somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক্ষাকবচ নাকি অক্কাকবচ?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানি প্রচুর হাস্যরস, টিটকারী, ট্রল হতে পারে নিচের লেখাটি প্রকাশের পরে। সেই ঝুঁকি নিয়েই বলছি। আমি যেহেতু আইনজ্ঞ নই, তাই এটাকে স্রেফ একজন সাধারন নাগরিকের ভাবনা বলতে পারেন। আমার নেটওয়ার্কে আইনজ্ঞ আছেন বেশ ক’জন। তারা পড়লে ও মতামত দিলে বিষয়টা কিছুটা হালে পানি পাবে ও আমরা সঠিক জ্ঞান পাব।]

একসময়ে যথেষ্ট যৌক্তিক থাকলেও ২০১৮ সালের বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে,

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন/বাতিল, কিংবা;
পাশাপাশি পুরুষ ও বয়স্ক নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন, কিংবা
প্রথম আইনটিতে পুরুষকেও সংযুক্ত করা উচিৎ।

কারন, ওই আইনটি তার জন্মলগ্ন হতেই ত্রূটিযুক্ত, প্রতিহিংসাত্মক, মাত্রাতিরিক্ত কঠোর। যতটা সত্যিকারের নির্যাতন ও সহিংসতায় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজে লেগেছে তার বহুগুন, শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই ব্যবহার হয়েছে ভুলক্ষেত্রে ও হয়রানিতে। সামান্য ডিভোর্স দেয়ার পরই স্ত্রী স্বামীকে হয়রানি ও দেখে নিতে মামলা করে দিয়েছে। আর একবার মামলা হওয়াই যথেষ্ট। তার মেরিট, প্রকৃত দোষী, বিচার, ন্যায়বিচার এতসব তো বহু পড়ে, মামলা হওয়ামাত্র আসামীর (আসলে ভিকটিম’র) জীবন তেজপাতা করে দেবে পুলিশ ‍ও আইন। দেশে হত্যা মামলাতেও জামিন হয়, অথচ নির্যাতনের মামলায় জামিনের ব্যবস্থা রাখা হয় না। দারুন।

এবং;
শিশু অপরাধের আইনী বয়সসীমা ১৮ হতে কমিয়ে ১২ তে আনা উচিত।

আইন যখন বানানো হয়, তখন ১৮ তে পোলাপান নাক টিপলে দুধ বেরোত। আর এখন বয়স ১০ হলেই নাক টিপলে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, ভালগার কনটেন্ট আর পাকনামি ঝড়ে পড়ে। তাই অল্প বয়সেই এখন ক্রাইম করার মতো কাবেলিয়াত তৈরী হয়। ১৯৮০ সালের একজন ১২ বছর বয়সী বালক/বালিকা আর ২০১৮ সালের বাংলাদেশের ১২ বছরের একজন বালক/বালিকার পরিপক্কতা ও মানসিক গঠনের মাত্রায় অনেক তফাত। ঢাকা শহরের প্রোফেশনাল কিলার, হিস্রি সিটার এবং ড্রাগ স্মাগলারদের একটা বড় অংশই এখন ১২-১৩-১৪ বছরের বালক/বালিকারা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×