কি দেখে অবাক হচ্ছেন এটা আবার কোন দেশ। এটা আমাদের প্রিয় দেশমাতৃকার রাজধানী ঢাকা শহর।
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের একটি কথা আমাকে খুব আন্দোলিত করে। তিনি বলেছিলেন এই সভ্যতা কি কোন হতাশা দিয়ে তৈরি হয়েছে নাকি আশা দিয়ে? তিনিই উত্তর দিয়েছেন অবশ্যই আশা দিয়ে, হতাশা দিয়ে নয়। তাহলে আমরা হতাশ হব কেন? আমি তাই খুব আশাবাদী মানুষ। অনেক কাছের মানুষ অনেকেই বলে আমি বোকা। তা নয় তো কি? ঘরের খেয়ে যে বনের মোষ তাড়ায় সে বোকা নয় তো কি! তবে আমি এতে আনন্দই পায়।
ঢাকা যানজটে যখন স্থবির হয়ে যায় তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আমি ঢাকার এই সমস্যা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি গণমাধ্যমে। সব ব্যক্তিগত কথা তো আর পত্রিকায় লেখা যায় না। তাই ব্লগে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আবেগের কথা লেখি। ঢাকায় যানজটে পরে মানুষ যে পরিমাণ সময়, গাড়ির তেল বা পেট্রোল পোড়ায় তাতে যেমন মানুষের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় এবং জ্বালানী পুড়িয়ে আর্থিক ক্ষতি হয় তেমনি ভাবে প্রচুর পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। অনেক আলোচনা করেছি, এও বলেছি মানুষ বই পড়ায় অভ্যস্ত হলে এই যানজটে বই পড়ে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারে।
এমনকি এমন ভাবেও বলেছি ঢাকা থেকে রাজধানী স্থানান্তর করলেও এই যানজটের সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
কেন আমি এই ছোট কমলমতি ছেলেমেয়েদের সাথে থেকে সমর্থন যোগাচ্ছি? এই কারণে যে একটা করাপ্টেট (দুর্নীতিগ্রস্থ) ও নন ফাংশন্যাল সিস্টেমকে মাত্র কয়েক দিনে এমন সভ্য করা যায় কোন শক্তি প্রয়োগ না করে সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না।
এই কয়েকটা দিনে মানুষকে কত কিছুই হাতে ধরে শিখাতে দেখলাম। হেলমেট পরানো, ফুটপাথ দিয়ে হাটানো, সিট বেল্ট বাধা, মোটর সাইকেল চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা না বলা, গাড়ির ভিতরে ধূমপান না করা, এক লাইনে গাড়ী চালানো, বাম পাশের লেইন ফ্রি রাখা। সবকিছুই তারা করছে ভদ্রতা বজায় রেখে সৌজন্যের সাথে। নিজেদের কোন ভুল হলেও তারা বিনা সংকোচে দুঃখ প্রকাশও করছে।
ঢাকার রাস্তা এতো সভ্য হয়েছে এটা যদি বিশ্বাস করেন দেশটাকেও ঠিক করে দেয়া যাবে এটাও বিশ্বাস করুন। খালি সঠিক হাতে যদি দেশটা থাকে।
সেই লড়াই শুরু করবেন না ???
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২