somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উৎসর্গ: আউলা

০৬ ই জুন, ২০০৮ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আউলা খুব ভালো সাইকেল চালাতো। কিন্তু সাইকেলের পিছনে কেউ উঠলে, সে তখন আর ঠিক থাকতে পারতো না, ধাপ্পুস করে পড়ে যেত। একবার মামারা, খালারা, আমরা সব ভাইবোনরা পিকনিক করছিলাম মামার ফ্যাক্টরিতে। আউলা তার সাইকেল নিয়ে রোডে নামলো পিকনিকের উদ্দেশ্যে। শামীম ভাই(কাজিন) ওর সাইকেলের পিছনে উঠতে চাইল, কিন্তু ও উঠতে দিলো না। উনি উঠে পড়ছিলেন কিন্তু আউলা বুঝতে পারেনি। যখন বুঝতে পারলো তখন এ্যাঁ এ্যাঁ করতে করতে সাইকেল নিয়ে সোজা ড্রেনে।:D:D



আউলা, বুবু আর টুসি আপু একবার আহসান ভাইয়ার(বসলোক) সাথে ডাঙ্গুলী খেলায় জিতে গেল। আউলার তো দেমাগ আর দেখে কে!! দাম বাড়ানো কথা বলতে লাগলো। ডাঙ্গুলী খেলার নিয়মানুযায়ী ওরা আহসান ভাইয়াকে খাটান দিবে। কিন্তু আহসান ভাইয়া ক্যাচ ধরল তাই উল্টা আহসান ভাইয়া ওদেরকে সাড়ে সাত খাটান দিবে। ঐ অবস্থায় বুবু আর টুসি আপু পালালো। আর বেকুব আউলা হাবার মত করে আহসান ভাইয়ার খাটান খেতে লাগল। ১ ঘন্টা খাটান খাওয়ার পর সে কান্না শুরু করলো। তারপরে দয়াময় আহসান ভাইয়া ছেড়ে দিল।



আমরা ক্রিকেট খেলছিলাম। আমার নিজের ২ বোন আর মামাত ৩ বোনের শখ হলো আমাদের সাথে ক্রিকেট খেলবে তারা। অনেকজন প্লেয়ার, খেলা বেশ জমেছে। আম্মু, নানী, খালা, মামা, মামীরা দর্শক। আউলা দুর্দান্ত বল করছে। সাথে চোট্টামি তো আছেই। প্রতিটা বলেই আউট আউট বলে চিল্লাচ্ছে। আর খালাতো ভাই বাবু(খুব ভালো খেলে) মনের মত ছয় পিটাচ্ছে। অনেক চোট্টামি করে তারা আমাদের সব উইকেট ফেলে দিল। আউলা ব্যাটিঙে উইক বলে আউলার ব্যাটিঙ ছিল শেষে। যথাসময়ে আউলা ব্যাট করতে এল। প্রথম দুইটা বল কোনোভাবে গেল। তৃতীয় বলের সময় আউলা বল মারার সাথে সাথেই ব্যাট ফেলে দৌড়। কেন, কি হয়েছে? সে নাকি বল চোখে দেখে না, বলটা যদি নাকে লাগে তাই দৌড়।(ক্লোজআপহাসি)(ক্লোজআপহাসি)


একবার ছোট নানাজিকে দেখতে আউলা আর টুসি আপু, পুষ্প মামা আর নানী কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিল বাসে করে। বাসে আবার মহারানী আউলা ঘুম দিয়েছিল। তারপর ঐখানে পৌছানোর পর সে দেখলো তার একটা জুতা নাই। তার নিজেকে বস্তির মেয়ে মনে হচ্ছিল। আরো মনে হচ্ছিল, কারও বাড়িতে খালিপায়ে যাওয়াটা খুবই লজ্জাজনক। তারপরে বাস থেকে নামার পর একটা গাছের নিচে দাড়ায়, সেখানে আবার একটা কাক মাথায় পায়খানা করে দেয়। পুরো বিধ্বস্ত অবস্থায় সে নানাবাড়িতে যায়। এইটা নাকি তার ছোটবেলার বিব্রতকর অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটা।


ঈদের আগের দিন আউলা মানুষকে ভূতের ভয় দেখাতো। ভূত সাজতো হাত উঁচু করে মুঠ করে একটা ছোট হাড়ির ভিতর ঢুকিয়ে দিতো, তারপরে একটা ধবধবে সাদা শাড়ি দিয়ে পুরো শরীর পেচানো হতো। দেখতে অন্ধকারে কেমন লম্বা লাশ দাড়িয়ে আছে মনে হতো। (কিন্তু এইভাবে ভুত সাজানো হলে ভূত চোখেও দেখে না, আর নড়তেও পারেনা) শাড়িটাও চুরি করতো, নানীর শাড়ি। প্রথম দিকে বুবু আর টুসি আপুও থাকতো। বুবু আর টুসি একটু বুঝতে শিখলে ঐ আকামের মধ্যে আর থাকতো না। আর এই আকাম কুকামে সারা দুনিয়ার পিচ্চিরা এসে হাজির হতো(আমিও থাকতাম:D)। বুবুকে ভূত সাজনো হতো কারণ বুবু বেশ লম্বা ছিল। বুবু যখন আকাম ছেড়ে দিল, তখন আউলা্ উপায় না দেখে নিজেই ভূত সাজলো একবার। তখন শীতকাল। ভূত সাজাই দিল আউলার চেয়ে সামান্য ছোট আমাদের একটা কাজের ছেলে পিঙ্গুলী। নানীবাড়ির কাজের মেয়েকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে পুকুরের পাড়ে দাড়িয়ে রইল। নানীবাড়ির ঐ কাজের মেয়ে ভূত দেখে প্রথমে চিল্লাই উঠল, ওরে খোদাতালা, এইটা কি? তারপরে ঝড়ের বেগে এসে আউলাকে ধাক্কা মারলো সোজা পুকুরে।:D:D:D

(এই ভূত সাজা নিয়ে আউলা বেচারীর একটা করুণ কাহিণী আছে, তা আপনারা তার কাছে শুনেন:()



তিন নং আর ৪ নং ঘটনাটা বাদে বাকী তিনটা ঘটনাই একটু আগে আমি আউলার কাছে শুনে লিখেছি।B-)) বেকুব আউলা সরল মনে এসব ঘটনা বলল। B-)) ও এখন ঘুমাচ্ছে। ও ঘুম থেকে উঠেই হতবাক হয়ে যাবে। B-)) গালে হাত দিয়ে বসে ভাববে আমি কিভাবে পারলাম। B-)) অথচ ওকে বলেছি, আমি ওকে নিয়ে লিখব না। B-))

ওয়াক হ্যাক হ্যাক ওয়াক ভ্যাক ভ্যাক:#):#)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৬
৮৫টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×