে রাজি নন। বরং তারা বলছেন, পশ্চিম ভারতে গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার যেমন ছোট আকারে হলেও নদী-সংযোগের কাজ শুরু করে দিয়েছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে তারা গোটা দেশেই সেই প্রকল্প সম্প্রসারিত করবেন।

বিজেপি নেতা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা এমপি চন্দন মিত্র বলছিলেন, ‘বাজপেয়ী সরকার যেমন হাইওয়ে দিয়ে দেশের বড় বড় শহরগুলোকে জুড়েছিল, ঠিক একইভাবে দেশের প্রধান নদীগুলোকেও জুড়তে চেয়েছিল, যাতে দেশের কোন কোন এলাকায় খরা ও অনাবৃষ্টি মোকাবিলা করা যায়।’

আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই সরকার এই আšত্মঃনদী-সংযোগ প্রকল্পের কাজ আবার খুব গুরুত্ব দিয়ে শুরু করবে বলেও জানান মিত্র।

তবে এই প্রকল্প নিয়ে পরিবেশগত অনেক প্রশ্ন ছাড়াও আরো একটি বড় সমস্যা হলো ভারতের অনেক নদীই প্রতিবেশী নেপাল, বাংলাদেশ বা পাকি¯ত্মানের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে এবং অভিন্ন নদীগুলোর প্রবাহ অন্যখাতে বইয়ে নেয়ার চেষ্টা হলে তারা অবশ্যই প্রতিবাদ করবে।

বাংলাদেশ অনেক আগেই ভারতের এই পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তবে চন্দন মিত্র বিবিসি-কে বলছিলেন প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ অবশ্যই প্রশমিত করা সম্ভব।

তার যুক্তি, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন নদীর ওপর কিছু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে পাকি¯ত্মান আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে শুনানির মাধ্যমে সেই বিরোধের ফয়সালা করা সম্ভব হয়েছে।’

‘একইভাবে ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিরোধের অবসান হয়েছে, আর তি¯ত্মা নদীর প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশের যে বক্তব্য আছে তা নিয়েও দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

ফলে চন্দন মিত্র বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই উদ্বেগ দূর করতে না-পারার কোনো কারণ নেই বলে আমরা মনে করি!

ভারতে প্রায় সব জনমত জরিপ লোকসভা ভোটে বিজেপি জোটকে এগিয়ে রাখলেও তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তা আদৌ নিশ্চিত নয়।

কিন্তু ক্ষমতায় এলে দেশের নদীগুলোকে জোড়ার বিরাট ও বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে তারা যে পিছিয়ে থাকবেন না, দলের নেতারা মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আরটিএনএন

Click This Link

********************

একটি ওলন্দাজ সংস্থা ১৯৬৭ ও ১৯৭৪ উভয় সময়েই জরিপ করে দেখে যে আমাদের মোট নদী পথের দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিমি। এরপর ২০১১-১২ সালের জরিপে দেখা যায় আমাদের নদী পথের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ হাজার কিমি। তথা ৭৫%ই গায়েব। এটা শুরু হয়েছে উজানে ভারতের ফারাক্কা সহ মোট ৫৪-৫৫টি নদীতে বাধ তৈরি করে একতরফা ইচ্ছা মত পানি প্রত্যাহার করে নেওয়া। তারপর আবার ভরা বর্ষা মৌসুমে কোন প্রকার নিয়ম-নীতি ছাড়াই ও বাংলাদেশকে না জানিয়ে বাধের সব গেট খুলে দিয়ে এখানে বন্যার সৃষ্টি করে। এই যখন অবস্থা হাসিনা তখন দেশবাসী ও সংসদকে না জানিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি করে আসে। কিন্তু সেটাও ছিল শুভংকরের ফাকি। এরপর ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ভারতের তৎকালীন বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রম্মপুত্র নদ হতে কৃত্রিম খালের মাধ্যমে পশ্চিম দিকে পানি প্রত্যাহার করে নেওয়া। এতে করে ব্রম্মপুত্র, যমুনা নদী ও তার শাখা গুলিতে মারাত্নক প্রভাব পড়বে। অথচ এর বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের কোন গুরুত্ব বা আন্তরিকতা আছে বলে মনেই হয় না। হবে কিভাবে? এক তিস্তা নিয়ে যে নাটক করল তারপরেও হাসিনা ২০১০ সালের গোপন শর্তের চুক্তি মোতাবেক ভারতকে বিনামূল্যে তথাকথিত ট্রানজিট দিয়ে বসে আছে। ভারত আমাদের প্রাকৃতিক ন্যায্য পানি দিবে না কিন্তু তথাকথিত ট্রানজিট নিবে তাও বিনামূল্যে। কয়েকদিন আগে ভারত সরকারের পর্যবেক্ষক গ্রুপ আমাদের নদী পথের সার্ভে করে আরও করিডোর নেওয়ার জন্য উদ্রগীব;

সমীক্ষাও সম্পন্ন॥ বাংলাদেশের সাথে নতুন নৌপথ চায় ভারত : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম

Click This Link

এখন নিশ্চয়ই হাসিনার উপদেষ্টা মসিউর, এইচটি ইমাম, রিজভীদের অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। এরা চাচ্ছে কত দ্রুত ভারতকে এই সমস্ত নতুন রুটে করিডোর দেওয়া যায়। তিস্তার পানি চুলোয় যাক ভারত নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক কিন্তু তারপরেও ভারতের আব্দার পূরণ করা থেমে থাকবে না BAL গংদের। উপরন্ত ভারতীয় ট্রাক, জাহাজকে ভর্তূকী মূল্যে জ্বলানিও দিচ্ছে হাসিনার সরকার। অথচ ২০০৮এ বলেছিল তথাকথিত ট্রানজিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। এরাই হল তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি! এদের কথা হল বাংলাদেশ হল স্রেফ স্বাধীন কিন্তু সার্বভৌমত্ব থাকবে দিল্লীর হাতে। এর যে বিরোধীতা করবে সে পাকিস্তানী। বাংলাদেশের মর্যাদা ও স্বার্থ রক্ষা হলে সেটা কিভাবে পাকিস্তানের উপকার হয় তা আজ পর্যন্ত আওয়ামী-বাকশালী ও হিন্দুস্থানের দালালরা জবাব দিতে পারে নাই। শুধুই এরা কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ ও মাস্তানী করতে পারে।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×