somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জয় বাংলা --- ক্ষয় হাসিনা!!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আবার বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। হবে মানে আবার বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হবে। শুনে অবাক হচ্ছেন দেশ তো স্বাধীনই আবার কিভাবে দেশ স্বাধীন হবে। দুশ্চিন্তার বিষয় হলেও দেশ সহসায় বাংলার জনগণের হাত ছাড়া হতে পারে! আর হ্যাঁ দেশ বেহাত হবে, যে মহান নেতার হাত ধরে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই মহান নেতা শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়ত দেশ একদিন জনগণের হাত ছাড়া হবে। বহুবার আমি আমার লেখায় লিখেছি দেশের চলমান হাসিনা সরকারের নৈরাজ্য নিয়ে কিন্তু এবার একেবারে দেশ বেহাত হবে এমন আশঙ্কা নিয়ে লিখছি। কারণ অনেক। একমাত্র বঙ্গবীর উপাধি পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সিদ্দিকি কে যেদিন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে রাজাকার বলে ধিৎকার দিয়েছিল, আমি বলেছিলাম এই চরম অবমানার কঠিন বিচার না হলে স্বয়ং শেখ মুজিব একদিন রাজাকার হিসেবে হেয় পতিপন্ন হবে। তাই হচ্ছে, অনেকে তাঁকে মহান নেতা না মেনে বরং মহান রাজাকার প্রমাণ করে যাচ্ছে। এবং অনেক মানুষ মানতে বাধ্য হচ্ছে যুক্তিতর্ক, তথ্য প্রমাণ স্বরূপ অনেক কারণে। হয়ত একদিন জাতির পিতা বা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী থেকে একদিন সর্বশ্রেষ্ঠ রাজাকারে পরিনত হবে! এখন আসলে শেখ মুজিব রাজাকার তা অনেকটা বিশ্বাস যোগ্য করে তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি।
শেয়ার বাজার, রাষ্ট্রীয় খাতে সকল ব্যাংক লুটের ঘটনায় শুধু আমি নয়, বহু মানুষ লিখে বা যে যেভাবে পারে এর প্রতিবাদ করেছে কিন্তু কাজ হয়নি কারণ হাসিনা সরকার নিজে এই লুটপাটের সাথে জড়িত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক লুট হল। এতদিন লুটপাট দেশের মধ্যে ছিল এখন তা সীমানা ছাড়িয়ে। তাহলে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে যে দেশ একদিন বেহাত হবে তা কি অনুমেয় নয়? আর সেই জঘন্যতম কাজটি হয়ত এই হাসিনার হাত ধরেই হবে।

রিজার্ভ কার বা কোন দেশের লুট হয়েছে? বাংলাদেশের নাকি ফিলিপাইনের নাকি আমেরিকার? ফিলিপাইনের সরকার দৃশ্যমান অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। মামলা করেছে, সন্দেহভাজন অভিজুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখছে। সিনেট শুনানী করছে, ঘটনা উদঘাটন করছে, এমনকি কিছু টাকা ফেরত দেয়ার কথাও বলেছে। কিন্তু বাংলাদেশ কি করছে? সত্য কথা বলতে কি, কি পরিমাণ রিজার্ভ লুট হয়েছে তা আমরা কেউ জানিনা। যেখানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল সোনালী ব্যাংক এর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনায় বলেছিলেন এটা তত বেশি পরিমাণ টাকা নয় অথচ সেই আবুল মাল রিজার্ভ লুটের ঘটনায় রীতিমত টাস্কি খেয়েছেন। ভাবতে পারেন কি বিশাল পরিমাণ অর্থ লুট হলে আবুল মাল টাস্কি খেয়ে যেতে পারে? আমার জানার অধিকার থেকেই বলছি, সরকারের সার্বিক কার্যক্রম প্রমাণ করে হাসিনার পরিবার এই লুট এর সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। এত বড় রিজার্ভ লুট হলো, অথচ এখনও কোনো এরেষ্ট নাই ঢাকায়!

অন্যদিকে বাংলাদেশে সেই আইটি বিশেষজ্ঞ জোহা গায়েব হয়ে গেল আরও নাকি গায়েব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অনেকের। শেখ হাসিনার আইটি উপদেষ্টা জয়ের নিয়োগ দেয়া ভারতীয় কনসালটেন্ট রাকেশ আস্থানা আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি এডভাইজারের কাজ করত, তার সময়েই ঘটেছে রিজার্ভ লুটের ঘটনা। লুটের এক মাস পরে ৫ মার্চ যখন খবর প্রকাশ হয়ে যায়, তখন তড়িঘড়ি করে রাকেশকে অফিসায়াল নিয়োগ দেয় কনসালটেন্ট হিসাবে। গভর্নর আতিউর হঠাৎ চিঠি ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কম্পিউটারে রাকেশের দেয়া প্যাচ বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করতে। এটা নিয়ে সবাই ভয় পায় আতঙ্কিত হয় যে, রাকেশ নিশ্চয় এমন কোনো ভাইরাস বা প্যাচ ঢুকাচ্ছে, যা দিয়ে সে বাংলাদেশে ব্যাংকের সব ডাটা নিজের কাছে নিয়ে যেতে পারে। ইনস্টল শেষ হবার পরেই রাকেশ বলতে থাকে ফরেক্স ডিলিং রুমের সব কম্পিউটারে মারাত্মক ভাইরাস, ম্যালাওয়ার আছে! এই ম্যালাওয়ার দিয়েই নাকি রিজার্ভ চুরি হয়েছে!! এটা বিশ্বাস করানোর জন্য রাকেশ ধরে নিয়ে আসে আরেক কোম্পানী ফায়ার আইকে। এখন রাকেশ এবং ফায়ার আই দু’জনে মিলে বাঙালিরে ঘোলাপানি খাওয়াচ্ছে।

রিজার্ভ লুট তো হয়েছে সত্য, আর এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬ জন অফিসার হাত ছাপ দিয়েছে সত্য্। পেমেন্টে অর্ডারে বাংলাদেশের অনেকগুলি বড় বড় প্রজেক্টের বিল পরিশোধের কথা লিখেছিল, এগুলো ঢাকা থেকেই তৈরী করা হয়েছিল, এটাও সত্য। রিজার্ভ লুটের প্রমান গায়েব করার জন্য ফরেক্স ডিলিং রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট করে রাখা হয়, এটা তো হাত দিয়ে কেউ নষ্ট করেছে, হ্যাক করে নয়। একই সাথে যেখন থেকে পেমেন্ট হয়েছে, ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাতি শাখা, সেখানেও সিসিটিভি নষ্ট! তার মানে যোগসাজস করে একই সাথে দু’দেশের সিসিটিভি নষ্ট করা হয়েছে। এটাও হ্যাক নয়। এরপরে আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স ডিলিং রুমের কম্পিউটার লগ মুছে দেয়া।

এই রিজার্ভ লুটের সাথে জড়িয়ে গেছে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক তথা আমেরিকার মান ইজ্জত। তারা ছেড়ে দেবে না, শেষ পর্যন্ত যাবে তারা, ধরা পড়বে সবাই। এফবিআই এসেছে ঢাকায়, সিআইডি সরকারের তালে পরে যদিও বলছে, এখন FBI হেল্প লাগবে না, লাগলে বলব। তারপরও নিশ্চিত করেই বলা যায়, এরা কেউ পার পাবে না। সব ধরা পড়বে সময়ে। এই ক্ষেত্রে এফবিআই’কে কব্জা করতে হাসিনা বা হাসিনা পুত্র দেশকে বিপদে ঠেলে দিবেনা তারই বা ভরসা কি?
হাসিনা পুত্র যে এই হরিলুটের প্রধান নায়ক তাতে আর কোন সন্দেহ নাই। দেশে শক্তিশালী বিরোধীদল না থাকায় এর কোন প্রতিবাদ ও করা হচ্ছে না। মানুষের মনে চরম ক্ষোভ কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলে যে চিরদিনের মত গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে। তাই সবাইকে একযোগে এই লুটপাট, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। হাসিনা কয়জনকে গায়েব করতে পারবে? ইংরেজ, পাকিরা যেমন নৈরাজ্য করে টিকতে পারে নাই, হাসিনাও টিকতে পারবে না।

আড়িয়ল বিলের জনসাধারণের ঐতিহাসিক আন্দোলনের কারণেই লেডি হিটলার হাসিনা সেদিন চপেটাঘাত খেয়েছিল.... একটি এলাকার সম্মিলিত আন্দোলনের কাছে সেদিন মার খেয়েছিল গোটা সরকার, সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল সেদিন। আসুন আমরা দল মত নির্বিশেষে এই লুটেরাজ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি, বাধ্যকরি হাসিনাকে দুর্নীতির দায়ে পদচুত্য করে কঠিন সাজা ভোগ করাতে।

জয় হোক মেহানতি মানুষের।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×