নাহ... আমার স্টুডেন্ট কে দিয়ে আর পারলাম না...
পহেলা বৈশাখের পরে আজকে একটারে পড়াতে গেলাম, ভাবলাম একটু ফান করি, খুব গম্ভীর ভাব দেখিয়ে বললাম,
- কি ব্যাপার বলতো, তোমাকে পহেলা বৈশাখে হাতিরঝীল এ একটা ছেলে সহ দেখলাম... কে ছিল?
- (অবাক হয়ে) কি বলেন স্যার? আমি যাই নাই। সত্যি বলছি...
- নাহ, তোমাকেই দেখেছি আমি, একবার না দুইবার দেখেছি। আমি সিওর...
- না স্যার, আপনি মনে হয় ভুল করেছেন। আমি বাসা থেকেই বের হইনাই। শুধুমাত্র সন্ধায় আম্মু সহ টিএসসি তে গেছিলাম। আর কোথাও না।
- আমার সাথে মিথ্যা বলিও না প্লিজ... তুমি জানো আমি মিথ্যা বলা কত অপছন্দ করি...
একটু বেশিই গম্ভীর হয়ে গেছিলাম মনে হয়, নইলে বারবার এক কথা বলতে বলতে একেবারে কেঁদে ফেলেছে বাচ্চাটা। ভাজ্ঞিস, বাসায় ওর আম্মু ছিল না, নইলে কি থেকে না জানি কি ভেবে নিতেন।
পরে অবশ্য সত্যি কথা বলায় মুখে হাসি ফুটেছিল স্টুডেন্ট এর মুখে।
জিজ্ঞেস করলাম, "কেঁদে ফেললা কেন?"
- আপনি তো স্যার কখনো এরকম গম্ভীর হয়ে আমার সাথে কথা বলেন নাই, সব সময় হাসিমুখে কথা বলেন, এজন্য আজকে আপনার মুখে এরকম গাম্ভীর্য দেখে আমি ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আপনি মনে হয় আমার মতো কাউকে আমার সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।"
- আরে পাগল মেয়ে, মাঝে মাঝে এরকম প্র্যাক্টিকাল জোক করতে অনেক ভালো লাগে আমার।
- তা আপনি আবার হাতিরঝীল এ কি করতেছিলেন?
- কি আর করব বল? সাইকেল নিয়ে সাইকেল চালাচ্ছিলাম।
- হম হম, বুঝেছি বুঝেছি আর বলতে হবে না... কিছু বুঝি না মনে হয়।
আমি আর কিছু বলি নাই, মুচকি মুচকি লাজুক হাসি দিয়েছিলাম। তুই কি বুঝিস বুঝ মা, আমার কিছুই যায় আসে না। বরং তুই অন্য কিছু বুঝে নিলেই আমি অনেক আশ্বস্ত বোধ করি। বাচ্চা মানুষ।