জানি প্রচুর হাস্যরস, টিটকারী, ট্রল হতে পারে নিচের লেখাটি প্রকাশের পরে। সেই ঝুঁকি নিয়েই বলছি। আমি যেহেতু আইনজ্ঞ নই, তাই এটাকে স্রেফ একজন সাধারন নাগরিকের ভাবনা বলতে পারেন। আমার নেটওয়ার্কে আইনজ্ঞ আছেন বেশ ক’জন। তারা পড়লে ও মতামত দিলে বিষয়টা কিছুটা হালে পানি পাবে ও আমরা সঠিক জ্ঞান পাব।]
একসময়ে যথেষ্ট যৌক্তিক থাকলেও ২০১৮ সালের বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে,
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন/বাতিল, কিংবা;
পাশাপাশি পুরুষ ও বয়স্ক নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন, কিংবা
প্রথম আইনটিতে পুরুষকেও সংযুক্ত করা উচিৎ।
কারন, ওই আইনটি তার জন্মলগ্ন হতেই ত্রূটিযুক্ত, প্রতিহিংসাত্মক, মাত্রাতিরিক্ত কঠোর। যতটা সত্যিকারের নির্যাতন ও সহিংসতায় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজে লেগেছে তার বহুগুন, শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই ব্যবহার হয়েছে ভুলক্ষেত্রে ও হয়রানিতে। সামান্য ডিভোর্স দেয়ার পরই স্ত্রী স্বামীকে হয়রানি ও দেখে নিতে মামলা করে দিয়েছে। আর একবার মামলা হওয়াই যথেষ্ট। তার মেরিট, প্রকৃত দোষী, বিচার, ন্যায়বিচার এতসব তো বহু পড়ে, মামলা হওয়ামাত্র আসামীর (আসলে ভিকটিম’র) জীবন তেজপাতা করে দেবে পুলিশ ও আইন। দেশে হত্যা মামলাতেও জামিন হয়, অথচ নির্যাতনের মামলায় জামিনের ব্যবস্থা রাখা হয় না। দারুন।
এবং;
শিশু অপরাধের আইনী বয়সসীমা ১৮ হতে কমিয়ে ১২ তে আনা উচিত।
আইন যখন বানানো হয়, তখন ১৮ তে পোলাপান নাক টিপলে দুধ বেরোত। আর এখন বয়স ১০ হলেই নাক টিপলে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, ভালগার কনটেন্ট আর পাকনামি ঝড়ে পড়ে। তাই অল্প বয়সেই এখন ক্রাইম করার মতো কাবেলিয়াত তৈরী হয়। ১৯৮০ সালের একজন ১২ বছর বয়সী বালক/বালিকা আর ২০১৮ সালের বাংলাদেশের ১২ বছরের একজন বালক/বালিকার পরিপক্কতা ও মানসিক গঠনের মাত্রায় অনেক তফাত। ঢাকা শহরের প্রোফেশনাল কিলার, হিস্রি সিটার এবং ড্রাগ স্মাগলারদের একটা বড় অংশই এখন ১২-১৩-১৪ বছরের বালক/বালিকারা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২