somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০ টাকা কেজি চাউল নাই, কৃষকের লাভও নাই এবং দেশরত্ন!

৩০ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যখন ২০০৯এ ক্ষমতায় এসে হাসিনার ওয়াদা করা ১০ টাকা করে প্রতি কেজি চাউলের মূল্য নির্ধারণ করতে ব্যার্থ হল তখন চাটুকারের দল বলে যে উৎপাদন খরচ ও কৃষকের লাভ রাখতে হলে এটা অসম্ভব। তাই নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার জন্য খুব সস্তা কারসাজি করছিল হাসিনা;

https://www.youtube.com/watch?v=k2nPkR0z784

এখন হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেও এখন ২০১৫ সালে সেই মেহনতী কৃষক লোকসান দিয়েই ধান উৎপাদন করছে;

ধান আছে, হাসি নেই

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/534466/

সরকারী হিসেবেই প্রতি মণ ধান উৎপাদন করতে একজন কৃষকের খরচ পরে ৭০০ টাকা। কিন্তু র্দূভাগা কৃষকদের এই ধান বেচতে হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। সব আড়তদার, ফরিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কম দামে কেনে কিন্তু চড়া দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। থানা-পুলিশ, প্রশাসন, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব জেনেও এই সকল মিডিলম্যানদেরকে প্রতিরোধ করেই না যেখানে কৃষকদের থেকে ৮৮০ টাকা মণ দরে সরকারী মূল্যে ধান কিনার প্রশ্নই উঠে না। কারণ সরকারী এই সকল দপ্তর উদ্যোগ নিলে আলীগের যারা এই সমস্ত মিডিলম্যান তাদের লভ্যাংশ কমে যাবে। সবাই ভাগ বাটোয়রা করে কিভাবে কাঙ্খিত অর্থ পাবে?

শেখ হাসিনার নামের শুরুতে আবশ্যিকভাবে ‘দেশরত্ন’ বসানোর প্রস্তাব

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/540649/

লোকসানে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মুখেই শুনি কি বলে তারা;

আশুগঞ্জের ধান বেচাকেনার জন্য খ্যাত মেঘনাঘাটে দাঁড়ানো কৃষক শহিদের পরনে রংচটা লুঙ্গি, গায়ের শার্টের রংও ফ্যাকাশে। তার চেয়েও ফ্যাকাশে তাঁর মুখ। ধান নিয়ে কথা বলতে গেলে বলে উঠলেন, ‘তিন বছর ধইরা দাম পাই না। এখন বুঝতাছেন কেন মানুষ সাগর পাড়ি দিয়া থাইল্যান্ডের জঙ্গলে যায়।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত দেশান্তরী হয়ে নিজ ভাগ্য গড়তে জীবন দিতেও রাজি। তথা এই দেশের দূর্বিষহ অবস্থার জন্য তারা পালিয়ে যেতে চায়। এখন দেশরত্নের প্রস্তাব দিয়ে আওয়ামী চাটুকাররা বোঝালো মানুষের দুঃখ র্দূদশার সাথে পরিহাস করা তাদের জন্য অত্যন্ত সহজ!


২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×