আসলে এই ছবিগুলো গত বছরের আগষ্টের .........
ইন্ডিয়ার পুনের এনআইবিএম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে তোলা।
আমার কলোনীতেও অনেক শিউলী গাছ আছে কিন্তু খুব ভোরে উঠেও ফুলের দেখা পাওয়া যায় না। পুজার জন্য কুঁড়িয়ে নিয়ে যায় সবাই। ছোট বেলা থেকেই আমার শিউলী ফুল অসম্ভব প্রিয় । ছোট বেলা ঝুড়ি নিয়ে ভোরেই গাছে নিচে উপস্থিত হতাম । কখনো ফুলের উপর পা রাখিনি । ফুল সরিয়ে হেঁটে যেতাম। ঝুড়ি ভর্তি ফুল নিয়ে অকারণে মালা গাঁথতাম প্রতিদিনিই । অসংখ্য মালা গেঁথেছি এই জীবনে। কখনো ফুলের কমলা ডাটা ফেলে শুধু ফুল দিয়ে বিছার মত মালা গাঁথতাম সেই মালা আয়নায় ঝুলিয়ে রাখতাম। দিনশেষে নষ্ট হয়ে গেছে ফেলে দিতাম। এজন্য প্রতিদিনই গাঁথা হতো।
পুনেতে সাতদিন থেকেছিলাম। একটা ভোরও মিস করিনি। সবাই যখন ঘুমে বেঘোর আমি উঠে চলে গিয়েছি শিউলী গাছের নিচে। সারা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ঘুরে বেড়িয়েছি একাই । সেই সাথে ছবিও তোলা হয়েছে হাজার হাজার । অন্ধকার থাকতেই চলে যেতাম গাছের নিচে কখনো খালি পায়ে হেঁটে চলে গিয়েছি সেখানে। পুনেতে ১০ মিনটি পর পর গুঁড়ি গুঁরি বৃষ্টি হয়। যার কারণে গাছ লতা পাতা সব স্নিগ্ধ সজীব দেখা যায় । সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটতে অনেক মজা। শিউলী গাছের নিচে বসে থেকেছি আকাশ ফর্সা না হওয়া পর্যন্ত। অনেক গাছপালা থাকায় পাখির কলকাকলীতে কানে ধরে যেতো। অসম্ভব ভাল লাগা কিছু সময় ছিল যা ভুলার মতো নয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি আমাকে সুন্দর কিছু সময় উপহার দিয়েছেন।
তো দেখুন কিছু শিউলী ফুলের ছবি। ক্যামেরা ছিল সনি সাইবার সট ডব্লিউ৫৭০
এডিট করেছি ফটোশপে..........
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬।
১৭।
১৮।
১৯।
২০।