somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুহিত সাহেব কিভাবে কর সংগৃহিত, জমা এবং কোন কোন খাতে ব্যায় হবে তার সঠিক হিসাব প্রদানও নিশ্চিত করবেন!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



৫, ১০ টাকা যাই হোক, সবাইকে বাধ্যতামূলক কর দিতে হবে: অর্থমন্ত্রী

আমি বরাবর কর দেওয়ার পক্ষে। একটা রাষ্ট্র কর বা রাজস্ব ছাড়া চলতে পারে না। যতই প্রাকৃতিক সম্পদ থাকুক দিন শেষে দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মানুষ হতে কর নিতেই হবে। দেড়ীতে হলেও এই বিষয়টা অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব তুলে ধরছেন। এখন এই বিষয়ে উনার ও রাষ্ট্রের কি পরিকল্পনা সেটাও স্থির করতে হবে;

http://parstoday.com/bn/news/bangladesh-i19495

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মুশকিল হচ্ছে কর আদায়ের ব্যাবস্থার বিশাল অংশই ম্যানুয়াল বা মনুষ্য তথা কাগজে কলমে। মুদি হতে হোটেল, রেস্তোরা, কল-কারখানা সহ আয়কর যোগ্য প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত কর কাগজে কলমেই আদায় হয়। এখানে কেনা-বেচা, উৎপাদন সবই সেই কাগজে কলমেই নথিভূক্ত হয়। এটাকে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল না করা পর্যন্ত সঠিক হিসাব অজ্ঞাত থেকেই যাবে। এখানে অনিয়ম ও র্দূনীতি খুবই সহজ। যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল। এখানে কম-বেশী গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভাগের কর্মচারীরা যোগসাজশ করে রিডিং কমিয়ে রাষ্ট্রকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ করে। সেখানে যথাযথ ডিজিটাল ব্যাবস্থা না থাকলে সাধারণ মুদি, রেস্তোরা, মিল-কারখানা সহ আয়যোগ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ কতটা তাদের আয় ও ব্যায় এর সঠিক হিসাব প্রাপ্তির বিষয়টা সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেই যাবে।

এরপর জনগণ ও প্রতিষ্ঠান সমূহ হতে আদায়কৃত কর যথাযথ ভাবে রাষ্ট্রীয় জমা হচ্ছে কিনা সেটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ। সৎ ও দক্ষ সরকারী কর্মচারী ছাড়া এই কর গুলো ঠিকমত জমা হবে না। রাজস্ব জমার বিষয়টা ভাল ভাবে ও সব সময় মনিটরিং করতে হবে। এই তদারকি ঠিকমত হলে রাষ্ট্রের কোষাগারে অনেক অর্থ জমা হবে।

এরপর এই ব্যাপক ভিত্তিক আদায়কৃত কর কিভাবে কোন কোন খাতে ব্যায় হবে সেটারও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ খুব স্বচ্ছল না হলেও একেবারে অসামর্থ্যবানও না। তাই তাদের কষ্টের অর্থ সঠিক ভাবে ব্যায় হয় এবং তারা লাভবান হন সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষকে বাসস্থান, দুই বেলা খাবার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিশ্চিত করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও পুরোটা পারে না। কাজেই এই অবস্থায়ও যদি তাদের থেকে কর আদায় করলে সেটা যেন বৃথা না যায়। রাস্তা, ঘাট, রেলপথ, বিদ্যু কেন্দ্র সহ বিভিন্ন নির্মাণ খাতে যেন অনিয়ম ও র্দূনীতি না হয় সেটা রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই সব নির্মাণে জনগণের কর্মক্ষেত্রে ও উৎপাদনে সক্রিয়তা বাড়ে। তাতে বেকারত্ব সহ মানুষের অসচ্ছলতাও হ্রাস পায়। সমস্যা হইল যে আমাদের দেশে কি নির্মাণ সহ রাষ্ট্রের ব্যায়ের জন্য নির্ধারিত বিষয় গুলা অতটা স্বচ্ছ নয়। তাই অনিয়ম ও র্দূনীতির সুযোগ থেকেই যায়।

অর্থমন্ত্রী মুহিতকে বুঝতে হবে উনি যে উদ্যোগের কথাটা বলছেন এটাই উন্নত ও বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ গুলিতে হয়। সেখানে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, সামাজিক ন্যায় বিচার সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক সুবিধা দেয় রাষ্ট্র। বাংলাদেশের জনগণকে যদি ব্যাপক ভিত্তিক কর দিতেই হয় এর রিটার্ন বা প্রতিদানটাও যেন যথাযথ হয় এটাও মুহিত ও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

একটি পশ্চিমা দেশে থাকি তাই এখানে যথাযথ কর আদায় এবং জনগণের প্রাপ্ত সুবিধা ও অধিকার স্বচক্ষে দেখে বিমোহিত হই। এর আগের পোষ্টেও বলছি যে করের একটা অংশ স্বাস্থ্য খাতের জন্য নির্ধারণ করে রাখলে বাংলাদেশের মানুষ আরো ভাল স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×