আমার বাবা একজন শিক্ষক; স্কুল লাইফে আমিও উনার ক্লাসের ছাত্র ছিলাম !!
তো, স্কুল লাইফে যখন ছিলাম, আমার সামনে :
‘‘ডজনের ডজন কলম আর বস্তা বস্তা খাতা আইন্যা দিলাম, তারপরও পড়াশুনা করিস না !!''
‘‘মাইনষের পোলা-মাইয়া মানুষ হইলো, আর আমারগুলা রসাতলে গেলো''
‘‘কত শয়তান রে এই আমি মানুষ করলাম, খালি তোদেররে পারলাম না! '' (এই ডায়লগ'টা ঘরে প্রায়ই দিতেন)
‘‘ভাল না লাগলে বাসা থেকে বের হইয়া যা; আমি হোটেল খুইল্যা বসি নাই !''
‘‘ওগো শুনছো, আইজ ওর খানা-পিনা সব অফ ! তুমি যদি ওরে খাইতে দাও, তাইলে খবর আছে কইলাম''
‘‘কয়টা বাজে খেয়াল আছে? কই ছিলি সারাদিন? ঘরে আইছছ ক্যান? রাস্তায়ই থাকতি !'' (বাসায় দেরী করে আসলে)
-----
আর আমার অনুপস্থিতে অন্যদেরকে :
‘‘আমার পোলাটা অনেক পড়াশুনা করে.. এইবারও ফার্স্ট হইছে! দোয়া করবেন ভাই/ভাবি !!''
‘‘আসলে, আমার পোলাদের মুখের দিকে তাকাইলে মন ভইরা যায়! আল্লাহর শুকরিয়া এমন সন্তান পাইছি'' (আম্মা- ঘনিষ্ট কারো সামনে)
‘‘আমার পোলার নামে তো কেউ কখনোই কোনো বিচার নিয়ে আসে নি !''
‘‘এই!!! পোলারে খানি দিছিলা? দেইখো, বাচ্চা মানুষ! ভুল করছে.. আমি কিন্তু মাফ কইরা দিছি!'' (বাইরে থেকে এসে রাতে আম্মারে বলতেন)
‘‘মুখ তো পুরা বিলাইর মতো কইরা ফেলছছ! বাইরে কেউ খাওয়ায় নাই? ---তা' কে খাওয়াবে?? যা, ভাত খাইয়া ঘুমা !!'' (বাসায় দেরী করে আসলে)
-----
এমন অনেক অনেক ডায়লগ ছিল !!
এখন আমার আব্বাজানের বয়স হইছে; ডায়লগগুলাতেও পরিবর্তন আসছে; শারীরিকভাবে তিনি এখন অনেক দুর্বল। সেই দিনগুলো এখন মিস করি !!
আমার আব্বাজানের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
▬
লেখার সময়কাল:
৭ই নভেম্বর, ২০১৫ ঈসায়ী
রাত- ০৮:০০ টা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৭