রাষ্ট্রেযন্ত্র বিকল হলে সর্বত্র অরাজকতা চলবে, এটা মেনে নেওয়া একজন সাধারণ নাগরিকের জন্য চরম পীড়াদায়ক হলেও এটাই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। অবৈধ ভাবে মানুষ ক্ষমতার অধিকারী হলে সে ক্রমশ হিংস্র হয়ে যায় তার নির্মম পতনকে ত্বরান্বিত করার জন্য। আমরা সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত অন্যায় অবিচার গুম খুন ধর্ষণ রাহাজানির শিকার হয়ে এবং তার প্রতিবাদ না করতে করতে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছি, এটা কিছুটা স্বাভাবিক কিন্তু এই দুর্বলতার মাত্রা এতই মারাত্মক যে আমরা আমাদের অনুভূতিগুলো সব হারিয়ে ফেলছি। অর্থাৎ প্রতিবাদ না করতে করতে সব অন্যায় আমাদের কাছে সহনীয় হয়ে গেছে। এই রকম দুরাবস্থার মধ্যেও কিছু কিছু বিবেকবান মানুষ প্রশ্ন তুলেছে অবৈধ ভাবে প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে মন্ত্রী শাহজাহানের কাছে। তার আসকারা বা মদদে রাস্তায় গাড়ি চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা কচি নিষ্পাপ দুটি প্রাণ নিমিষেই শেষ করে দিল। বেশ অট্ট হাসিতে উল্টা প্রশ্নকারীর দিকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন প্রশ্ন! রাস্তায় কুকুর বিড়াল দেখে চিনতে পারলেই তাকে চালকের লাইসেন্স দিবে এই জল্লাদ মন্ত্রী শাহাজান। এই কথা আমরা সহজে মেনে নিলেও আজকে তার হাসিটা অনেকেই আমরা মানতে পারছিনা! জল্লাদ শাজাহান ভঙ্গুর রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতিচ্ছবি মাত্র। যে দেশে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দেশের মানুষের সাথে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিনিয়ত তামাশা করছে, হাজার হাজার কোটি টাকা তসরুপ, সোনা গায়েব করে পিতল রাখা, রিজার্ভ চুরি এগুলো যাদের কাছে কোন বিষয় নয় বলে মালের তামাশা, ধাক্কা দিয়ে বিল্ডিং ফেলা, বাতাসে উড়ে বা দাঁত মেজে প্রায় ২ লক্ষ টন কয়লা শেষ, যেখানে নির্লজ্জভাবে দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা বলে দায় এড়িয়ে যায় সেখানে শজাহানের এই হাসি খুব বেশি দোষের কিছু নয়! অন্তত হাসি খুশি থাকলে তার নিজের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৫৪