somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইজরায়েল –হামাস যুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এ এক অসম যুদ্ধ, একতরফা যুদ্ধ। ইজরায়েল নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে চলেছে গাজা উপত্যকায়, সাথে সাথে বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটেছে, আহতের সংখ্যা কয়েকশ’। যুদ্ধ যদি অচিরে না থামে তাহলে হতাহতের সংখ্যা হাজারে দাঁড়াবে। বলা বাহুল্য তার শতকরা নব্বই ভাগেরও বেশী হবে ফিলিস্তিনী, বেশীরভাগই অসামরিক ব্যাক্তি, শিশু এবং নারী। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা থেকে রকেট হামলা চালাচ্ছে প্যালেস্টাইনীরা যার কিছু অংশ ইজরায়েলের আয়রন ডোম খ্যাত প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা ধ্বংশ করে দিচ্ছে। ইজরায়েলী ক্ষয়ক্ষতি ফিলিস্তিনীদের তুলনায় নগন্য। সাম্প্রতিক সংঘর্ষ শুরু হয় তিনজন ইজরায়েলী তরুনকে অপহরন করে হত্যা করার পর থেকে। এর দু এক দিন পরই একজন আরবকে একইভাবে খুন করে ইজরায়েলীরা। ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রী এ হত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করে গাজায় বিমান হামলা শুরু করেন।
ইজরায়েল এবং আরবদের মধ্যে এ শত্রুতা কেন? ইহুদী ধর্ম এবং ইসলাম দুই’ই একেশ্বরবাদী ধর্ম। দুই ধর্মের আচার আচরনে অনেক মিল। ইহুদী ধর্মের প্রবর্তক মোজেসকে মুসা নবী হিসেবে স্বীকার করে থাকে ইসলাম। জেরুজালেম নগরী দুই ধর্মের কাছে পবিত্র এবং ইহুদীদের প্রার্থনার মত ষোল মাস যাবত জেরুজালেমের দিকে মুখ করেই নামাজ পড়ত মুসলমানেরা। ইহুদীরা বেশী নিগৃহীত হয়েছে খৃস্টানদের হাতে অথচ তারাই আজ মিত্র। কি এর ইতিহাস?
এই এলাকায় ইহুদীদের বসবাস ছিল খৃস্টপূর্বাব্দ থকেই। রাজা ডেভিড বা দাউদ নবী ইজরায়েল রাস্ট্রের গোড়া পত্তন করেন এক হাজার খৃস্টপূর্বাব্দে। খৃস্টপূর্ব ৯৬২ অব্দে ডেভিড পুত্র রাজা সলোমন বা সোলেমান নবী প্রথম ইহুদী মন্দির নির্মান করেন জেরুজালেমে । রোমানদের আক্রমনে সে মন্দির ধ্বংশপ্রাপ্ত হয়। ১৯ খৃস্টপূর্বাব্দে রাজা হেরোডের সময় দ্বিতীয় মন্দির নির্মিত হয়। সে মন্দিরও জ্বলিয়ে পুড়িয়ে দেয় রোমানরা। টিকে থাকে জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্টের দ্বিতীয় মন্দিরের পশ্চিমের দেওয়াল। এই পশ্চিমের দেওয়াল বা ওয়েলিং ওয়াল(Western wall/ Wailling wall/Kotel) ইহুদী ধর্মালম্বীদের পবিত্র স্থান। টেম্পল মাউন্ট(Temple Mount / Mount of Moriah) খৃস্টান এবং মুসলিমদের কাছেও পবিত্র। এখানে রয়েছে খৃস্টানদের পবিত্রতম গীর্জা এবং মুসলমানদের পবিত্র আল আকসা মসজিদ। ইসলাম ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস ৬২১ খৃস্টাব্দে এই মাউন্ট অফ মোরিয়া থেকেই নবীজি মিরাজে যান। কুরানে বর্নিত সুরা আল-ইস্রায় বলা হয় “ দুরতম মসজিদে নবীজি অনান্য নবীদের সাথে নামাজ আদায় করেন”। এই দুরতম মসজিদ বলতে অধিকাংশ মুসলমান জেরুজালেমকে বুঝিয়ে থাকেন। এই বিশ্বাস আধ্যাত্মিক এবং বাস্তব নয়, কারন সেই সময়ে জেরুজালেম ছিল পারস্যের সাসানিদ সাম্রাজ্যের অংশ এবং এখানে কোন মসজিদ ছিল না। ৬৩৮ খৃস্টাব্দে হজরত ওমরের সময় এই এলাকা মুসলিম শাসনাধীনে আসে। হজরত ওমর বা পরবর্তী খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় ইহুদীরা অনেক ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে। রোমান এবং বাইজেন্টাইন শাসনামলে ইহুদীরা ছিল খৃস্টানদের হাতে নিগৃহীত। এর পর এই এলাকা মিশর, খৃস্টান ক্রুসেডার এবং অটোম্যান তুর্কী সুলতানদের অধীনে থাকে। ক্রুসেডার এবং অটোম্যান তুর্কীদের সময়েও ইহুদীরা নিগৃহীত হতে থাকে এবং কয়েক লক্ষ ইহুদী প্রান হারায়।
উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে জায়নবাদী আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। এই জায়নবাদের প্রবক্তা ছিলেন থিওডোর হার্জেল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই এলাকা ছিল অটোমান তুর্কী সুলতানদের অধীনে। ১৯১৭ সালে বৃটিশ পররাস্ট্র মন্ত্রী বেলফুর ইহুদীদের জন্য স্বতন্ত্র ইজরায়েলী আবাসভূমির অঙ্গিকার করেন যা বেলফুর ডিক্লারেশান হিসেবে খ্যাত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই এলাকা ছিল অটোমান তুর্কী সুলতানদের অধীন। তুর্কী সুলতানরা প্রথম নিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পক্ষ নিলে বৃটিশরা মধ্যপ্রাচ্যের আরবদের সহযোগিতা কামনা করে এবং প্যালেস্টাইন সহ এই এলাকার আরবদের স্বাধীনতার অঙ্গীকার করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে এই এলাকা লীগ অফ নেশান্সের ম্যান্ডেট অনুযায়ী বৃটেনের দখলে আসে। এই সময়ে ভবিষ্যতের ইজরায়েল রাস্ট্রে , ইউরোপে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদীরা এসে বসতি স্থাপন করা শুরু করে। ক্রমশঃ ইহুদীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং আরবরা শঙ্কিত হতে থাকে । আরব মুসলমান এবং ইহুদীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং দাঙ্গা শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইউরোপে প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদীকে হত্যা করে হিটলার বাহিনী যা হলোকাস্ট হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে ব্যাপকহারে ইহুদীরা এসে আশ্রয় নেয় এই এলাকায়। আরব মুসলমান এবং ইহুদীদের মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যান্ডেট শেষে এই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয় বৃটেন। ১৯৪৭ সালে জাতিসঙ্ঘ সাধারন পরিষদ এই এলাকাকে মোটামুটি সমান দুই অংশে ভাগ করে পৃথক ইহুদী এবং আরব রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাশ করে। ইহুদীরা সে প্রস্তাব মেনে নিলেও আরবেরা তা মেনে নেয় নি। বৃটিশ ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার একদিন আগে ১৯৪৮সালের ১৪ই মে ইহুদীরা স্বাধীন ইজরায়েল রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেয়। মিশর , সিরিয়া, লেবানন জর্ডান এবং ইরাকের যৌথ সামরিক বাহিনী প্যালেস্টাইনে হামলা চালায়। এ যুদ্ধে ইজরায়েল জয়লাভ করে।শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে যুদ্ধ শেষ হয়।ফিলিস্তীনের অধিকাংশ আরবরা ভিটেমাটি ছেড়ে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় জর্ডান, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায়। সেই সময়েই গাজা বর্তমানের আলাদা ভুখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং ১৯৪৮ সালে আরব লীগ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “All Palestine Government” এই এলাকার শাসনভার পায়। ১৯৫৬ সালের সুয়েজ ক্রাইসিসের সময় স্বল্পকালের জন্য তা বৃটিশ , ফরাসীদের অধীনে থাকে। ১৯৫৯ সালে আরব লীগ “All Palestine Government” ভেঙ্গে দেয়। তখনকার মিশরের প্রেসিডেন্ট গামাল আব্দুল নাসের গাজাকে ইউনাইটেড আরব রিপাব্লিক(UAR) এর অন্তর্ভুক্ত করে নেন। আরব জাতীয়তাবাদী নেতা নাসের যে অখন্ড আরব জাতির স্বপ্ন দেখতেন তার অংশ হিসাবে ছিল সিরিয়া এবং মিশরের অধীনস্থ প্যালেস্টাইন এলাকা গুলো। ১৯৬৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশান অর্গানাইজেশান বা PLO ‘র প্রতিষ্ঠার পর নাসের গাজাকে প্যালেস্টাইন লিবারেশান অর্গানাইজেশানের অধীনে ন্যাস্ত করার ঘোষনা দেন যদিও তা কার্যতঃ থেকে যায় মিশরের অধীনে। ১৯৬৭ সালের জুন মাসের ৬ দিনের দ্বিতীয় আরব-ইজরায়েল যুদ্ধে ইজরায়েল গাজাসহ সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়।
১৯৭৮ সালে ওয়াশিংটনের উপকন্ঠে ক্যাম্প ডেভিডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের উপস্থিতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট মেনায়েম বেগিন। মিশর সুয়জে ক্যানেল দিয়ে ইজরায়েলী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়, দুই রাস্ট্র পরপস্পরকে স্বীকৃতি দেয়, আকাবা উপ্সাগর এবং তিরান জলপথকে আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়, ইজরায়েলে তেল সরবরাহ করতে রাজী হয় মিশর। মিশর সিনাই উপদ্বীপ মরু এলাকা ফিরে পায় ।কিন্তু গাজা থেকে যায় ইজরায়েলী নিয়ন্ত্রনে। ইজরায়েল গাজায় ২১টি ইহুদী বসতি গড়ে তোলে।
১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইজরায়েল পি,এল,ও ‘র যৌথ ঘোষনায় পর্যায়ক্রমে পশ্চিমতীর এবং গাজা থেকে ইজরায়েলী সৈন্য প্রত্যাহার এবং এই এলাকার নিয়ন্ত্রন প্যালেস্টানীদের অধীনে ন্যাস্ত করার কথা বলা হয়। ১৯৯৪ সালে পি,এল,ও এবং ইজরায়েলের মধ্যে অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৯৯ সাল নাগাদ গাজা এবং পশ্চিমতীরের অধিকাংশ এলাকা প্যালেস্টাইনী কর্তৃপক্ষ বা Palestinian Authority (PA) এর নিয়ন্ত্রনে আসে। ২০০০ সালে শুরু হয় ২য় প্যালেস্টাইনী ইন্তিফাদা বা পুনর্জাগরন। ২০০৩ সালে জাতিসঙ্ঘ এর তত্বাবধানে রাশিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০০৫ সাল নাগাদ স্থায়ীভাবে এই এলাকায় গনতান্ত্রিক প্যালেস্টাইনী এবং ইজরায়েল রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মত হয়। ২০০৪ সালে প্যালেস্টাইনী নেতা ইয়াসির আরাফাত মারা গেলে মাহমুদ আব্বাস পি,এল,ও’র প্রেসিডেন্ট হন ২০০৫ এর জানুয়ারীতে । মাহমুদ আব্বাস মিশরের “শার্ম-আল শেখ” এ ইজরায়েলের সাথে প্রতিশ্রুত শান্তি চুক্তি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যাক্ত করেন। সেপ্টেম্বর ২০০৫ এ ইজরায়েল একতরফাভাবে গাজা এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীর থেকে সেনাবাহিনী এবং ইজরায়েলী বসতি প্রত্যাহার করে নেয়।তবে গাজার আকাশ এবং, সমুদ্রপথ নিয়ন্ত্রন থেকে যায় ইজরায়েলের হাতে। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে স্থলপথে গাজা ভুখন্ডের চারদিকে ইজরায়েল গড়ে তুলেছে সুউচ্চ কাটাতারের প্রাচীর বেস্টনী এবং এক কিলোমিটার চওড়া বাফার জোন। ২০০৫ সালে মিশর অনুরুপভাবে গড়ে তুলেছে প্রাচীর বেস্টনী। ফলে গাজা কার্যতঃ এক অবরুদ্ধ ভুখন্ড। শুধুমাত্র ৫টি নির্ধারিত পথ দিয়ে গাজার অধিবাসী ফিলিস্তিনীরা মিশর এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলাচল করতে পারে । ২০০৬ সালে প্যালেস্টাইনী সঙ্গঠন হামাস নির্বাচনে জয়লাভ করে।প্যালেস্টাইনের অপর সঙ্গঠন আল ফাত্তার সাথে যুদ্ধ শুরু হয় । ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে মক্কায় হামাস সংগঠনের রাজনৈতিক প্রধান খালিদ মিশাল এবং মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে চুক্তির ফলে হামাস সদস্য ইসমাইল হানিয়াকে প্রেসিডেন্ট করে গঠিত হয় প্যালেস্টাইনী জাতীয় সরকার। কিন্তু ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলতেই থাকে। ২০০৭ সালের জুন মাসে হামাস গেরিলারা গাজার প্রশাসনিক এবং সামরিক স্থাপনাগুলো দখল করে নেয়। মাহমুদ আব্বাস জাতীয় সরকার ভেঙ্গে দেন। অতঃপর পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রন থাকে প্যালেস্টাইনী কতৃপক্ষের হাতে এবং গাজা থাকে হামাস নিয়ন্ত্রাধীন।
সম্প্রতি ফাত্তাহ অংশ এবং হামাসদের মধ্যে কিছুটা সমঝোতা হলেও প্যালেস্টাইনীদের সমস্যার কোন কুল কিনারা হয় নি। ২০১২ সালে হামাস এবং ইজরায়েলের সাথে সংঘর্ষের সময় মিশরে মুরসীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ব্রাদারহুড সরকার ছিল ক্ষমতায়। মুরসীর মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতি হয়েছিল। কিন্তু জেনারেল সিসি’র মিশর হামাসকে সাহায্য করতে রাজী নয়। কারন মিশর সরকার মনে করেন হামাস হল ইসলামিক ব্রাদারহুডেরই অংশ। আরবেরাও যে ফিলিস্তিন সমস্যার ব্যাপারে খুব বেশী আগ্রহী তা আর এখন মনে হয় না। মিশর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে সিনাই উপত্যকা ফেরত পায় এবং ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। জর্ডানও ইজরায়েলের সাথে একইভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে। মিশর যেভাবে গাজা উপত্যকাকে নিজের অংশ করতে আগ্রহী ঠিক একইভাবে জর্ডানও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে তা জর্দানের অংশ হিসেবে পেতেই বেশী আগ্রহী। ১৯৪৮ সাল থেকে ৬৭ সাল পর্যন্ত এ এলাকা ছিল জর্দানের অধীন। জর্দানের জনসংখ্যার এক উল্লেখযোগ্য অংশ হল প্যালেস্টাইনী । অথচ তাদের নেই কোন নাগরিক অধিকার। অর্থ হল প্যালেস্টানীদের নিজের দেশ নেই, পরদেশে থাকার অধিকারও নেই। ইজরায়েলী বোমার আঘাতে প্রান দেওয়াই তাদের এক মাত্র নিয়তি।


৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×